গাজীউল হক সোহাগ ও মো. শরীফ উদ্দিন, বরুড়া থেকে
যানজট নিরসনে কুমিল্লার বরুড়া বাজারে প্রশাসন বড় ধরনের উচ্ছেদ অভিযান করেছে। গত পাঁচদিনে কোথাও বুলডোজার দিয়ে স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। কোথাও অবৈধ স্থাপনা নিয়ে থাকা ব্যক্তিরা নিজ উদ্যোগে দোকানপাট সরিয়ে নেন। কোথাও ব্যবসায়ীরা নিজেরাই সড়ক সম্প্রসারণের জন্য দোকান ভেঙে স্থাপনা ছোট করিয়ে নেন। বরুড়া উপজেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ব্যবসায়ী, শিক্ষক, সুশীল সমাজসহ নানা শ্রেণির মানুষ। উচ্ছেদের পর বরুড়া বাজারের প্রধান সড়কের আশপাশ এখন অনেকটাই ফাঁকা। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
গতকাল শনিবার পড়ন্ত বিকেল ও বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় দুই দফা বরুড়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, জিরো পয়েন্ট , ভাঙা বাজার এলাকার স্থাপনা নেই। সেগুলো বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। বরুড়া মধ্য বাজারে দোকান ছোট করা হচ্ছে। সড়ক সম্প্রসারণের জন্য ব্যবসায়ীরা কেউ দুই ফুট, কেউ চার ফুট ও কেউ ১০ ফুট পর্যন্ত জায়গা ছেড়েছেন। পশ্চিম বাজারেও একই অবস্থা। সেখানকার ওষুধ, বুট মুড়ি, ইলেক্ট্রনিক্স দোকান, বিস্কুটের দোকান ভাঙা হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসন মিলে ওই উচ্ছেদ অভিযান করে। এতে করে তাঁরা স্বস্তি পাচ্ছেন। ৫০০ ব্যবসায়ীর জন্য পাঁচ হাজার লোকের ক্ষতি করতে চান না তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৪৮ সালে বরুড়া উপজেলা হয়। তারও বহু আগে বরুড়া বাজার প্রতিষ্ঠা হয়। বরুড়া বাজারের সড়কগুলো অত্যন্ত সরু। লালমাই থেকে বরুড়া বাজার হয়ে ঝলম দিয়ে আড্ডা বাজার ঘুরে সোনাইমুড়ি এলাকা অতিক্রম করে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার জগৎপুর পর্যন্ত এই সড়ক। বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মধ্যবাজার জিরো পয়েন্ট এলাকায় সড়কের প্রস্থ কম। সড়কের মধ্যে মিশুক, ইজিবাইক , রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা দাঁড়িয়ে যাত্রী ও মালামাল ওঠানামা করে। এতে করে জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে। সরকারি খাস জমি দখল, ইজারা নিয়ে বাড়তি জায়গা দখল করে বছরের পর বছর ব্যবসা করছেন ব্যবসায়ীরা। এতে করে মানুষের পথ চলা ব্যাহত হচ্ছিল। ঘন্টার পর ঘন্টা মানুষ ভোগান্তিতে আটকা পড়তো। এ নিয়ে পুরো উপজেলার বাসিন্দাদের ক্ষোভ।
এ অবস্থায় বরুড়া উপজেলা আইনশৃঙ্খলা ও ব্যবসায়ীদের সভায় উচ্ছেদ অভিযানের সিদ্ধান্ত হয়। ২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর বরুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদে যোগ দেন নু এমং মারমা মং। তিনি বহুবার চেষ্টা করেছেন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে। রাজনৈতিক কারণে এতোদিন অভিযান করতে পারেননি। অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে গত পাঁচদিন আগে তিনি ওই অভিযান শুরু করেন। এতে বরুড়ার সর্বস্তরের পেশার মানুষ তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন।
