সরকারি খাতায় ডেঙ্গুর হিসেব নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লার দাউদকান্দির পৌর এলাকায় ছড়িয়েছে ডেঙ্গু। প্রতি ঘরেই আছে রোগী। কিন্তু সরকারি হিসেবে নেই এসব তথ্য। এদিকে ডেঙ্গুতে এই উপজেলায় মৃত্যু হয়েছে চারজনের। এদের মৃত্যুর বিষয়টি সামান্য আলোচনায় এলেও ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এ অবস্থায় অবনতির দিকে যাচ্ছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সূত্রে জানা গেছে, দাউদকান্দির ডেঙ্গু পরিস্থিতি দেশের সবচেয়ে খারাপ। পৌর এলাকার সব ঘরেই কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকে ছাড়ছেন এলাকা। তবে এসবের কিছুই জানে না সরকারি কোন দপ্তর। তাই পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নিতে পারছে না কেউ।
সূত্রে জানা গেছে, গত ১ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় সরকারি হিসেবে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৬৫ জন। দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মকর্তা জানান, আমরা দাউদকান্দির অন্তত ৩৪টি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে খবর নিয়ে দেখেছি প্রায় এক হাজার ৬০০ রোগী আছে। যা সরকারি হিসেবে নেই।
গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা জেলায় ২৪ জনের ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর জানিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। কিন্তু শুধু দাউদকান্দিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ জন। অথচ সরকারি হিসেবে দাউদকান্দিতে মাত্র ৪জন আক্রান্তের খবর জানানো হয়েছে।
কেন সরকারি হিসেবে গড়মিল: জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ওয়েবসাইটে রোগীর তথ্য আপলোড করার সময় আমরা রোগীর বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করতে হয়। সরকারি হাসপাতালে যেসব রোগী আসে আমরা তার তথ্য ওয়েবসাইটে আপলোড করতে পারি। কিন্তু যেগুলো বেসরকারি হাসপাতালে আছে আমরা তাদের তথ্য পাইনা। বেসরকারি হাসপাতাল অনেক সময় তথ্য দেয় না। আবার অনেকে হাসপাতাল দিতে চাইলেও লোকবল সংকটের কারণে তা পারে না।
এ প্রসঙ্গে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আলী নুর মোহাম্মদ বশীর আহমেদ বলেন, দাউদকান্দিতে আমি নিজেই গিয়েছি। অবস্থা খারাপই। আমরা পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন সাব সেন্টারকে নির্দেশনা দিয়েছি।
সরকারি খাতায় হিসেব নেই এই বিষয়ে তিনি বলেন, ডেঙ্গুর রোগীর সংখ্যার সরকারি হিসেবে আসলেই নগণ্য। তবে আমরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের খোঁজ নিয়েছি। রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। আমরা সেটি রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (আইইডিসিআর) জানিয়েছি।
একই উপজেলায় চার জনের মৃত্যু: কুমিল্লার দাউদকান্দিতে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। দাউদকান্দি উপজলো স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান জানান, পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন ও মারুকা ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের একজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাঁরা দাউদকান্দিতে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় গিয়ে তিনজন ও কুমিল্লায় একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাদের চারজনই নারী।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ১৯ জুন কুমিল্লায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন মারুকা ইউনিয়নের আরিফ হোসেনের স্ত্রী লিমা আক্তার (২৪)। অন্যরা হলেন, দোনারচর গ্রামের সালমা বেগম (৫৬), শাহীনূর আক্তার (২৪) এবং সবজিকান্দি গ্রামের জ্যোৎস্না বেগম (৬০)।
দাউদকান্দি উপজলো স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, দাউদকান্দির সরকারি আর বেসরকারি হিসেবের কোন মিল নেই। তবে আমরা আইইডিসিআরকে বিষয়টি জানিয়েছি। আমরা ঘুরে ঘুরে বেসরকারি হাসপাতাল গুলো থেকে তথ্য এনে তা সরবরাহ করছি। তবে আমরা শুধু দাউদকান্দির তথ্য পাচ্ছি। যাদের ঢাকা ও কুমিল্লা নেয়া হয় তাদের তথ্য পাচ্ছি না।
যে ব্যবস্থা নিল স্বাস্থ্য বিভাগ: এদিকে সিভিল সার্জন আলী নুর মোহাম্মদ বশীর আহমেদ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমকর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান জানান, তারা নিয়মিত রোগীর পরীক্ষা ও সচেতনতা মূলক প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা মানুষকে সচেতন করছে। এছাড়াও বাড়ির আঙিনা পরিচ্ছনা রাখা, দীর্ঘদিন জমে থাকা পানি সরিয়ে ফেলা ও মশক নিধনের জন্য ওষুধ ছিটানোর অনুরোধ করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে প্রচারণামূলক ব্যানার পোস্টার লাগানোর কথাও জানিয়েছেন তারা। এছাড়াও ডেঙ্গুর উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে হাসপাতালে আনার জন্য প্রচারণা করা হয়েছে।
সরকারি হিসেব অনুযায়ী এবছর কুমিল্লায় মোট আক্রান্ত ২৫০ জন। গত ১৭ জুন ডেঙ্গু শনাক্ত হয় চার, ১৮ জুন ২২ জন শনাক্ত হয়, ১৯ জুন ১০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়, ২০ জুন শনাক্ত হয় দুইজন ও গতকাল ২১ জুন সবচেয়ে বেশি ২৪ জন শনাক্ত হয়েছে।
