কুমিল্লার আওয়ামী লীগ নেতারা কে কোথায় আছেন

Thumbnail image

সরকার পতনের পর দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনার মতো কুমিল্লার আওয়ামী লীগ নেতারাও বিভিন্নজন বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে । অনেকে দেশ ছেড়েছেন, আবার অনেকে দেশেই গা ঢাকা দিয়েছেন। অনেকে মামলা নিয়ে বার বার স্থান বদল করে আত্মগোপনে আছেন। জেলার ১১ টি আসনের নেতাকর্মীরা কোথায় আছেন তা তুলে ধরা হলো।

কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস): কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লার রাজনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। ভৌগলিক কারণে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে রাজধানীতে প্রবেশ ও বর্হিঃগমনের একমাত্র পথ এটি। তাই এই এলাকার রাজনীতিকে সকল দল গুরুত্বসহকারে দেখে। যে কারণে আওয়ামী লীগ প্রভাবশালী প্রার্থী দিয়ে গত ১৭ বছর এই এলাকা পরিচালনা করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে টানা তিনবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া। ২০২৪ সালের নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে নির্বাচনে অংশ নেননি । এই আসনে তখন সংসদ সদস্য হন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর ।

নেতাকর্মী ও তার ঘনিষ্ঠজনদের বরাতে জানা গেছে, সরকার পতনের পর সুবিদ আলী ভূঁইয়া ঢাকায় গা ঢাকা দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে গা ঢাকা দিয়েছেন তাঁর ছেলে ও দাউদকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন। তাঁরা দুজনেই ঢাকায় আছেন বলে কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে।

অপরদিকে ৫ আগস্টের পর দেশ ছাড়েন সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর । তিনি গত মাসে বা তার আগের মাসে স্থলপথে দেশ ছেড়েছেন। বর্তমানে তিনি কলকাতায় আছেন।

কুমিল্লা-২ (হোমনা- মেঘনা): কুমিল্লা-২ (হোমনা-মেঘনা )দেশের ইতিহাসে এক ভিন্ন রাজনৈতিক এলাকা। যেখানে ৫ আগস্টের পরও বড় কোন হামলা বা দখলের অভিযোগ ওঠেনি। বা রাজনৈতিক কোন মামলার খোঁজও পাওয়া যায়নি। এই আসনের দুই প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক এমপি হলেন ২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়া সেলিমা আহমাদ মেরী ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের এমপি হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মজিদ।

স্থানীয় সূত্র বলছে, দুই এমপিই দেশে আছেন এবং স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। সাবেক এমপি সেলিমা আহমাদ মেরী ঢাকায় আছেন। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন তিনি সংসদীয় আসনে আর কখনো আসেননি। একটি সূত্র বলছে, বর্তমান সরকারের একজন উপদেষ্টা সেলিমা আহমাদ মেরীর কোম্পানির সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন। সেই সুবাধে তিনি নিরাপদে আছেন।

হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, আমরা কারও ওপর হামলা করিনি। তাই আমাদের ওপরও কেউ প্রতিশোধের আগুন জ্বালায়নি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সাবেক এমপি অধ্যাপক আব্দুল মজিদ স্যার এবারের ঈদের নামাজ হোমনায় পড়েছেন। কেউ কোন শব্দও করেনি। তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হোমনা আসেন। পুরো উপজেলায় ওনার শিক্ষার্থী আছেন। যাদের অনেকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন। অনেকে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা। সবাই সম্মান করেন উনাকে।

কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর)

কুমিল্লা-৩ মুরাদনগরে ছিলেন আওয়ামী লীগের দুটি সক্রিয় গ্রুপ। একটি সদস্য সাবেক এমপি মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকারের। অপরজন সাবেক এমপি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের। দুই বার টানা এমপি হওয়াতে হারুনের নেতাকর্মীরা প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ পেয়েছিল। যে কারণে এলাকার মানুষের তার ও তার নেতাকর্মীদের ওপর রয়েছে বিস্তর অভিযোগ ও ক্ষোভ। অপরদিকে সাবেক এমপি মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার সদ্য নির্বাচিত। তাই নেতাকর্মীরা তেমন প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পায়নি। তবে একটি বড় এন্টি আওয়ামী লীগ পক্ষ আছে যারা দুই এমপি নেতাকর্মীদের দ্বারাই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাবেক এমপি ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার শেখ হাসিনার পতনের মাস খানেক আগেই দেশ ছাড়েন। চিকিৎসার উদ্দ্যেশ্যে যান থাইল্যান্ডে। আর ফেরেননি। এখনও সেখানেই আছেন।