জানতে চাইলে বরুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদে যোগ দেন নু এমং মারমা মং গতকাল রাতে আমার শহর পত্রিকাকে বলেন,‘ বরুড়া বাজারে ১৯৬ টা লিজের দোকান আছে। ৪০ টির মতো দোকান ছিল খাস জমিতে। আমরা সবাইকে নোটিশ দিই। নোটিশ পেয়ে কেউ স্থাপনা সরান। কেউ সরাননি। পরে আমরা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করি। আমরা অবৈধ সব স্থাপনা গুড়িয়ে দিই। জায়গা লিজ নেওয়া ব্যক্তিরা তাঁদের স্থাপনা ছোট করে সড়কের জন্য ছেড়ে দেন। প্রথম দিকে একজন বাধা দিয়েছিলেন। পরে তাঁকে আইনের আওতায় আনা হয়। এখন পুরো বাজারকে সুন্দর লাগছে। এটাকে ধরে রাখতে হবে। এটা ধরে রাখা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ।’
বরুড়া বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি কবির পাটোয়ারী বলেন,‘ যানজট নিরসনের জন্য এটি ভালো উদ্যোগ। কিন্তু প্রতিদিন বরুড়া বাজারে অন্তত ২০ করে মিশুক নামছে। এগুলো যানজট বাড়াচ্ছে। ব্যবসায়ীরা সহযোগিতা করায় বরুড়া বাজারে প্রশাসন সফল উচ্ছেদ কার্যক্রম করে।’
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ওরাই আপনজনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. ইলিয়াছ আহমদ বলেন, এখন পল্লী বিদ্যুতের খাম্বা সরাতে হবে। উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানাই।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অন্তত পাঁচজন গতকাল বিকেলে বলেন, আমাদের ক্ষতি হলেও আমরা চাই বরুড়া বাজার যানজট মুক্ত থাকুক।
বরুড়ার একজন শিক্ষক বলেন, উচ্ছেদ করা জায়গা প্রশাসক ও পৌরসভাকে রক্ষণাবেক্ষন করতে হবে। তা না হলে কয়েকদিন পর দেখা যাবে, আবার দোকান বসছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর বরুড়া বাজার দেখে ভালো লাগছে। প্রয়োজনে সড়ক আরও প্রশস্ত করা হোক। খাস জায়গায় বহুতল ভবন করে ব্যবসায়ীদেও দোকান কোটা বরাদ্দ দেওয়া হোক। বরুড়ার প্রশাসনকে উচ্ছেদ কার্যক্রমের জন্য ধন্যবাদ জানাই। গত দেড় দশক ধরে বরুড়া বাজারের যানজট পুরো উপজেলাবাসীর ‘দুঃখ’ ছিল।
যানজট নিরসনে কুমিল্লার বরুড়া বাজারে প্রশাসন বড় ধরনের উচ্ছেদ অভিযান করেছে। গত পাঁচদিনে কোথাও বুলডোজার দিয়ে স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। কোথাও অবৈধ স্থাপনা নিয়ে থাকা ব্যক্তিরা নিজ উদ্যোগে দোকানপাট সরিয়ে নেন। কোথাও ব্যবসায়ীরা নিজেরাই সড়ক সম্প্রসারণের জন্য দোকান ভেঙে স্থাপনা ছোট করিয়ে নেন। বরুড়া উপজেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ব্যবসায়ী, শিক্ষক, সুশীল সমাজসহ নানা শ্রেণির মানুষ। উচ্ছেদের পর বরুড়া বাজারের প্রধান সড়কের আশপাশ এখন অনেকটাই ফাঁকা। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
গতকাল শনিবার পড়ন্ত বিকেল ও বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় দুই দফা বরুড়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, জিরো পয়েন্ট , ভাঙা বাজার এলাকার স্থাপনা নেই। সেগুলো বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। বরুড়া মধ্য বাজারে দোকান ছোট করা হচ্ছে। সড়ক সম্প্রসারণের জন্য ব্যবসায়ীরা কেউ দুই ফুট, কেউ চার ফুট ও কেউ ১০ ফুট পর্যন্ত জায়গা ছেড়েছেন। পশ্চিম বাজারেও একই অবস্থা। সেখানকার ওষুধ, বুট মুড়ি, ইলেক্ট্রনিক্স দোকান, বিস্কুটের দোকান ভাঙা হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসন মিলে ওই উচ্ছেদ অভিযান করে। এতে করে তাঁরা স্বস্তি পাচ্ছেন। ৫০০ ব্যবসায়ীর জন্য পাঁচ হাজার লোকের ক্ষতি করতে চান না তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৪৮ সালে বরুড়া উপজেলা হয়। তারও বহু আগে বরুড়া বাজার প্রতিষ্ঠা হয়। বরুড়া বাজারের সড়কগুলো অত্যন্ত সরু। লালমাই থেকে বরুড়া বাজার হয়ে ঝলম দিয়ে আড্ডা