আমার শহর স্পোর্টস ডেস্ক

যে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাঠে গিয়ে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ, সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে এবার নিজেদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগাররা। চট্টগ্রামে তিন ম্যাচ সিরিজের তিনটি ম্যাচই জিতল ক্যারিবীয়রা। সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছিল আগেই, শেষপর্যন্ত ট্রফি হাতে পেল শতভাগ জয় নিয়ে। প্রথম দুই ম্যাচের মতো সিরিজের শেষ ম্যাচেও ব্যাটিং ও ফিল্ডিং ব্যর্থতাই মূলত হারের রাস্তা দেখিয়েছে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশ এদিন একাদশ সাজায় ৪ পরিবর্তন নিয়ে। পরিবর্তনের ছড়াছড়ির পরও আলোচিত উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকের আলী অনিক অবশ্য একাদশেই ছিলেন। সাথে ফেরানো হয় নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদী হাসান, পারভেজ হোসেন ইমন ও শরিফুল ইসলামকে। তাদের জায়গা করে দেন তানজিম হাসান সাকিব, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, মুস্তাফিজুর রহমান ও তাওহীদ হৃদয়।
তানজিদ হাসান তামিমকে নিয়ে ইমনের উদ্বোধনী জুটি অবশ্য বেশিদূর এগোতে পারেনি। টস জিতে লিটন দাস ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলে দলীয় ২২ রানে ১০ বলে ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইমন। সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক লিটন দাসও। ওয়ান ডাউনে নেমে ৯ বলে রান করেন ৬। তার বিদায়ের পর ক্রিজে থিতু হওয়া তামিম তুলে নেন অর্ধশতক। চড়াও হন ক্যারিবীয়দের ওপর, ৫৭ রানে রভম্যান পাওয়েলের ক্যাচ মিসের সুবাদে জীবনও পান।
তামিমকে সঙ্গ দিয়ে ২২ বলে ২৩ রান করেন সাইফ হাসান; শুধু এই দুজনই পেয়েছেন দুই অঙ্কের দেখা। সাইফ বিদায় নিলে ৬৩ রানের জুটি ভাঙে। এ সময় সাহসী সিদ্ধান্ত নেয় টিম ম্যানেজমেন্ট, যদিও তা কাজে আসেনি। রিশাদ হোসেনকে পাঠানো হয় ৫ নম্বরে। যদিও রিশাদ দ্রুতই ফেরেন সাজঘরে। নুরুল হাসান সোহানও সুবিধা করতে পারেননি। জাকের আলী অনিকের আগে ক্রিজে পাঠানো হয় নাসুম আহমেদকে। ব্যর্থ ছিলেন কম-বেশি সবাই-ই, তবে ওয়ান ম্যান আর্মি হয়ে টাইগারদের অভয় দিয়ে যাচ্ছিলেন তানজিদ।
তাকে থামতে হয় ৬২ বলে ৮৯ রান করে, শেষ ওভারে। ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান দাঁড়ায় বাংলাদেশের সংগ্রহ। ক্যারিবীয়দের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন রোমারিও শেফার্ড।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই অ্যালিক অ্যাথানেজকে হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপরও ক্যারিবীয়রা খুব একটা চাপে পড়েনি কোনো অংশেই। বিশেষ করে আমির জাঙ্গু ২৩ বলে ৩৪ রান করে ভালো শুরু এনে দিলে। ব্রেন্ডন কিং সুবিধা করতে না পারলেও ক্যাপ্টেন রস্টন চেজ ও আকিম অগাস্টে মিলে ম্যাচ নিয়ে যান বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
দুজনই ঠিক ৫০ রান করে ক্ষান্ত হন। চেজ ২৯ বলে হাঁকান পাঁচটি চার একটি ছক্কা, অগাস্টে ২৫ বলে হাঁকান একটি চার পাঁচটি ছক্কা। ১৯ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় পায় সফরকারীরা।
গেল মাসে নেপালের কাছে সিরিজ হেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ছিল ড্যারেন স্যামির শিষ্যরা। বাংলাদেশে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করে ক্যারিবীয়রা এখন দেখতেই পারে নতুন দিনের স্বপ্ন। উল্লেখ্য, এবারই প্রথম দেশের বাইরের কোনো টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

