আমার শহর ডেস্ক

নারী বিশ্বকাপে গত রোববার কলম্বোয় ভারতের কাছে ৮৮ রানে হারে পাকিস্তান। ভারতের ২৪৭ রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে মুনিবা আলীকে হারায় পাকিস্তান। রানআউট হন এই ওপেনার। মুনিবাকে তৃতীয় আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর প্রতিবাদ জানান পাকিস্তান অধিনায়ক ফাতিমা সানা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আউটটি নিয়ে আলোচনা চলছে। ক্রিকেট আইনপ্রণেতা সংস্থা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) গতকাল মুনিবার রানআউটের ব্যাখ্যা দিয়েছে।
এমসিসি মনে করে, ম্যাচে তৃতীয় আম্পায়ার দক্ষিণ আফ্রিকার কেরিন ক্লাস্তে মুনিবার বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্তই দেন। অর্থাৎ রানআউটের সিদ্ধান্তকে সঠিক হিসেবে রায় দিয়েছে এমসিসি। এই নিয়ে ব্যাখ্যাও দিয়েছে এমসিসি।
ভারতের পেসার ক্রান্তি গৌদের ডেলিভারিটি মুনিবার প্যাডে লাগায় আউটের আবেদন জানান ফিল্ডাররা। মাঠের আম্পায়ার আবেদনে সাড়া দেননি। বলটি খেলার পর মুনিবা ক্রিজের বাইরে দাঁড়িয়ে দাগের ভেতরে ব্যাট রাখেন। তখন সম্ভবত একটু অন্যমনস্ক ছিলেন ২ রানে আউট হওয়া ব্যাটার। ক্রিজের বাইরে দাঁড়িয়েই ব্যাটটি একটু তুলেছিলেন মুনিবা। ওই মুহূর্তে ভারতের ফিল্ডার দীপ্তি শর্মা থ্রো করে স্টাম্প ভাঙেন এবং রানআউটের আবেদন জানায় ভারত।
টিভি আম্পায়ারের ভিডিও রিপ্লেতে দেখা যায়, দীপ্তি শর্মার থ্রো স্টাম্প ভাঙার সময় মুনিবার ব্যাট ক্রিজ থেকে ওপরে ছিল। তিনি নিজেও দাঁড়িয়ে ছিলেন ক্রিজের বাইরে। তৃতীয় আম্পায়ার তাঁকে রানআউট ঘোষণা করেন। পাকিস্তান অধিনায়ক ফাতিমা সানা এ সময় ডাগআউটে ম্যাচের চতুর্থ আম্পায়ারের কাছে এই আউটের প্রতিবাদ জানান এবং একপর্যায়ে ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে থাকা মুনিবাকে বাউন্ডারি সীমানার ভেতরে থাকার নির্দেশও দেন।
এমসিসি এই আউটের ব্যাখ্যায় বলেছে, অনেকে ৩০.১.২ ধারা টেনে দাবি করছেন মুনিবা আউট ছিল না; কারণ, কয়েক মুহূর্ত আগেই তিনি ক্রিজে ব্যাট রেখেছেন। কিন্তু এ আইন শুধু ব্যাটারের ‘দৌড়ানো ও ডাইভ দেওয়া’র সময় কার্যকর।
এমসিসির ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘২০১০ সালে চালু হওয়া এই আইন, যেটি ‘বাউন্সিং ব্যাট ল’ নামেও পরিচিত, এটি মূলত ব্যাটারকে রক্ষা করে যখন দৌড়াতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে ব্যাট মাটি থেকে লাফিয়ে ওঠে কিংবা দৌড়ানোর স্বাভাবিক ভঙ্গিতে দুই পা সাময়িকভাবে বাতাসে উঠে গিয়ে ক্রিজের সঙ্গে যোগাযোগ হারায়। তবে যদি কোনো ব্যাটার দ্বিতীয় রান নিতে ঘুরে দাঁড়ায়, ভারসাম্য হারায় কিংবা—মুনিবার ক্ষেত্রে যেমন হয়েছে—ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাট বাতাসে তুলে নেয়, তখন এই আইন প্রযোজ্য নয়। তৃতীয় আম্পায়ার আউট ঘোষণা করে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন।’
