বাতির নিচে অন্ধকার
মুরাদনগর প্রতিনিধি

কুমিল্লার মুরাদনগরে ঘরের পাশের একাধিক খনি থেকে গ্যাস উত্তেলন হলেও আবাসিক খাতে জ্বালানি গ্যাস বঞ্চিত অধিকাংশ পরিবার। প্রাকৃতিক গ্যাসের নগরী মুরাদনগরকে বলা হলেও এসব গ্যাস ক্ষেত্রের গ্যাসের সুবিধা পায়নি হাজার হাজার পরিবার। সাধারণ মানুষের দাবি মুরাদনগরের গ্যাস দিয়ে দেশের বৃহৎ শিল্প কারখানা ও আবাসিক খাতে হাজার হাজার পরিবার এর সুফল ভোগ করলেও মুরাদনগরের মানুষ এর সুফল পাচ্ছে নামমাত্র। মুরাদনগরে আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করছেন মাত্র ১২ হাজার গ্রাহক।
মুরাদনগর উপজেলার ২২টি ইউনিয়ন, ৩০৮ টি গ্রামের মধ্যে মুরাদনগর সদরে আবাসিক খাতে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারকারী চোখে পড়ার মতো। তাছাড়া অন্য কয়েকটি ইউনিয়নে নামমাত্র কিছু পরিবার গ্যাস ব্যবহার করছেন। মুরাদনগর উপজেলার লক্ষাধিক পরিবারের একমাত্র ভরসা মাটির চুলা। তাছাড়া উচ্চবিত্ত কোনো কোনো পরিবার আবার বাড়তি টাকা দিয়ে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করছেন। গ্যাস না পাওয়ায় উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন জায়গায় বহুতল ভবন মালিকরা রয়েছেন বিপাকে। মুরাদনগরের গ্যাস দিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভাড়ায় চলছে লাখ লাখ বাসা বাড়ি ও কল-কারখানা। কিন্তু ঘরের পাশে গ্যাসের খনি থাকলেও এ ঘরেই নেই গ্যাস। এ যেন বাতির নিচে অন্ধকার।
কুমিল্লা জেলায় একমাত্র উপজেলা মুরাদনগর হতে প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তেলিত হয়। মুরাদনগর উপজেলায় অবিস্থিত বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ড, বাঙ্গরা গ্যাস ফিল্ড, শ্রীকাইল-৩ (মুকলিশপুর) গ্যাস ফিল্ড থেকে প্রতিদিন উত্তোলন করা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাস। বাখরাবাদ ফিল্ডের গ্যাস বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মাধ্যমে সরবরাহ হচ্ছে। শ্রীকাইল-৩ (মকলিশপুর) ও বাঙ্গরা গ্যাস ফিল্ডের গ্যাস বাপেক্স এবং বেসরকারি কোম্পানি তাল্লো যৌথভাবে উত্তোলন ও সরবরাহ করছে। প্রথমে এ উপজেলায় ১৯৬৯ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার শেলওয়ে কোম্পানিকে বাখরাবাদ গ্যাস ক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে এখানে মোট মজুদ গ্যাসের পরিমাণ ১ দশমিক ০৪৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট(টিসিএফ)। ১৯৮৪ সালে বাখরাবাদ গ্যাস ক্ষেত্র থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। ২০১২ সালে বাঙ্গরা মকলিশপুর গ্রামে আবিষ্কৃত গ্যাস ফিল্ড থেকে ৭মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, ২০১৪ সালে গ্যাস পাওয়ার দাবিতে ‘আমাদের গ্যাস আমাদের অধিকার’ আন্দেলনের অংশ হিসাবে মুরাদনগর উপজেলার ২২টি ইউনিয়ন থেকে লক্ষাধিক লোকের গণস্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়েছিল। এই গণস্বাক্ষর তৎকালীন প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়। আন্দোলনের প্রায় এক যুগ পার হতে চলছে তবুও এ উপজেলার মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হয়নি। তবে দিন যতই গড়াচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাসের মজুদ ততই কমছে। আর মুরাদনগরবাসীর গ্যাস পাওয়া অনিশ্চয়তার শঙ্কা যেন দিন দিন বাড়ছে।
জাহাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ সওকত আহমেদ মীর বলেন, শুধু জাহাপুর ইউনিয়নের মানুষের নয়, মুরাদনগর উপজেলার সর্বসাধারণ মানুষের প্রাণের দাবি এ উপজেলার ২২টি ইউনিয়নে আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগের। এ উপজেলায় উত্তেলিত প্রাকৃতিক গ্যাস রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যবহৃত হচ্ছে। তারপরও মুরাদনগরবাসী আবাসিক খাতে গ্যাস থেকে বঞ্চিত। সরকারের নিকট আমাদের প্রাণের দাবি আমাদের এলাকায় উৎপাদিত গ্যাস আমাদের ব্যবহার করার জন্য যেন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির ডিজিএম মো. আব্দুর রহিম প্রমাণিক বলেন, আমরা এখান থেকে গ্যাস উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করি। গ্যাস বিপণন বা সংযোগ দেওয়ার কাজ আমাদের নয়। যারা গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন করে তারা এ বিষয়ে আরো ভালো বলতে পারবেন।

