আবদুল্লাহ আল মারুফ
কুমিল্লায় বৈষম্যবীরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলা নিয়ে কুমিল্লার আদালতে তুলকালাম চলছে। এ ঘটনায় হাজিরা দিতে এসেছেন প্রায় দুই ডজন আইনজীবী। বাইরের স্লোগান দিচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। আর এজলাস থেকে বেরিয়ে আইনজীবীরা জানালেন বাদী আপসনামা দিয়েছে। আর বাদী এসে বললেন আপসনামা দূরে থাকা এমন কোনো কথাও হয়নি। আর উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে যৌথবাহিনী।
হাজিরা নিয়ে আদালতে তুলকালাম
বেলা ১১টার দিকে আদালতে আইনজীবীরাসহ আসামিরা হাজির হলে আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থান নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরাসহ স্থানীয় জনতা। এ সময় তারা নানান ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় তারা স্বৈরাচারের গতিতে আগুন জ্বালো একসাথে, একশন একশন ছাত্র জনতার একশন। আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে। স্বৈরাচারের দোসরেরা, হুঁশিয়ার সাবধানসহ নানান ধরনের স্লোগান দেয়। এতে আদালত চত্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে বেলা দেড়টার কিছু সময় আগে কুমিল্লার সিনিয়র জেলা ও দায়রাজজ মাহাবুবুর রহমান হাজিরার দ্বিতীয় শুনানির সময় নির্ধারণ করেন দুপুর আড়াইটার দিকে। যা এখনও চলমান।
এদিকে উত্তপ্ত ছাত্রজনতার সামনে বক্তব্যে মামলার বাদী ইনজামুল হক রানা, মাছুমুল বারি কাউসারসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, যদি আজ আইনজীবী বলে মামলার আসামিদের আইনের আওতায় না এনে ছেড়ে দেয়া হয় তবে ছাত্রজনতা নিজেই এসবের বিচার করবে। আমরা আদালতের ওপর আস্থা রাখি। আমরা বিশ্বাস করি আদালত আইনের সঠিক ব্যবহার ও জনতার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মামলা পরিচালনা করবে।
আপসনামা নিয়ে দুই পক্ষের দুই মত
আপসনামা নিয়ে কুমিল্লার আদালতে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে। আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমেন ফেরদৌস বলেন, আজকের উপস্থিত ১৮ থেকে ১৯ জনের জন্য বাদী নিজেই আপসনামা দিয়েছে। আমরা তা আদালতে পেশ করেছি।
বাদী বলছে আপসনামা দেয়নি। এ বিষয়ে কোনো আলোচনাও হয়নি এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি এমন প্রশ্নে আব্দুল মোমেন ফেরদৌস বলেন, অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই, কারণ সেখানে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেয়া আছে। তারা ভুয়া বলছে কেন জানি না।
মামলার বাদী ইনজামুল হক রানা বলেন, আমরা কোনো কথাই বলিনি। আপসের বিষয়ে জানি না, কে এসব ভুয়া কথা বলছে। এসব ষড়যন্ত্রের অংশ ছাড়া কিছুই নয়।
জানা গেছে, ছাত্র আন্দোলনের সময় ৩ আগস্ট কুমিল্লার পুলিশ লাইন এলাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বহু ছাত্র-জনতা আহত হয়। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর কুমিল্লা নগরের পুলিশ লাইনস এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ, ককটেল বিস্ফোরণসহ হামলার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারসহ ২৬১ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের অধিকাংশই আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের অনুসারী। তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছাড়াও মামলায় আসামির তালিকায় আইনজীবী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ আছেন।
কুমিল্লায় বৈষম্যবীরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলা নিয়ে কুমিল্লার আদালতে তুলকালাম চলছে। এ ঘটনায় হাজিরা দিতে এসেছেন প্রায় দুই ডজন আইনজীবী। বাইরের স্লোগান দিচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। আর এজলাস থেকে বেরিয়ে আইনজীবীরা জানালেন বাদী আপসনামা দিয়েছে। আর বাদী এসে বললেন আপসনামা দূরে থাকা এমন কোনো কথাও হয়নি। আর উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে যৌথবাহিনী।
হাজিরা নিয়ে আদালতে তুলকালাম
বেলা ১১টার দিকে আদালতে আইনজীবীরাসহ আসামিরা হাজির হলে আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থান নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরাসহ স্থানীয় জনতা। এ সময় তারা নানান ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় তারা স্বৈরাচারের গতিতে আগুন জ্বালো একসাথে, একশন একশন ছাত্র জনতার একশন। আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে। স্বৈরাচারের দোসরেরা, হুঁশিয়ার সাবধানসহ নানান ধরনের স্লোগান দেয়। এতে আদালত চত্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে বেলা দেড়টার কিছু সময় আগে কুমিল্লার সিনিয়র জেলা ও দায়রাজজ মাহাবুবুর রহমান হাজিরার দ্বিতীয় শুনানির সময় নির্ধারণ করেন দুপুর আড়াইটার দিকে। যা এখনও চলমান।
এদিকে উত্তপ্ত ছাত্রজনতার সামনে বক্তব্যে মামলার বাদী ইনজামুল হক রানা, মাছুমুল বারি কাউসারসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, যদি আজ আইনজীবী বলে মামলার আসামিদের আইনের আওতায় না এনে ছেড়ে দেয়া হয় তবে ছাত্রজনতা নিজেই এসবের বিচার করবে। আমরা আদালতের ওপর আস্থা রাখি। আমরা বিশ্বাস করি আদালত আইনের সঠিক ব্যবহার ও জনতার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মামলা পরিচালনা করবে।
আপসনামা নিয়ে দুই পক্ষের দুই মত
আপসনামা নিয়ে কুমিল্লার আদালতে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে। আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমেন ফেরদৌস বলেন, আজকের উপস্থিত ১৮ থেকে ১৯ জনের জন্য বাদী নিজেই আপসনামা দিয়েছে। আমরা তা আদালতে পেশ করেছি।
বাদী বলছে আপসনামা দেয়নি। এ বিষয়ে কোনো আলোচনাও হয়নি এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি এমন প্রশ্নে আব্দুল মোমেন ফেরদৌস বলেন, অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই, কারণ সেখানে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেয়া আছে। তারা ভুয়া বলছে কেন জানি না।
মামলার বাদী ইনজামুল হক রানা বলেন, আমরা কোনো কথাই বলিনি। আপসের বিষয়ে জানি না, কে এসব ভুয়া কথা বলছে। এসব ষড়যন্ত্রের অংশ ছাড়া কিছুই নয়।
জানা গেছে, ছাত্র আন্দোলনের সময় ৩ আগস্ট কুমিল্লার পুলিশ লাইন এলাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বহু ছাত্র-জনতা আহত হয়। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর কুমিল্লা নগরের পুলিশ লাইনস এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ, ককটেল বিস্ফোরণসহ হামলার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারসহ ২৬১ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের অধিকাংশই আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের অনুসারী। তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছাড়াও মামলায় আসামির তালিকায় আইনজীবী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ আছেন।
এদিন হারুনের এসব সম্পদ জব্দের আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।
১২ দিন আগে