কুমিল্লার শিল্পকলা একাডেমি বিল দিলেও জমা হয় না

Thumbnail image

কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমির আট মাসের বিদ্যুৎ বিল বাকি। তবে বিল সরকারি কোষাগারে নিয়ম অনুযায়ী পাঠালেও তা বকেয়াই রয়ে গেছে। এদিকে বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার আতঙ্কে পড়েছে শিল্পকলা একাডেমি সংশ্লিষ্টরা।

শিল্পকলা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, জুলাই মাস থেকে নির্দেশনা আসে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে সব শিল্পকলা একাডেমির বিদ্যুৎ বিল জমা দেওয়া হবে। নিয়ম অনুযায়ী কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি ঢাকার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে সব বিল জমা দিয়ে আসছে। কিন্তু কেন্দ্রীয়ভাবে কোনও বিল পরিশোধ না করায় বিপাকে পড়ে যায় কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমি।

নথিপত্রে দেখা গেছে, জুলাই মাস থেকেই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অ্যাকাউন্টে বিদ্যুতের বিল জমা দিয়েছে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি। জুলাইয়ে বিল এসেছে ২৪ হাজার ৭৬৪ টাকা, আগস্টে ৩২ হাজার ৫৪৮, সেপ্টেম্বরে ৬৬ হাজার ১৯৭, অক্টোবরে এক লাখ ৭৭ হাজার ২৩, নভেম্বরে ৬৯ হাজার ১৩১, ডিসেম্বরে ৫৫ হাজার ৬৮০ টাকা। এ ছাড়াও বাকি পড়েছে জানুয়ারি মাসের বিল। যা এখনও প্রক্রিয়াধীন।

আর ফেব্রুয়ারি মাসের বিলের বিষয়ে এখনও কোনও নির্দেশনা আসেনি। এখন পর্যন্ত জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাসের মোট বিল ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯৮ টাকা। যা জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসসহ প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকায় দাঁড়াবে।

অনুরোধ করা হলেও জুলাই মাস থেকে চলমান ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত আট মাসের বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে কোনও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। সম্প্রতি কুমিল্লার কালচারাল কর্মকর্তা বদলি হয়েছেন। তিনি থাকা অবস্থায় প্রতি মাসে একটি করে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছেন এই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে- তা আর হয়নি।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব বরাবর পাঠানো ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বরের একটি চিঠিতে তৎকালীন কুমিল্লা জেলা কালচারাল কর্মকর্তা সৈয়দ মুহাম্মদ আয়াজ মাবুদ লেখেন (অনুলিপি), ‘উপর্যুক্ত বিষয়ের আলোকে জানানো যাচ্ছে, জেলা শিল্পকলা একাডেমি কুমিল্লার জুলাই থেকে নভেম্বর ২০২৪ মাসের বিদ্যুৎ বিল বাবদ তিন লাখ ৩৬৩ টাকার বিল পাওয়া গেছে (সংযুক্ত)। উল্লিখিত বিলসমূহ পরিশোধের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ প্রদানের জন্য বিল সমূহের কপি পাঠানো হলো। এমতাবস্থায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি, কুমিল্লার জুলাই ২০২৪ থেকে নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত পাঁচ মাসের বিদ্যুৎ বিল বাবদ তিন লাখ ৩৬৩ টাকা বরাদ্দের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।’

জানা গেছে, এই চিঠির পর ধারাবাহিকভাবে প্রতি মাসেই চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

কুমিল্লা জেলার সাবেক কালচারাল কর্মকর্তা সৈয়দ মুহাম্মদ আয়াজ মাবুদ বলেন, আমাদের কাছে নির্দেশনা আসে যেন আমরা বিদ্যুৎ বিল কেন্দ্রে জমা দিই। আমরাও তাই করি। কিন্তু বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বিদ্যুতের বিল এখনও পরিশোধ করেনি। সেটি আসলে তারা বলতে পারবে। আমরা নিয়ম অনুযায়ী সব বিল করে পাঠিয়েছি। বিল পরিশোধের জন্য প্রতি মাসে চিঠিও দিয়েছি। আমাদের আশ্বস্ত করেছে, শিগগিরই তা সমাধান করে দেবে মন্ত্রণালয়।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সম্পর্কিত