কুমিল্লার মুরাদনগরে ঘরের পাশের একাধিক খনি থেকে গ্যাস উত্তেলন হলেও আবাসিক খাতে জ্বালানি গ্যাস বঞ্চিত অধিকাংশ পরিবার। প্রাকৃতিক গ্যাসের নগরী মুরাদনগরকে বলা হলেও এসব গ্যাস ক্ষেত্রের গ্যাসের সুবিধা পায়নি হাজার হাজার পরিবার। সাধারণ মানুষের দাবি মুরাদনগরের গ্যাস দিয়ে দেশের বৃহৎ শিল্প কারখানা ও আবাসিক খাতে হাজার হাজার পরিবার এর সুফল ভোগ করলেও মুরাদনগরের মানুষ এর সুফল পাচ্ছে নামমাত্র। মুরাদনগরে আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করছেন মাত্র ১২ হাজার গ্রাহক।
মুরাদনগর উপজেলার ২২টি ইউনিয়ন, ৩০৮ টি গ্রামের মধ্যে মুরাদনগর সদরে আবাসিক খাতে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারকারী চোখে পড়ার মতো। তাছাড়া অন্য কয়েকটি ইউনিয়নে নামমাত্র কিছু পরিবার গ্যাস ব্যবহার করছেন। মুরাদনগর উপজেলার লক্ষাধিক পরিবারের একমাত্র ভরসা মাটির চুলা। তাছাড়া উচ্চবিত্ত কোনো কোনো পরিবার আবার বাড়তি টাকা দিয়ে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করছেন। গ্যাস না পাওয়ায় উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন জায়গায় বহুতল ভবন মালিকরা রয়েছেন বিপাকে। মুরাদনগরের গ্যাস দিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভাড়ায় চলছে লাখ লাখ বাসা বাড়ি ও কল-কারখানা। কিন্তু ঘরের পাশে গ্যাসের খনি থাকলেও এ ঘরেই নেই গ্যাস। এ যেন বাতির নিচে অন্ধকার।
কুমিল্লা জেলায় একমাত্র উপজেলা মুরাদনগর হতে প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তেলিত হয়। মুরাদনগর উপজেলায় অবিস্থিত বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ড, বাঙ্গরা গ্যাস ফিল্ড, শ্রীকাইল-৩ (মুকলিশপুর) গ্যাস ফিল্ড থেকে প্রতিদিন উত্তোলন করা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাস। বাখরাবাদ ফিল্ডের গ্যাস বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মাধ্যমে সরবরাহ হচ্ছে। শ্রীকাইল-৩ (মকলিশপুর) ও বাঙ্গরা গ্যাস ফিল্ডের গ্যাস বাপেক্স এবং বেসরকারি কোম্পানি তাল্লো যৌথভাবে উত্তোলন ও সরবরাহ করছে। প্রথমে এ উপজেলায় ১৯৬৯ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার শেলওয়ে কোম্পানিকে বাখরাবাদ গ্যাস ক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে এখানে মোট মজুদ গ্যাসের পরিমাণ ১ দশমিক ০৪৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট(টিসিএফ)। ১৯৮৪ সালে বাখরাবাদ গ্যাস ক্ষেত্র থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। ২০১২ সালে বাঙ্গরা মকলিশপুর গ্রামে আবিষ্কৃত গ্যাস ফিল্ড থেকে ৭মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, ২০১৪ সালে গ্যাস পাওয়ার দাবিতে ‘আমাদের গ্যাস আমাদের অধিকার’ আন্দেলনের অংশ হিসাবে মুরাদনগর উপজেলার ২২টি ইউনিয়ন থেকে লক্ষাধিক লোকের গণস্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়েছিল। এই গণস্বাক্ষর তৎকালীন প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়। আন্দোলনের প্রায় এক যুগ পার হতে চলছে তবুও এ উপজেলার মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হয়নি। তবে দিন যতই গড়াচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাসের মজুদ ততই কমছে। আর মুরাদনগরবাসীর গ্যাস পাওয়া অনিশ্চয়তার শঙ্কা যেন দিন দিন বাড়ছে।
জাহাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ সওকত আহমেদ মীর বলেন, শুধু জাহাপুর ইউনিয়নের মানুষের নয়, মুরাদনগর উপজেলার সর্বসাধারণ মানুষের প্রাণের দাবি এ উপজেলার ২২টি ইউনিয়নে আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগের। এ উপজেলায় উত্তেলিত প্রাকৃতিক গ্যাস রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যবহৃত হচ্ছে। তারপরও মুরাদনগরবাসী আবাসিক খাতে গ্যাস থেকে বঞ্চিত। সরকারের নিকট আমাদের প্রাণের দাবি আমাদের এলাকায় উৎপাদিত গ্যাস আমাদের ব্যবহার করার জন্য যেন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির ডিজিএম মো. আব্দুর রহিম প্রমাণিক বলেন, আমরা এখান থেকে গ্যাস উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করি। গ্যাস বিপণন বা সংযোগ দেওয়ার কাজ আমাদের নয়। যারা গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন করে তারা এ বিষয়ে আরো ভালো বলতে পারবেন।