এমসিসি তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া ব্যাখ্যায় আরও বলেছে, ‘এখানে আইনের কয়েকটি দিক বিবেচনার আছে। প্রথম ও সবচেয়ে সহজ বিষয় হলো—জোরালো এলবিডব্লিউ আবেদন মানেই বল “ডেড” হয়ে গেছে, এমনটা নয়। আম্পায়ার আবেদনটি নটআউট ঘোষণা করেছেন, বল তখনো উইকেটকিপারের হাতে পুরোপুরি থিতু হয়নি, আর দীপ্তির কার্যক্রমই (থ্রো করা) বুঝিয়ে দেয়, সব খেলোয়াড় বলটিকে “ডেড” মনে করেননি। তাই বল তখনো খেলার মধ্যে ছিল।’
মুনিবা যে রানআউট হয়েছেন, সেটি জানিয়ে এমসিসির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এটি রানআউট—যদিও ব্যাটার তখন রান নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন না এবং বলটি ‘নো বল’ও ছিল না। উইকেটকিপার অন্য কোনো ফিল্ডারের সহায়তা ছাড়া স্টাম্প ভাঙেননি; বরং একজন ফিল্ডার সরাসরি থ্রো করে আঘাত হানেন স্টাম্পে। তাই আম্পায়াররা একদম সঠিকভাবেই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন—আউট, রানআউট।’
ক্রিকেটের আইনে বলা আছে, ব্যাটার রানআউট হবে যদি ‘বল খেলার মধ্যে থাকা অবস্থায়, ব্যাটার ক্রিজের বাইরে থাকে এবং একজন ফিল্ডারের কার্যক্রমে তার উইকেট সঠিকভাবে ভাঙা হয়।’
নারী বিশ্বকাপে আগামী বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে ভারত। পাকিস্তান আগামীকাল মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়ার।

নারী বিশ্বকাপে গত রোববার কলম্বোয় ভারতের কাছে ৮৮ রানে হারে পাকিস্তান। ভারতের ২৪৭ রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে মুনিবা আলীকে হারায় পাকিস্তান। রানআউট হন এই ওপেনার। মুনিবাকে তৃতীয় আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর প্রতিবাদ জানান পাকিস্তান অধিনায়ক ফাতিমা সানা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আউটটি নিয়ে আলোচনা চলছে। ক্রিকেট আইনপ্রণেতা সংস্থা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) গতকাল মুনিবার রানআউটের ব্যাখ্যা দিয়েছে।
এমসিসি মনে করে, ম্যাচে তৃতীয় আম্পায়ার দক্ষিণ আফ্রিকার কেরিন ক্লাস্তে মুনিবার বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্তই দেন। অর্থাৎ রানআউটের সিদ্ধান্তকে সঠিক হিসেবে রায় দিয়েছে এমসিসি। এই নিয়ে ব্যাখ্যাও দিয়েছে এমসিসি।
ভারতের পেসার ক্রান্তি গৌদের ডেলিভারিটি মুনিবার প্যাডে লাগায় আউটের আবেদন জানান ফিল্ডাররা। মাঠের আম্পায়ার আবেদনে সাড়া দেননি। বলটি খেলার পর মুনিবা ক্রিজের বাইরে দাঁড়িয়ে দাগের ভেতরে ব্যাট রাখেন। তখন সম্ভবত একটু অন্যমনস্ক ছিলেন ২ রানে আউট হওয়া ব্যাটার। ক্রিজের বাইরে দাঁড়িয়েই ব্যাটটি একটু তুলেছিলেন মুনিবা। ওই মুহূর্তে ভারতের ফিল্ডার দীপ্তি শর্মা থ্রো করে স্টাম্প ভাঙেন এবং রানআউটের আবেদন জানায় ভারত।
