গাজীউল হক সোহাগ

ধানি জমির আইলের পাশে সোনালি ধান। মাঠ জুড়ে হেমন্তের রোদ গায়ে মাখা ধান। ধানের ওপর হেমন্তের রোদ খেলা করছে। অগ্রহায়ণের এই সময়ে ফসলি জমির যেদিক যতদূর চোখ যায়, শুধু ধান আর ধান। কোনো জমির ধান পাকা। কোনোটি আধাপাকা, কোনোটি কাঁচা। কোনো জমির ধান কাটা শুরু হয়েছে। মাঠজুড়ে এবার বাম্পার ফলন, তা দেখে কিষাণ-কিষাণির মনে খুশির জোয়ার। খুশির বারতা। ঘরে ধান তুলে কদিন পর কুয়াশা মোড়ানো সকালে নতুন চালের, গুড়ির পিঠায় ঢেকুর তুলবে। প্রকৃতি আর নবান্ন উৎসব নতুন ধানে মিলেমিশে একাকার হবে। এবাড়ি ওবাড়ি থেকে স্বজনেরা আসবে। অতিথি আপ্যায়ন হবে। গ্রামীণ জনপদে কড়কড়ে মুড়ির সঙ্গে মিঠাইয়ের টুকরো স্বাদে অতুলনীয় হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর, বড় ধর্মপুর, দুর্গাপুর, লালমাই , বরুড়ার চণ্ডীমূড়া, ফলকামুড়ি, লাইজলা, কাঞ্চনপুর, নলুয়া, পেরপেটি, হেরপেটি ও বিকেলে লাকসাম উপজেলার পুরানপুর, বিজরা, মুদাফরগঞ্জ ঘুরে দেখা গেছে, সকাল, দুপুর ও বিকেলের আলো ধানের ওপরে মাথা পেতে আছে। গত শনিবার পড়ন্ত বিকেলে লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে বড়ভাতুয়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, পশ্চিমাকাশে শেষ রোদ সোনালি ধানের ওপর মাথা পেতে আছে। কী অদ্ভুত সুন্দর সেই দৃশ্য! আর ভোরের রোদ শিশিরভেজা ধানের ওপর আরও মুগ্ধতা ছড়ায়।
ফলকামুড়ি এলাকার মনোহর আলী (৫৮) নামের এক কৃষক জানালেন, সপ্তাহ দুয়েক পর মাঠের পর মাঠে ধান কাটা হবে। মুঠোভর্তি ধানের গোছায় কাঁচি চালিয়ে হলুদ পাকা ধানকে শোয়ানো হবে। তারপর বেঁধে মাড়াই করা হবে। একেকটি বাড়ির আঙিনায় কী যে কর্মব্যস্ত থাকবে বাঙালি! আহ হা, এটাই এদেশের কৃষকের স্বপ্ন।
কবি জীবনানন্দ দাশের নবান্নের দেশে সবুজ ধান গাছে হলুদ সোনালি ধানের দোল খাওয়া প্রকৃতির এক অপূর্ব দান। এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় জমিনে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। একেকটি জমিতে হলদে ধানের চিত্র ফুটে উঠেছে। নানা প্রজাতির ধানের দৃশ্য হেমন্তের এই সময়ে আপনাকে দারুণভাবে মোহিত করবে।
আদর্শ সদর উপজেলার মনাগ্রামের সৃজনশীল কৃষক মঞ্জুর হোসেন বলেন, আমি আগে এই সময়ে বেগুনী রঙের ধান করতাম। এবার কালো ধানও করেছি। এই সময়ে আমার এলাকায় ভাতের চাল, পোলাওয়ের চালের ধানও করি। বাম্পার ফলন হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, এবার কুমিল্লা জেলায় আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে একটু বেশি, ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৭৫ হেক্টও জমিতে। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ৭৪ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন। এবার ফলন লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।

ধানি জমির আইলের পাশে সোনালি ধান। মাঠ জুড়ে হেমন্তের রোদ গায়ে মাখা ধান। ধানের ওপর হেমন্তের রোদ খেলা করছে। অগ্রহায়ণের এই সময়ে ফসলি জমির যেদিক যতদূর চোখ যায়, শুধু ধান আর ধান। কোনো জমির ধান পাকা। কোনোটি আধাপাকা, কোনোটি কাঁচা। কোনো জমির ধান কাটা শুরু হয়েছে। মাঠজুড়ে এবার বাম্পার ফলন, তা দেখে কিষাণ-কিষাণির মনে খুশির জোয়ার। খুশির বারতা। ঘরে ধান তুলে কদিন পর কুয়াশা মোড়ানো সকালে নতুন চালের, গুড়ির পিঠায় ঢেকুর তুলবে। প্রকৃতি আর নবান্ন উৎসব নতুন ধানে মিলেমিশে একাকার হবে। এবাড়ি ওবাড়ি থেকে স্বজনেরা আসবে। অতিথি আপ্যায়ন হবে। গ্রামীণ জনপদে কড়কড়ে মুড়ির সঙ্গে মিঠাইয়ের টুকরো স্বাদে অতুলনীয় হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর, বড় ধর্মপুর, দুর্গাপুর, লালমাই , বরুড়ার চণ্ডীমূড়া, ফলকামুড়ি, লাইজলা, কাঞ্চনপুর, নলুয়া, পেরপেটি, হেরপেটি ও বিকেলে লাকসাম উপজেলার পুরানপুর, বিজরা, মুদাফরগঞ্জ ঘুরে দেখা গেছে, সকাল, দুপুর ও বিকেলের আলো ধানের ওপরে মাথা পেতে আছে। গত শনিবার পড়ন্ত বিকেলে লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে বড়ভাতুয়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, পশ্চিমাকাশে শেষ রোদ সোনালি ধানের ওপর মাথা পেতে আছে। কী অদ্ভুত সুন্দর সেই দৃশ্য! আর ভোরের রোদ শিশিরভেজা ধানের ওপর আরও মুগ্ধতা ছড়ায়।
ফলকামুড়ি এলাকার মনোহর আলী (৫৮) নামের এক কৃষক জানালেন, সপ্তাহ দুয়েক পর মাঠের পর মাঠে ধান কাটা হবে। মুঠোভর্তি ধানের গোছায় কাঁচি চালিয়ে হলুদ পাকা ধানকে শোয়ানো হবে। তারপর বেঁধে মাড়াই করা হবে। একেকটি বাড়ির আঙিনায় কী যে কর্মব্যস্ত থাকবে বাঙালি! আহ হা, এটাই এদেশের কৃষকের স্বপ্ন।
কবি জীবনানন্দ দাশের নবান্নের দেশে সবুজ ধান গাছে হলুদ সোনালি ধানের দোল খাওয়া প্রকৃতির এক অপূর্ব দান। এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় জমিনে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। একেকটি জমিতে হলদে ধানের চিত্র ফুটে উঠেছে। নানা প্রজাতির ধানের দৃশ্য হেমন্তের এই সময়ে আপনাকে দারুণভাবে মোহিত করবে।
আদর্শ সদর উপজেলার মনাগ্রামের সৃজনশীল কৃষক মঞ্জুর হোসেন বলেন, আমি আগে এই সময়ে বেগুনী রঙের ধান করতাম। এবার কালো ধানও করেছি। এই সময়ে আমার এলাকায় ভাতের চাল, পোলাওয়ের চালের ধানও করি। বাম্পার ফলন হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, এবার কুমিল্লা জেলায় আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে একটু বেশি, ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৭৫ হেক্টও জমিতে। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ৭৪ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন। এবার ফলন লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।