কুমিল্লার দাউদকান্দির পৌর এলাকায় ছড়িয়েছে ডেঙ্গু। প্রতি ঘরেই আছে রোগী। কিন্তু সরকারি হিসেবে নেই এসব তথ্য। এদিকে ডেঙ্গুতে এই উপজেলায় মৃত্যু হয়েছে চারজনের। এদের মৃত্যুর বিষয়টি সামান্য আলোচনায় এলেও ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এ অবস্থায় অবনতির দিকে যাচ্ছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সূত্রে জানা গেছে, দাউদকান্দির ডেঙ্গু পরিস্থিতি দেশের সবচেয়ে খারাপ। পৌর এলাকার সব ঘরেই কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকে ছাড়ছেন এলাকা। তবে এসবের কিছুই জানে না সরকারি কোন দপ্তর। তাই পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নিতে পারছে না কেউ।
সূত্রে জানা গেছে, গত ১ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় সরকারি হিসেবে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৬৫ জন। দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মকর্তা জানান, আমরা দাউদকান্দির অন্তত ৩৪টি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে খবর নিয়ে দেখেছি প্রায় এক হাজার ৬০০ রোগী আছে। যা সরকারি হিসেবে নেই।
গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা জেলায় ২৪ জনের ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর জানিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। কিন্তু শুধু দাউদকান্দিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ জন। অথচ সরকারি হিসেবে দাউদকান্দিতে মাত্র ৪জন আক্রান্তের খবর জানানো হয়েছে।
কেন সরকারি হিসেবে গড়মিল: জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ওয়েবসাইটে রোগীর তথ্য আপলোড করার সময় আমরা রোগীর বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করতে হয়। সরকারি হাসপাতালে যেসব রোগী আসে আমরা তার তথ্য ওয়েবসাইটে আপলোড করতে পারি। কিন্তু যেগুলো বেসরকারি হাসপাতালে আছে আমরা তাদের তথ্য পাইনা। বেসরকারি হাসপাতাল অনেক সময় তথ্য দেয় না। আবার অনেকে হাসপাতাল দিতে চাইলেও লোকবল সংকটের কারণে তা পারে না।
এ প্রসঙ্গে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আলী নুর মোহাম্মদ বশীর আহমেদ বলেন, দাউদকান্দিতে আমি নিজেই গিয়েছি। অবস্থা খারাপই। আমরা পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন সাব সেন্টারকে নির্দেশনা দিয়েছি।
সরকারি খাতায় হিসেব নেই এই বিষয়ে তিনি বলেন, ডেঙ্গুর রোগীর সংখ্যার সরকারি হিসেবে আসলেই নগণ্য। তবে আমরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের খোঁজ নিয়েছি। রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। আমরা সেটি রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (আইইডিসিআর) জানিয়েছি।
একই উপজেলায় চার জনের মৃত্যু: কুমিল্লার দাউদকান্দিতে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। দাউদকান্দি উপজলো স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান জানান, পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন ও মারুকা ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের একজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাঁরা দাউদকান্দিতে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় গিয়ে তিনজন ও কুমিল্লায় একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাদের চারজনই নারী।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ১৯ জুন কুমিল্লায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন মারুকা ইউনিয়নের আরিফ হোসেনের স্ত্রী লিমা আক্তার (২৪)। অন্যরা হলেন, দোনারচর গ্রামের সালমা বেগম (৫৬), শাহীনূর আক্তার (২৪) এবং সবজিকান্দি গ্রামের জ্যোৎস্না বেগম (৬০)।
দাউদকান্দি উপজলো স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, দাউদকান্দির সরকারি আর বেসরকারি হিসেবের কোন মিল নেই। তবে আমরা আইইডিসিআরকে বিষয়টি জানিয়েছি। আমরা ঘুরে ঘুরে বেসরকারি হাসপাতাল গুলো থেকে তথ্য এনে তা সরবরাহ করছি। তবে আমরা শুধু দাউদকান্দির তথ্য পাচ্ছি। যাদের ঢাকা ও কুমিল্লা নেয়া হয় তাদের তথ্য পাচ্ছি না।
যে ব্যবস্থা নিল স্বাস্থ্য বিভাগ: এদিকে সিভিল সার্জন আলী নুর মোহাম্মদ বশীর আহমেদ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমকর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান জানান, তারা নিয়মিত রোগীর পরীক্ষা ও সচেতনতা মূলক প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা মানুষকে সচেতন করছে। এছাড়াও বাড়ির আঙিনা পরিচ্ছনা রাখা, দীর্ঘদিন জমে থাকা পানি সরিয়ে ফেলা ও মশক নিধনের জন্য ওষুধ ছিটানোর অনুরোধ করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে প্রচারণামূলক ব্যানার পোস্টার লাগানোর কথাও জানিয়েছেন তারা। এছাড়াও ডেঙ্গুর উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে হাসপাতালে আনার জন্য প্রচারণা করা হয়েছে।
সরকারি হিসেব অনুযায়ী এবছর কুমিল্লায় মোট আক্রান্ত ২৫০ জন। গত ১৭ জুন ডেঙ্গু শনাক্ত হয় চার, ১৮ জুন ২২ জন শনাক্ত হয়, ১৯ জুন ১০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়, ২০ জুন শনাক্ত হয় দুইজন ও গতকাল ২১ জুন সবচেয়ে বেশি ২৪ জন শনাক্ত হয়েছে।