সালিশে প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধের মৃত্যু

লালমাই প্রতিনিধি
Thumbnail image

কুমিল্লার লালমাইয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির সালিশ বৈঠকে কথা কাটাকাটির জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় হাবিবুর রহমান (৬০) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। হামলায় আরো দুই জন আহত হয়েছেন।

গতকাল সোমবার (২৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এদিন দুপুর আড়াইটায় লালমাই উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়নের হাতিলোটা গ্রামে সালিশ বৈঠকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত হাবিবুর রহমান উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়নের হাতিলোটা গ্রামের মৃত শরাফত আলীর ছেলে। কর্মজীবনে তিনি স্থানীয় শংকুরপাড় দিঘীর নৈশ প্রহরীর দায়িত্বে ছিলেন।

আহতরা হলেন হাবিবুর রহমানের ভাই মিজানুর রহমান ও হাছান আলী। গুরুতর আহত মিজানুর রহমান কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে হাতিলোটা গ্রামের হাবিবুর রহমানের সাথে প্রতিবেশি আবদুল জলিলদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সোমবার সকাল ১০ টায় আবদুল জলিলদের উঠোনে সালিশ বৈঠকে বসে স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল হোসেন খোকন ও গ্রাম সর্দার ছালামত উল্যাহসহ উভয় পক্ষের সালিশদাররা।

বৈঠকে কথা কাটাকাটির জেরে দুপুর আড়াইটায় আবদুল জলিলের ছেলে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ (২৩) লাঠি দিয়ে প্রতিপক্ষদের মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে আবদুল্লাহর লাঠির পিটুনিতে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাবিবুর রহমান অজ্ঞান হলে এবং মিজানুর রহমান গুরুতর আহত হলে তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে গ্রামবাসী।

নিহতের মেয়ে মায়া আক্তার বলেন, আমার বাবারে আবদুল্লাহ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলছে। আমি তার ফাঁসি চাই। শুনেছি হত্যাকারীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবে। পুলিশ যেন তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে।

এদিকে অভিযুক্ত আবদুল্লাহ ও তার পরিবার পলাতক থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সম্পর্কিত