যে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাঠে গিয়ে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ, সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে এবার নিজেদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগাররা। চট্টগ্রামে তিন ম্যাচ সিরিজের তিনটি ম্যাচই জিতল ক্যারিবীয়রা। সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছিল আগেই, শেষপর্যন্ত ট্রফি হাতে পেল শতভাগ জয় নিয়ে। প্রথম দুই ম্যাচের মতো সিরিজের শেষ ম্যাচেও ব্যাটিং ও ফিল্ডিং ব্যর্থতাই মূলত হারের রাস্তা দেখিয়েছে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশ এদিন একাদশ সাজায় ৪ পরিবর্তন নিয়ে। পরিবর্তনের ছড়াছড়ির পরও আলোচিত উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকের আলী অনিক অবশ্য একাদশেই ছিলেন। সাথে ফেরানো হয় নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদী হাসান, পারভেজ হোসেন ইমন ও শরিফুল ইসলামকে। তাদের জায়গা করে দেন তানজিম হাসান সাকিব, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, মুস্তাফিজুর রহমান ও তাওহীদ হৃদয়।
তানজিদ হাসান তামিমকে নিয়ে ইমনের উদ্বোধনী জুটি অবশ্য বেশিদূর এগোতে পারেনি। টস জিতে লিটন দাস ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলে দলীয় ২২ রানে ১০ বলে ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইমন। সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক লিটন দাসও। ওয়ান ডাউনে নেমে ৯ বলে রান করেন ৬। তার বিদায়ের পর ক্রিজে থিতু হওয়া তামিম তুলে নেন অর্ধশতক। চড়াও হন ক্যারিবীয়দের ওপর, ৫৭ রানে রভম্যান পাওয়েলের ক্যাচ মিসের সুবাদে জীবনও পান।
তামিমকে সঙ্গ দিয়ে ২২ বলে ২৩ রান করেন সাইফ হাসান; শুধু এই দুজনই পেয়েছেন দুই অঙ্কের দেখা। সাইফ বিদায় নিলে ৬৩ রানের জুটি ভাঙে। এ সময় সাহসী সিদ্ধান্ত নেয় টিম ম্যানেজমেন্ট, যদিও তা কাজে আসেনি। রিশাদ হোসেনকে পাঠানো হয় ৫ নম্বরে। যদিও রিশাদ দ্রুতই ফেরেন সাজঘরে। নুরুল হাসান সোহানও সুবিধা করতে পারেননি। জাকের আলী অনিকের আগে ক্রিজে পাঠানো হয় নাসুম আহমেদকে। ব্যর্থ ছিলেন কম-বেশি সবাই-ই, তবে ওয়ান ম্যান আর্মি হয়ে টাইগারদের অভয় দিয়ে যাচ্ছিলেন তানজিদ।
তাকে থামতে হয় ৬২ বলে ৮৯ রান করে, শেষ ওভারে। ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান দাঁড়ায় বাংলাদেশের সংগ্রহ। ক্যারিবীয়দের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন রোমারিও শেফার্ড।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই অ্যালিক অ্যাথানেজকে হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপরও ক্যারিবীয়রা খুব একটা চাপে পড়েনি কোনো অংশেই। বিশেষ করে আমির জাঙ্গু ২৩ বলে ৩৪ রান করে ভালো শুরু এনে দিলে। ব্রেন্ডন কিং সুবিধা করতে না পারলেও ক্যাপ্টেন রস্টন চেজ ও আকিম অগাস্টে মিলে ম্যাচ নিয়ে যান বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
দুজনই ঠিক ৫০ রান করে ক্ষান্ত হন। চেজ ২৯ বলে হাঁকান পাঁচটি চার একটি ছক্কা, অগাস্টে ২৫ বলে হাঁকান একটি চার পাঁচটি ছক্কা। ১৯ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় পায় সফরকারীরা।
গেল মাসে নেপালের কাছে সিরিজ হেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ছিল ড্যারেন স্যামির শিষ্যরা। বাংলাদেশে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করে ক্যারিবীয়রা এখন দেখতেই পারে নতুন দিনের স্বপ্ন। উল্লেখ্য, এবারই প্রথম দেশের বাইরের কোনো টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।