লাকসাম প্রতিনিধি
২০১৯ সালে কোহেলি হক তাঁর স্বামী এনামুল হক ও তার ভাই ইকবাল হোসেনের সহযোগিতা নিয়ে প্রায় ৪০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসার যাত্রা শুরু করেন। ফেসবুক পেজ খুলে প্রথমে ১০ কেজি রুপচাঁদা মাছের অর্ডার পান। যাতে তাঁর আয় হয়েছিল ১৮০০ টাকা। এরপর আর কোহেলি হকের পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। মিলছিল একের পর এক অর্ডার। ফেসবুক অনলাইনে তাঁর পেজের নাম ‘মাছে ভাতে বাঙালিয়ানা’। বিভিন্ন বাজার থেকে খুঁজে খুঁজে নদী-হাওরের মাছ কিনে আনেন। এরপর সেগুলো ভালোভাবে প্যাকেজিং করে বিক্রি করেন অনলাইনে। তাঁর মাছের ব্যবসা এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইনে।
দেশের বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ছাড়াও বর্তমানে আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও সুইজারল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিজ দায়িত্বে রপ্তানি করে থাকেন। প্রতি মাসে অন্তত ৭০-৮০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হচ্ছে কোহেলি ফেসবুকভিত্তিক অনলাইন ‘মাছে ভাতে বাঙালিয়ানা’ থেকে। সব খরচ বাদ দিয়ে মাছের ব্যবসা থেকে মাসে প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকা আয় করেন তিনি।
কোহেলি হক ১৯৮৬ সালের ২৫ এপ্রিল লাকসাম পৌরশহরে ফতেপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা প্রয়াত দেলোয়ার হোসেন। তিনিও একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। আর মা শামসুন্নাহার বেগম ছিলেন গৃহিণী। কোহেলি হক ১৯৯২সালে দৌলতগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা শুরু করে পরে পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজে ভর্তি হন। এইচএসসি পরীক্ষার সময় ২০০৬ সালে বিয়ের বেড়াজালে আটকে পড়েন কোহেলি হক। ফলে থমকে যায় তাঁর শিক্ষাজীবন। তাঁর তিনটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
এমন উদ্যোগ সম্পর্কে কোহেলি হক বলেন, আমার পরিবার আমাকে প্রথম থেকেই ব্যবসার জন্য উৎসাহ দিয়েছে। এখন আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও উৎসাহ দিচ্ছে। আমাদের পরিবারে অর্থনৈতিক কোনো সংকট নেই। কিছু একটা করার ইচ্ছা থেকেই উদ্যোক্তার খাতায় নাম লিখিয়েছি।
পড়াশোনা শেষ করে সংসার করার পাশাপাশি নিজে কিছু একটা করার দৃঢ় ইচ্ছে থেকেই মাথায় আসে অনলাইন ব্যবসার প্লান। তবে এ কাজে সবসময় তাঁর স্বামী ও বড় ভাই ইকবাল হোসেনের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। সেই সঙ্গে শ্বশুর বাড়ির সার্পোটের কথাও জানান তিনি।
বর্তমান ব্যবসার অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে মাছ বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও বাসাবাড়িতে ককশিটের বাক্সে বরফ দিয়ে বাসে করে মাছ পাঠাই। বরফে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত মাছ সতেজ থাকে। দেশের জেলা উপজেলা আমার পরিচিত ডেলিভারিম্যান মাছ সংগ্রহ করে গ্রাহকের বাসায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহেই গ্রাহকদের অর্ডার থাকে। ফেসবুক পেজের পাশাপাশি ফোনেও অর্ডার আসে। এছাড়াও অনলাইনে বিদেশে মাছ রপ্তানি করে থাকি। স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন বাজার ঘুরে-ঘুরে নদী-হাওয়ের মাছ কিনি। গ্রাহকরা আমার কাছ থেকে মাছ নিয়ে যখন সন্তুষ্টির কথা জানান, তখন নিজের সকল প্রচেষ্টা সফল বলে মনে হয়।
অন্য নারীদেরও উচিত হবে শুধু শুধু ঘরে বসে না থেকে সংসারের পাশাপাশি কিছু একটা করা। স্বপ্ন, সামান্য পুঁজি আর পরিশ্রম থাকলেই অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।