সাবেক এমপি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের বিষয় উল্টো। নেতাকর্মীদের দিয়ে ভিন্নমত দমনের অভিযোগ থাকলেও তিনি দেশে আছেন এবং ঢাকাতে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার)

কুমিল্লা-৪ দেবিদ্বার আসনের সাবেক দুই এমপি কুমিল্লার রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিচিত নাম। একজন ঢাকা গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। তিনি গত নির্বাচনে বিএনপি জামায়াতের মৌন সমর্থনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও পাস করেন। তাই জামায়াত বিএনপির তার প্রতি অগাধ ভালোবাসা ছিল। কিন্তু সরকার পতন আন্দোলনে দেবীদ্বারে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে যায় একটি মহল। এসময় একজন বিএনপি কর্মী নিহতও হয়। সরকার পতনের পর থেকে তাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় দেখা গেছে। বিভিন্ন সময় তাকে লাইভেও আসতে দেখা গেছে। তিনি বর্তমানে সাইপ্রাসে আছেন বলে জানা গেছে। সেখান থেকেই দেশের ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছেন। সঙ্গে আছেন তার স্ত্রী ও সন্তানরা। তারাও প্রতিনিয়ত আয়েশি জীবনযাপনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিচ্ছেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। তিনি অতটা ক্ষোভের শিকার না হলেও গা ঢাকা দিয়েছেন। তিনি আছেন বর্তমানে রাজধানী ঢাকার কোন এক এলাকায়।

কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া)

কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের আওয়ামী লীগ নেতাদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও তাদের নির্যাতনের কথা কুমিল্লার আওয়ামী লীগেও প্রচলিত ঘটনা ছিল। অনেকে ধাম্বিকতা করে কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধেও কথা বলতেন। তাদের একজন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন স্বপন। ক্ষমতায় থাকাকালীন দলীয় নেতাকর্মীরাও তার ভয়ে তটস্থ থাকতো। ক্ষমতা পরিবর্তনের পর তিনি পালিয়ে যান। বর্তমানে তিনি দুবাইতে আছেন বলে জানিয়েছে দলীয় একটি সূত্র। সেখানে পূর্বের গাড়ি ব্যবসা দেখভাল করছেন।

অপরদিকে ভারতে আছেন সাবেক এমপি এম এ জাহের। তিনি রমজানের পূর্বে ভারতে ছিলেন। সেখানে থেকে কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলাপচারিতার বিষয়ও জানা গেছে। তবে বর্তমানে তিনি ভারত ছেড়েও যেতে পারেন বলে অনেকের ধারণা।

কুমিল্লা-৬ ( আদর্শ সদর)

কুমিল্লা-৬ ( আদর্শ সদর, সিটি করপোরেশন ও সেনানিবাস এলাকা) আসন ছিল কুমিল্লার সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের এলাকা। এই সংসদীয় আসনে এমপির পরিবার ছিল দেশের কয়েকজন আলোচিত-সমালোচিত এমপির মধ্যে অন্যতম। তিনি হলেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর আসনের সাবেক এমপি আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার। বর্তমানে তিনি ভারতে আছেন। ৫ আগস্টের পরেও দেশের রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে তার যোগাযোগের কথা শোনা গেছে। তার সঙ্গে আছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসীন বাহার সূচনা (সূচি)। তিনিও ভারতে থেকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকার ও ভিন্ন মতের রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের হুমকি ধমকি দেয়ার অভিযোগ আছে। ভারতে বসে তিনি তাঁর ঠিকাদারি কার্যক্রম চালাচ্ছেন। কুমিল্লা টাউন হল নিয়ে কুমিল্লা শহর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুল কবীরকে ফোন করেছেন বলে সাজ্জাদ দাবি করেছেন। সদ্য ওএসডি হওয়া নগর ভবনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামছুল আলম ও নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সায়েম ভূঁঞাকে ফোন করেছেন।

এছাড়াও কুমিল্লার সদর আসনের আরেক প্রভাবশালী নেতা ছিলেন সদরের উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে তার নেতৃত্বে কুমিল্লা সদর ও কুমিল্লা আশপাশের এলাকায় ছাত্রদের ওপর হামলার হামলার ঘটনা ঘটে। মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপুর বাড়িতে হামলা হয়। আলেখারচরে ছাত্রদের ওপর হামলা হয়। নন্দনপুরে ছাত্রদের ওপর গুলি করা হয়। তিনি বর্তমানে ছেলের কাছে অস্ট্রেলিয়ায় আছেন।

কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা)

কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনের সাবেক এমপি ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক। যে কারণে এই আসনের প্রত্যেক ক্ষেত্রেই তার প্রভাব ছিল ভিন্নরকম। তিনি বর্তমানে আছেন ভারতে। সেখানে তিনি শেখ হাসিনার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলে জানা গেছে।