টিভি আম্পায়ারের ভিডিও রিপ্লেতে দেখা যায়, দীপ্তি শর্মার থ্রো স্টাম্প ভাঙার সময় মুনিবার ব্যাট ক্রিজ থেকে ওপরে ছিল। তিনি নিজেও দাঁড়িয়ে ছিলেন ক্রিজের বাইরে। তৃতীয় আম্পায়ার তাঁকে রানআউট ঘোষণা করেন। পাকিস্তান অধিনায়ক ফাতিমা সানা এ সময় ডাগআউটে ম্যাচের চতুর্থ আম্পায়ারের কাছে এই আউটের প্রতিবাদ জানান এবং একপর্যায়ে ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে থাকা মুনিবাকে বাউন্ডারি সীমানার ভেতরে থাকার নির্দেশও দেন।
এমসিসি এই আউটের ব্যাখ্যায় বলেছে, অনেকে ৩০.১.২ ধারা টেনে দাবি করছেন মুনিবা আউট ছিল না; কারণ, কয়েক মুহূর্ত আগেই তিনি ক্রিজে ব্যাট রেখেছেন। কিন্তু এ আইন শুধু ব্যাটারের ‘দৌড়ানো ও ডাইভ দেওয়া’র সময় কার্যকর।
এমসিসির ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘২০১০ সালে চালু হওয়া এই আইন, যেটি ‘বাউন্সিং ব্যাট ল’ নামেও পরিচিত, এটি মূলত ব্যাটারকে রক্ষা করে যখন দৌড়াতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে ব্যাট মাটি থেকে লাফিয়ে ওঠে কিংবা দৌড়ানোর স্বাভাবিক ভঙ্গিতে দুই পা সাময়িকভাবে বাতাসে উঠে গিয়ে ক্রিজের সঙ্গে যোগাযোগ হারায়। তবে যদি কোনো ব্যাটার দ্বিতীয় রান নিতে ঘুরে দাঁড়ায়, ভারসাম্য হারায় কিংবা—মুনিবার ক্ষেত্রে যেমন হয়েছে—ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাট বাতাসে তুলে নেয়, তখন এই আইন প্রযোজ্য নয়। তৃতীয় আম্পায়ার আউট ঘোষণা করে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন।’
এমসিসি তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া ব্যাখ্যায় আরও বলেছে, ‘এখানে আইনের কয়েকটি দিক বিবেচনার আছে। প্রথম ও সবচেয়ে সহজ বিষয় হলো—জোরালো এলবিডব্লিউ আবেদন মানেই বল “ডেড” হয়ে গেছে, এমনটা নয়। আম্পায়ার আবেদনটি নটআউট ঘোষণা করেছেন, বল তখনো উইকেটকিপারের হাতে পুরোপুরি থিতু হয়নি, আর দীপ্তির কার্যক্রমই (থ্রো করা) বুঝিয়ে দেয়, সব খেলোয়াড় বলটিকে “ডেড” মনে করেননি। তাই বল তখনো খেলার মধ্যে ছিল।’
মুনিবা যে রানআউট হয়েছেন, সেটি জানিয়ে এমসিসির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এটি রানআউট—যদিও ব্যাটার তখন রান নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন না এবং বলটি ‘নো বল’ও ছিল না। উইকেটকিপার অন্য কোনো ফিল্ডারের সহায়তা ছাড়া স্টাম্প ভাঙেননি; বরং একজন ফিল্ডার সরাসরি থ্রো করে আঘাত হানেন স্টাম্পে। তাই আম্পায়াররা একদম সঠিকভাবেই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন—আউট, রানআউট।’
ক্রিকেটের আইনে বলা আছে, ব্যাটার রানআউট হবে যদি ‘বল খেলার মধ্যে থাকা অবস্থায়, ব্যাটার ক্রিজের বাইরে থাকে এবং একজন ফিল্ডারের কার্যক্রমে তার উইকেট সঠিকভাবে ভাঙা হয়।’
নারী বিশ্বকাপে আগামী বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে ভারত। পাকিস্তান আগামীকাল মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়ার।