• কুমিল্লা সিটি করপোরেশন
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  • আদর্শ সদর
  • বরুড়া
  • লাকসাম
  • দাউদকান্দি
  • আরও
    • চৌদ্দগ্রাম
    • সদর দক্ষিণ
    • নাঙ্গলকোট
    • বুড়িচং
    • ব্রাহ্মণপাড়া
    • মনোহরগঞ্জ
    • লালমাই
    • চান্দিনা
    • মুরাদনগর
    • দেবীদ্বার
    • হোমনা
    • মেঘনা
    • তিতাস
  • সর্বশেষ
  • রাজনীতি
  • বাংলাদেশ
  • অপরাধ
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ইপেপার
  • ইপেপার
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার শহর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. গাজীউল হক ভূঁইয়া ( সোহাগ)।

নাহার প্লাজা, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০

ই-মেইল: [email protected]

ফোন: 01716197760

> কুমিল্লা জেলা
> কুমিল্লা সিটি করপোরেশন

মেগা প্রকল্পের চারভাগের এক ভাগ টাকাও খরচ করতে পারেনি

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন

গাজীউল হক সোহাগ
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৫, ১১: ৩০
logo

মেগা প্রকল্পের চারভাগের এক ভাগ টাকাও খরচ করতে পারেনি

গাজীউল হক সোহাগ

প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৫, ১১: ৩০
Photo

কুমিল্লা নগরের উন্নয়নের জন্য তিন বছর আগে ১ হাজার ৫৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ৯৭৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এ পর্যন্ত ছাড় দিয়েছে সরকার। কিন্তু কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এ পর্যন্ত ৩৫০ কোটি টাকার কাজ করেছে। এর মধ্যে দৃশ্যমান কাজ খুবই কম। জনবল সংকট ও মনিটরিং কাজের লোকের অভাবে প্রকল্পের কাজ এগুচ্ছে না।

নগরবাসীর অভিযোগ, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গতানুগতিক কাজ করছে। এখানে মেধাবী, চৌকস ও বুদ্ধিদীপ্ত লোকের অভাব আছে। যে কারণে তাঁরা নালা, সড়ক ও ফুটপাতের কাজে মেগাপ্রকল্পের টাকা খরচ করছে। এতো বড় প্রকল্পের কোন দৃষ্টিনন্দন কাজ নগরবাসীর সামনে তুলে ধরতে পারেনি। মেধাবী ও পরিশ্রমী কর্মকর্তা যে কয়েকজন আছেন, তাঁদের নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে কমপক্ষে দুই বা ততোধিক দায়িত্ব দেওয়া আছে।

নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কাজের জন্য ১ হাজার ৫৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। তিন বছর ওই প্রকল্পের মেয়াদ ছিল। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের সময়সীমা নির্ধারণ ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় এক বছর প্রকল্পের বাড়ানো হয়। এখন নতুন করে আরও দুই বছর বাড়ানো হচ্ছে।

মেগা প্রকল্পের মধ্যে ১২৫ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৫ তলা নগর ভবন ও সেবক কলোনিসহ মোট ২২০ কোটি টাকা, হাতির ঝিলের আদলে পুরাতন গোমতী নদী ও নগরের বিভিন্ন পুকুরের উন্নয়ন বাবদ ২১৪ কোটি টাকা ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মোস্তফাপুর এলাকায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয় । এখন পর্যন্ত বড় তিনটি প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। এর আগে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৮৯০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। গত চার মাসে আরও ৮৮ কোটি টাকা মেলে।

প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলছেন, মেগা প্রকল্প অনুমোদনের পর প্রশাসনিক নথি চালাচালি করতে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি- মার্চ পর্যন্ত সময় লাগে। এরপর ২০২২ সালের ১৫ জুন সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়। ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর তৎকালীন সিটি মেয়র আরফানুল হক রিফাত মারা যান। এরপর ভারপ্রাপ্ত মেয়র দায়িত্বে ছিলেন। ২০২৪ সালের ৯ মার্চ মেয়র পদে উপনির্বাচন হয়। পরবর্তীতে নতুন মেয়র তাহসীন বাহার দায়িত্ব নেন। তিনিও সাড়ে তিন মাসের মতো দায়িত্বে ছিলেন। পরে নির্বাহী আদেশে সারাদেশে সব সিটি করপোরেশনের মেয়রকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এসব কারণেও প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। নির্বাচিত মেয়র, কাউন্সিলর, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নগর পরিকল্পনাবিদ না থাকায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অযোগ্য লোকদের হাতে নগর ভবনের কয়েকটি বিভাগের কাজের দায়িত্ব থাকায় প্রকল্প এগুচ্ছে না।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মো. আবু সায়েম ভূঁইয়া বলেন, নগর ভবন প্রাথমিকভাবে ১০ তলার অনুমোদন মিলেছে। পরে বাকি পাঁচতলা করা হবে। এখন টেন্ডার করার জন্য প্রশাসনিক অনুমোদনের অপেক্ষায় আছি। অন্যান্য প্রকল্পের কাজও হচ্ছে। আমরা সীমিত সংখ্যক লোকবল দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