কুমিল্লা-৮ (বরুড়া)

কুমিল্লা-৮ বরুড়া আসনে ৫ আগস্টের ঘটনায় কোন হামলা বা মামলার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এর বড় কারণ হলো এই এলাকার সদস্য সাবেক এমপি ও এসকিউ গ্রুপের চেয়ারম্যান এ জেড এম শফিউদ্দিন শামীম ছিলেন এই এলাকার নতুন মুখ। রাজনীতিতে সরাসরি পূর্বে জড়িত না হলেও হঠাৎ এসেই এমপি হয়ে যান। এমপি হতে তিনি যোগাযোগ বাড়ান স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীদের সাথে। তাই তিনিও কারও বিরুদ্ধে মামলা দেননি। তবে বর্তমানে তিনি আছেন অস্ট্রেলিয়ায়।

অপরদিকে এই আসনের সাবেক এমপি নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল এখন জেলে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় ঢাকায় করা মামলায় তিনি আসামি। এই আসনের আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নতুন নাম ছিল সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্যালক হামিদ লতিফ ভূঁইয়া কামালের। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্যালক হওয়ার আশীর্বাদে হয়ে যান বরুড়া উপজেলা চেয়ারম্যানও। তবে ৫ আগস্টের পর দেশ ছাড়তে হয়নি তাকে। কারণ তার বিরুদ্ধে কোন ভিন্নমতের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ওপর হামলা বা নির্যাতনের নজির নেই। উল্টো তার নির্বাচনে সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ)

এই আসনের দুই বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম হীরু ও হুমায়ুন কবীর পারভেজ গুম হওয়ার গুমের পেছনে সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য ও হাসিনা সরকারের মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জড়িত বলে জনশ্রুতি আছে। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর ভাষ্যও তেমন। তাজুল ইসলামের কারণে লাকসাম ও মনোহরগঞ্জে জামায়াত-বিএনপিসহ ভিন্ন দলের নেতারা বাড়িতেও থাকতে পারেননি। অনেকে হারিয়েছেন অঙ্গ। তাই লাকসাম-মনোহরগঞ্জে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের তীব্রতা অন্য এলাকা থেকে বেশি।

তার জানা গেছে, সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বর্তমানে ভারতে আছেন। সেখানে আয়েশি জীবনযাপন করছেন। তিনি শেখ হাসিনার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলে জানা গেছে। তার সঙ্গে পালিয়েছেন লাকসাম-মনোহরগঞ্জের ছায়া সন্ত্রাস ও মন্ত্রীর পিএস হিসেবে পরিচিত কামাল হোসেন। তিনিও ভারতে আছেন। পাঁচ আগস্টের পর কুমিল্লার সীমান্ত দিয়ে কামাল হোসেন পালিয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও ভারতে আরও পালিয়ে আছেন মন্ত্রীর শ্যালক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত আলী।

কুমিল্লা-১০ (সদর দক্ষিণ- নাঙ্গলকোট- লালমাই)

কুমিল্লার আরেক রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা কুমিল্লা ১০ আসন। এই আসনের আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা দুই বারের মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। লালমাই পাহাড়ের মাটি লুটসহ ভিন্নমত দমনে এই মন্ত্রী ও তাঁর ভাইয়ের কথা জেলাজুড়ে আলোচিত। লোটাস কামাল সিঙ্গাপুর-দুবাই মিলে আছেন। তার ভাই গোলাম সারওয়ার কানাডায় সপরিবারে আছেন । নাঙ্গলকোটের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন কালু বিদেশে আছেন। থাইল্যান্ডে চিকিৎসার জন্য গিয়ে আর ফেরেননি। নাঙ্গলকোট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল মালেক পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম)

৫ আগস্টের পর সাবেক এমপি ও সাবেক মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক দেশ ছেড়ে পালাননি। স্ত্রী সন্তান নিয়ে বর্তমানে তিনি ঢাকায় আছেন বলে জানা গেছে। প্রকাশ্যে না আসলেও জুমার নামাজ ও এবারের ঈদের নামাজ পড়তে বের হয়েছিলেন তিনি। ঘনিষ্ঠজনদের দাবি, বয়সের ভারে তিনি কাবু হয়ে গেছেন। অস্বস্তিতে আছেন।

আত্মগোপনে থাকায় সংশ্লিষ্ট নেতাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। বেশিরভাগকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে দুইজন সাবেক সংসদ সদস্য আমার শহর পত্রিকাকে জানিয়েছেন, তাঁরা ভালো আছেন। একজন লন্ডনে (পরে সাইপ্রাসে গেছেন) ও একজন ভারতে আছেন।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সম্পর্কিত