২০১৯ সালে কোহেলি হক তাঁর স্বামী এনামুল হক ও তার ভাই ইকবাল হোসেনের সহযোগিতা নিয়ে প্রায় ৪০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসার যাত্রা শুরু করেন। ফেসবুক পেজ খুলে প্রথমে ১০ কেজি রুপচাঁদা মাছের অর্ডার পান। যাতে তাঁর আয় হয়েছিল ১৮০০ টাকা। এরপর আর কোহেলি হকের পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। মিলছিল একের পর এক অর্ডার। ফেসবুক অনলাইনে তাঁর পেজের নাম ‘মাছে ভাতে বাঙালিয়ানা’। বিভিন্ন বাজার থেকে খুঁজে খুঁজে নদী-হাওরের মাছ কিনে আনেন। এরপর সেগুলো ভালোভাবে প্যাকেজিং করে বিক্রি করেন অনলাইনে। তাঁর মাছের ব্যবসা এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইনে।
দেশের বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ছাড়াও বর্তমানে আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও সুইজারল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিজ দায়িত্বে রপ্তানি করে থাকেন। প্রতি মাসে অন্তত ৭০-৮০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হচ্ছে কোহেলি ফেসবুকভিত্তিক অনলাইন ‘মাছে ভাতে বাঙালিয়ানা’ থেকে। সব খরচ বাদ দিয়ে মাছের ব্যবসা থেকে মাসে প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকা আয় করেন তিনি।
কোহেলি হক ১৯৮৬ সালের ২৫ এপ্রিল লাকসাম পৌরশহরে ফতেপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা প্রয়াত দেলোয়ার হোসেন। তিনিও একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। আর মা শামসুন্নাহার বেগম ছিলেন গৃহিণী। কোহেলি হক ১৯৯২সালে দৌলতগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা শুরু করে পরে পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজে ভর্তি হন। এইচএসসি পরীক্ষার সময় ২০০৬ সালে বিয়ের বেড়াজালে আটকে পড়েন কোহেলি হক। ফলে থমকে যায় তাঁর শিক্ষাজীবন। তাঁর তিনটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
এমন উদ্যোগ সম্পর্কে কোহেলি হক বলেন, আমার পরিবার আমাকে প্রথম থেকেই ব্যবসার জন্য উৎসাহ দিয়েছে। এখন আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও উৎসাহ দিচ্ছে। আমাদের পরিবারে অর্থনৈতিক কোনো সংকট নেই। কিছু একটা করার ইচ্ছা থেকেই উদ্যোক্তার খাতায় নাম লিখিয়েছি।
পড়াশোনা শেষ করে সংসার করার পাশাপাশি নিজে কিছু একটা করার দৃঢ় ইচ্ছে থেকেই মাথায় আসে অনলাইন ব্যবসার প্লান। তবে এ কাজে সবসময় তাঁর স্বামী ও বড় ভাই ইকবাল হোসেনের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। সেই সঙ্গে শ্বশুর বাড়ির সার্পোটের কথাও জানান তিনি।
বর্তমান ব্যবসার অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে মাছ বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও বাসাবাড়িতে ককশিটের বাক্সে বরফ দিয়ে বাসে করে মাছ পাঠাই। বরফে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত মাছ সতেজ থাকে। দেশের জেলা উপজেলা আমার পরিচিত ডেলিভারিম্যান মাছ সংগ্রহ করে গ্রাহকের বাসায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহেই গ্রাহকদের অর্ডার থাকে। ফেসবুক পেজের পাশাপাশি ফোনেও অর্ডার আসে। এছাড়াও অনলাইনে বিদেশে মাছ রপ্তানি করে থাকি। স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন বাজার ঘুরে-ঘুরে নদী-হাওয়ের মাছ কিনি। গ্রাহকরা আমার কাছ থেকে মাছ নিয়ে যখন সন্তুষ্টির কথা জানান, তখন নিজের সকল প্রচেষ্টা সফল বলে মনে হয়।
অন্য নারীদেরও উচিত হবে শুধু শুধু ঘরে বসে না থেকে সংসারের পাশাপাশি কিছু একটা করা। স্বপ্ন, সামান্য পুঁজি আর পরিশ্রম থাকলেই অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।