আমার শহর ডেস্ক

মুশফিকুর রহিমের অপেক্ষা ছিল মাত্র ১ রানের। সেই অপেক্ষা শেষ হতে আজ লাগল ৮ বল। ম্যাথু হ্যামফ্রিসের করা দিনের প্রথম ওভারটা তিনি মেডেন দেন। আগের দিনের জমিয়ে রাখা রোমাঞ্চটা বাড়ে আরও। গ্যালারির দর্শকদের ভিড়ও বাড়তে শুরু করে ততক্ষণে। তাঁদের অপেক্ষাটা যদিও খুব লম্বা হয়নি। জর্ডান নিলের করা পরের ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে মুশফিককে স্ট্রাইক দেন লিটন দাস। এক বল ডট দিয়ে পরের বলে দৌড়ে এক রান নিয়ে মুশফিক পৌঁছে যান সেঞ্চুরিতে। সেঞ্চুরি করে কিছুটা থমকেই যেন গিয়েছিলেন মুশফিক। ধীরস্থিরভাবে হেলমেট খুলে তা উঁচিয়ে ধরেছেন বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমের দিকে। মাঠেই সেজদা দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানান সৃষ্টিকর্তার প্রতি।
মিরপুর টেস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মুশফিকের এ ইনিংস যেন তাঁর ২০ বছরের লম্বা ক্যারিয়ারের প্রতিচ্ছবিই হয়ে থাকল। গতকাল টেস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশ ৯৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ক্রিজে আসেন। দলের ইনিংসকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব এরপর যথারীতি নিজের কাঁধে তুলে নেন মুশফিক।প্রথম দিনে মধ্যাহ্নভোজ বিরতির পর প্রথম বলেই বাউন্ডারিতে ৮৩ বলে ফিফটি পান। আজ সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছেন ১৯৫তম বলে। পুরো ইনিংসে বাউন্ডারি থেকে করেছেন মাত্র ২০ রান। টেস্টটা এমনিতেও মুশফিকের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকার কথা সব সময়। শততম টেস্ট খেলতে নামা প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার তিনি। কাল টেস্টের প্রথম দিনে তাঁকে ঘিরে ছিল অনেক আয়োজনও। সেই উদ্যাপন এবার আরও রঙিন হয়ে উঠল সেঞ্চুরিতে।
দেড় শ বছরের টেস্ট ইতিহাসে বাংলাদেশের প্রথম হলেও শততম টেস্ট খেলা ক্রিকেটারের তালিকায় মুশফিক ৮৪তম। তবে এমন ম্যাচে সেঞ্চুরি করে তিনি ঢুকে গেছেন ছোট্ট একটা তালিকায়। শততম টেস্টে তাঁর আগে সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটারের সংখ্যা যে মাত্র ১০! অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং নিজের শততম টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছিলেন। মুশফিক এখন নিজের শততম টেস্টে পন্টিংকে ছুঁয়ে ফেলতে পারেন কি না, সেটি দেখতে দ্বিতীয় ইনিংস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশকে। তবে মুশফিক এই ইনিংসেই চাইলে ঢুকে যেতে পারেন আরও বিরল এক কীর্তিতে। শততম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি আছে শুধু ডেভিড ওয়ার্নার ও জো রুটের। তাঁদের পাশে নাম লেখাতে এখনো লম্বা পথ পারি দিতে হবে মুশফিককে।
তবে মঞ্চটা তাঁর জন্য সাজিয়েই রাখা হয়েছে—আয়ারল্যান্ডের বোলিং আর মিরপুরের চেনা কন্ডিশনে মুশফিকের জন্য তা করাও খুব কঠিন হওয়ার কথা নয়। আর ডাবল সেঞ্চুরিটাও তাঁর জন্য নতুন নয়, এর আগে তিনবার দ্বিশতক হাঁকিয়েছেন। সেটির দুটি আবার উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে, যে কীর্তি নেই দুনিয়ার আর কারোই। সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিদূর আর এগোতে পারেননি মুশফিক। ৯৯তম ওভারে হামফ্রিসের প্রথম বলে বলবার্নিকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ৫ চারে ২১৪ বলে ১০৬ রানের ইনিংস খেলে মুশফিক ড্রেসিংরুমে ফেরার সময় করতালিতে ফেটে পড়ে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি।