বাজার ঘুরে সোনাইমুড়ি এলাকা অতিক্রম করে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার জগৎপুর পর্যন্ত এই সড়ক। বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মধ্যবাজার জিরো পয়েন্ট এলাকায় সড়কের প্রস্থ কম। সড়কের মধ্যে মিশুক, ইজিবাইক , রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা দাঁড়িয়ে যাত্রী ও মালামাল ওঠানামা করে। এতে করে জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে। সরকারি খাস জমি দখল, ইজারা নিয়ে বাড়তি জায়গা দখল করে বছরের পর বছর ব্যবসা করছেন ব্যবসায়ীরা। এতে করে মানুষের পথ চলা ব্যাহত হচ্ছিল। ঘন্টার পর ঘন্টা মানুষ ভোগান্তিতে আটকা পড়তো। এ নিয়ে পুরো উপজেলার বাসিন্দাদের ক্ষোভ।
এ অবস্থায় বরুড়া উপজেলা আইনশৃঙ্খলা ও ব্যবসায়ীদের সভায় উচ্ছেদ অভিযানের সিদ্ধান্ত হয়। ২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর বরুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদে যোগ দেন নু এমং মারমা মং। তিনি বহুবার চেষ্টা করেছেন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে। রাজনৈতিক কারণে এতোদিন অভিযান করতে পারেননি। অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে গত পাঁচদিন আগে তিনি ওই অভিযান শুরু করেন। এতে বরুড়ার সর্বস্তরের পেশার মানুষ তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন।
জানতে চাইলে বরুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদে যোগ দেন নু এমং মারমা মং গতকাল রাতে আমার শহর পত্রিকাকে বলেন,‘ বরুড়া বাজারে ১৯৬ টা লিজের দোকান আছে। ৪০ টির মতো দোকান ছিল খাস জমিতে। আমরা সবাইকে নোটিশ দিই। নোটিশ পেয়ে কেউ স্থাপনা সরান। কেউ সরাননি। পরে আমরা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করি। আমরা অবৈধ সব স্থাপনা গুড়িয়ে দিই। জায়গা লিজ নেওয়া ব্যক্তিরা তাঁদের স্থাপনা ছোট করে সড়কের জন্য ছেড়ে দেন। প্রথম দিকে একজন বাধা দিয়েছিলেন। পরে তাঁকে আইনের আওতায় আনা হয়। এখন পুরো বাজারকে সুন্দর লাগছে। এটাকে ধরে রাখতে হবে। এটা ধরে রাখা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ।’
বরুড়া বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি কবির পাটোয়ারী বলেন,‘ যানজট নিরসনের জন্য এটি ভালো উদ্যোগ। কিন্তু প্রতিদিন বরুড়া বাজারে অন্তত ২০ করে মিশুক নামছে। এগুলো যানজট বাড়াচ্ছে। ব্যবসায়ীরা সহযোগিতা করায় বরুড়া বাজারে প্রশাসন সফল উচ্ছেদ কার্যক্রম করে।’
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ওরাই আপনজনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. ইলিয়াছ আহমদ বলেন, এখন পল্লী বিদ্যুতের খাম্বা সরাতে হবে। উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানাই।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অন্তত পাঁচজন গতকাল বিকেলে বলেন, আমাদের ক্ষতি হলেও আমরা চাই বরুড়া বাজার যানজট মুক্ত থাকুক।
বরুড়ার একজন শিক্ষক বলেন, উচ্ছেদ করা জায়গা প্রশাসক ও পৌরসভাকে রক্ষণাবেক্ষন করতে হবে। তা না হলে কয়েকদিন পর দেখা যাবে, আবার দোকান বসছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর বরুড়া বাজার দেখে ভালো লাগছে। প্রয়োজনে সড়ক আরও প্রশস্ত করা হোক। খাস জায়গায় বহুতল ভবন করে ব্যবসায়ীদেও দোকান কোটা বরাদ্দ দেওয়া হোক। বরুড়ার প্রশাসনকে উচ্ছেদ কার্যক্রমের জন্য ধন্যবাদ জানাই। গত দেড় দশক ধরে বরুড়া বাজারের যানজট পুরো উপজেলাবাসীর ‘দুঃখ’ ছিল।