Thumbnail image

কুমিল্লা নগরের উন্নয়নের জন্য তিন বছর আগে ১ হাজার ৫৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ৯৭৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এ পর্যন্ত ছাড় দিয়েছে সরকার। কিন্তু কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এ পর্যন্ত ৩৫০ কোটি টাকার কাজ করেছে। এর মধ্যে দৃশ্যমান কাজ খুবই কম। জনবল সংকট ও মনিটরিং কাজের লোকের অভাবে প্রকল্পের কাজ এগুচ্ছে না।

নগরবাসীর অভিযোগ, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গতানুগতিক কাজ করছে। এখানে মেধাবী, চৌকস ও বুদ্ধিদীপ্ত লোকের অভাব আছে। যে কারণে তাঁরা নালা, সড়ক ও ফুটপাতের কাজে মেগাপ্রকল্পের টাকা খরচ করছে। এতো বড় প্রকল্পের কোন দৃষ্টিনন্দন কাজ নগরবাসীর সামনে তুলে ধরতে পারেনি। মেধাবী ও পরিশ্রমী কর্মকর্তা যে কয়েকজন আছেন, তাঁদের নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে কমপক্ষে দুই বা ততোধিক দায়িত্ব দেওয়া আছে।

নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কাজের জন্য ১ হাজার ৫৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। তিন বছর ওই প্রকল্পের মেয়াদ ছিল। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের সময়সীমা নির্ধারণ ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় এক বছর প্রকল্পের বাড়ানো হয়। এখন নতুন করে আরও দুই বছর বাড়ানো হচ্ছে।

মেগা প্রকল্পের মধ্যে ১২৫ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৫ তলা নগর ভবন ও সেবক কলোনিসহ মোট ২২০ কোটি টাকা, হাতির ঝিলের আদলে পুরাতন গোমতী নদী ও নগরের বিভিন্ন পুকুরের উন্নয়ন বাবদ ২১৪ কোটি টাকা ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মোস্তফাপুর এলাকায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয় । এখন পর্যন্ত বড় তিনটি প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। এর আগে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৮৯০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। গত চার মাসে আরও ৮৮ কোটি টাকা মেলে।

প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলছেন, মেগা প্রকল্প অনুমোদনের পর প্রশাসনিক নথি চালাচালি করতে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি- মার্চ পর্যন্ত সময় লাগে। এরপর ২০২২ সালের ১৫ জুন সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়। ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর তৎকালীন সিটি মেয়র আরফানুল হক রিফাত মারা যান। এরপর ভারপ্রাপ্ত মেয়র দায়িত্বে ছিলেন। ২০২৪ সালের ৯ মার্চ মেয়র পদে উপনির্বাচন হয়। পরবর্তীতে নতুন মেয়র তাহসীন বাহার দায়িত্ব নেন। তিনিও সাড়ে তিন মাসের মতো দায়িত্বে ছিলেন। পরে নির্বাহী আদেশে সারাদেশে সব সিটি করপোরেশনের মেয়রকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এসব কারণেও প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। নির্বাচিত মেয়র, কাউন্সিলর, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নগর পরিকল্পনাবিদ না থাকায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অযোগ্য লোকদের হাতে নগর ভবনের কয়েকটি বিভাগের কাজের দায়িত্ব থাকায় প্রকল্প এগুচ্ছে না।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মো. আবু সায়েম ভূঁইয়া বলেন, নগর ভবন প্রাথমিকভাবে ১০ তলার অনুমোদন মিলেছে। পরে বাকি পাঁচতলা করা হবে। এখন টেন্ডার করার জন্য প্রশাসনিক অনুমোদনের অপেক্ষায় আছি। অন্যান্য প্রকল্পের কাজও হচ্ছে। আমরা সীমিত সংখ্যক লোকবল দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১

মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

২

এবার জলাবদ্ধতা নিরসনে খালের ময়লা অপসারণে নেমেছে ‘বিবেক’

৩

চাঁদাবাজ ও দলের বদনাম হয় এমন কাউকে কমিটিতে রাখা যাবে না: সুমন

৪

মেগা প্রকল্পের চারভাগের এক ভাগ টাকাও খরচ করতে পারেনি

৫

মুরাদনগরে বিষাক্ত মদপানে দুইজনের মৃত্যু

সম্পর্কিত

মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৩ ঘণ্টা আগে
এবার জলাবদ্ধতা নিরসনে খালের ময়লা অপসারণে নেমেছে ‘বিবেক’

এবার জলাবদ্ধতা নিরসনে খালের ময়লা অপসারণে নেমেছে ‘বিবেক’

৫ ঘণ্টা আগে
চাঁদাবাজ ও দলের বদনাম হয় এমন কাউকে কমিটিতে রাখা যাবে না: সুমন

চাঁদাবাজ ও দলের বদনাম হয় এমন কাউকে কমিটিতে রাখা যাবে না: সুমন

৮ ঘণ্টা আগে
মুরাদনগরে বিষাক্ত মদপানে দুইজনের মৃত্যু

মুরাদনগরে বিষাক্ত মদপানে দুইজনের মৃত্যু

১ দিন আগে