মুশফিকুর রহিমের অপেক্ষা ছিল মাত্র ১ রানের। সেই অপেক্ষা শেষ হতে আজ লাগল ৮ বল। ম্যাথু হ্যামফ্রিসের করা দিনের প্রথম ওভারটা তিনি মেডেন দেন। আগের দিনের জমিয়ে রাখা রোমাঞ্চটা বাড়ে আরও। গ্যালারির দর্শকদের ভিড়ও বাড়তে শুরু করে ততক্ষণে। তাঁদের অপেক্ষাটা যদিও খুব লম্বা হয়নি। জর্ডান নিলের করা পরের ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে মুশফিককে স্ট্রাইক দেন লিটন দাস। এক বল ডট দিয়ে পরের বলে দৌড়ে এক রান নিয়ে মুশফিক পৌঁছে যান সেঞ্চুরিতে। সেঞ্চুরি করে কিছুটা থমকেই যেন গিয়েছিলেন মুশফিক। ধীরস্থিরভাবে হেলমেট খুলে তা উঁচিয়ে ধরেছেন বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমের দিকে। মাঠেই সেজদা দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানান সৃষ্টিকর্তার প্রতি।
মিরপুর টেস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মুশফিকের এ ইনিংস যেন তাঁর ২০ বছরের লম্বা ক্যারিয়ারের প্রতিচ্ছবিই হয়ে থাকল। গতকাল টেস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশ ৯৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ক্রিজে আসেন। দলের ইনিংসকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব এরপর যথারীতি নিজের কাঁধে তুলে নেন মুশফিক।প্রথম দিনে মধ্যাহ্নভোজ বিরতির পর প্রথম বলেই বাউন্ডারিতে ৮৩ বলে ফিফটি পান। আজ সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছেন ১৯৫তম বলে। পুরো ইনিংসে বাউন্ডারি থেকে করেছেন মাত্র ২০ রান। টেস্টটা এমনিতেও মুশফিকের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকার কথা সব সময়। শততম টেস্ট খেলতে নামা প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার তিনি। কাল টেস্টের প্রথম দিনে তাঁকে ঘিরে ছিল অনেক আয়োজনও। সেই উদ্যাপন এবার আরও রঙিন হয়ে উঠল সেঞ্চুরিতে।
দেড় শ বছরের টেস্ট ইতিহাসে বাংলাদেশের প্রথম হলেও শততম টেস্ট খেলা ক্রিকেটারের তালিকায় মুশফিক ৮৪তম। তবে এমন ম্যাচে সেঞ্চুরি করে তিনি ঢুকে গেছেন ছোট্ট একটা তালিকায়। শততম টেস্টে তাঁর আগে সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটারের সংখ্যা যে মাত্র ১০! অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং নিজের শততম টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছিলেন। মুশফিক এখন নিজের শততম টেস্টে পন্টিংকে ছুঁয়ে ফেলতে পারেন কি না, সেটি দেখতে দ্বিতীয় ইনিংস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশকে। তবে মুশফিক এই ইনিংসেই চাইলে ঢুকে যেতে পারেন আরও বিরল এক কীর্তিতে। শততম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি আছে শুধু ডেভিড ওয়ার্নার ও জো রুটের। তাঁদের পাশে নাম লেখাতে এখনো লম্বা পথ পারি দিতে হবে মুশফিককে।
তবে মঞ্চটা তাঁর জন্য সাজিয়েই রাখা হয়েছে—আয়ারল্যান্ডের বোলিং আর মিরপুরের চেনা কন্ডিশনে মুশফিকের জন্য তা করাও খুব কঠিন হওয়ার কথা নয়। আর ডাবল সেঞ্চুরিটাও তাঁর জন্য নতুন নয়, এর আগে তিনবার দ্বিশতক হাঁকিয়েছেন। সেটির দুটি আবার উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে, যে কীর্তি নেই দুনিয়ার আর কারোই। সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিদূর আর এগোতে পারেননি মুশফিক। ৯৯তম ওভারে হামফ্রিসের প্রথম বলে বলবার্নিকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ৫ চারে ২১৪ বলে ১০৬ রানের ইনিংস খেলে মুশফিক ড্রেসিংরুমে ফেরার সময় করতালিতে ফেটে পড়ে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি।