আমার শহর স্পোর্টস ডেস্ক

অ্যানফিল্ডে ইউরোপীয় ফুটবলের দুই মহারথীর মুখোমুখি লড়াইয়ে জয়ের হাসি লিভারপুলের। গত মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রেয়াল মাদ্রিদকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। একমাত্র গোলটি করেছেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার আলেক্সিস মাক আলিস্তের।
দারুণ ছন্দে থাকা রেয়ালের বিপক্ষে ম্যাচটি শুরু থেকেই উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। আর্নে স্লটের দল লিভারপুল আগের ছয় পরাজয়ের হতাশা পেছনে ফেলে মাঠে নামে আত্মবিশ্বাস নিয়ে। ম্যাচের প্রথমার্ধ থেকেই তারা রেয়াল রক্ষণে চাপ তৈরি করে। যদিও দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বেলজিয়ান গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া একের পর এক সেভে স্বাগতিকদের হতাশ করেন।
প্রথমার্ধে ডমিনিক সোবোসলাই, ভার্জিল ফন ডাইক ও উগো একিটিকের শট ঠেকিয়ে দেন কোর্তোয়া। ভিএআর পর্যালোচনায় বাতিল হয় লিভারপুলের একটি পেনাল্টি দাবিও। অন্যদিকে, রেয়াল একটিমাত্র উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায়, কিন্তু জুড বেলিংহ্যামের শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক জিওর্জি মামারদাশভিলি।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠে লিভারপুল। অবশেষে ৬১তম মিনিটে আসে প্রতীক্ষিত গোল। সোবোসলাইয়ের নিখুঁত ফ্রি কিকে হেডে জালের ঠিকানা খুঁজে পান মাক আলিস্তের, যা অ্যানফিল্ডে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দেয়।
এরপরও গোলরক্ষক কোর্তোয়া ছিলেন মাদ্রিদের ত্রাণকর্তা। কোডি হাকপো ও মোহাম্মদ সালাহর শট ঠেকিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি তিনি। তবে রেয়ালের আক্রমণভাগ, বিশেষ করে কিলিয়ান এমবাপে ও ভিনিসিউস জুনিয়রের প্রচেষ্টা, ভাঙতে পারেনি লিভারপুলের রক্ষণভাগ।
৭৫তম মিনিটে রেয়ালের সবচেয়ে বড় সুযোগটি হারান এমবাপে। ভিনিসিউসের কাটব্যাক পেয়ে শট নেন ফরাসি ফরোয়ার্ড, কিন্তু বল লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। শেষ দিকে ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড মাঠে নামলে অ্যানফিল্ডজুড়ে বয়ে যায় দুয়োর ধ্বনি, যা তার সাবেক ক্লাবের সমর্থকদের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে।
এই জয়ে চার ম্যাচ শেষে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে লিভারপুল, সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে পঞ্চম স্থানে রেয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার মাদ্রিদকে হারাল লিভারপুল।
ম্যাচ শেষে মাক আলিস্তের বলেন, “খুব ভালো একটি দলকে হারিয়েছি, এটা আমাদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেবে। কোর্তোয়া দারুণ খেলেছেন, কিন্তু আমরা সঠিক মুহূর্তে সুযোগ কাজে লাগাতে পেরেছি।”
অন্যদিকে কোর্তোয়া বলেন, “আমরা অনেক সহজ ভুল করেছি। বড় দলের বিপক্ষে বাইরে খেলতে গেলে প্রতিটি মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে হয়। ছোট ভুলগুলোই আজ পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।”
ইউরোপীয় আসরে এই জয়ে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে লিভারপুল। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে ফের জয়ের ছন্দে ফিরেছে তারা, আর এই জয় তাদের মৌসুমের বাঁক ঘুরিয়ে দিতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

অ্যানফিল্ডে ইউরোপীয় ফুটবলের দুই মহারথীর মুখোমুখি লড়াইয়ে জয়ের হাসি লিভারপুলের। গত মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রেয়াল মাদ্রিদকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। একমাত্র গোলটি করেছেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার আলেক্সিস মাক আলিস্তের।
দারুণ ছন্দে থাকা রেয়ালের বিপক্ষে ম্যাচটি শুরু থেকেই উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। আর্নে স্লটের দল লিভারপুল আগের ছয় পরাজয়ের হতাশা পেছনে ফেলে মাঠে নামে আত্মবিশ্বাস নিয়ে। ম্যাচের প্রথমার্ধ থেকেই তারা রেয়াল রক্ষণে চাপ তৈরি করে। যদিও দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বেলজিয়ান গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া একের পর এক সেভে স্বাগতিকদের হতাশ করেন।
প্রথমার্ধে ডমিনিক সোবোসলাই, ভার্জিল ফন ডাইক ও উগো একিটিকের শট ঠেকিয়ে দেন কোর্তোয়া। ভিএআর পর্যালোচনায় বাতিল হয় লিভারপুলের একটি পেনাল্টি দাবিও। অন্যদিকে, রেয়াল একটিমাত্র উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায়, কিন্তু জুড বেলিংহ্যামের শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক জিওর্জি মামারদাশভিলি।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠে লিভারপুল। অবশেষে ৬১তম মিনিটে আসে প্রতীক্ষিত গোল। সোবোসলাইয়ের নিখুঁত ফ্রি কিকে হেডে জালের ঠিকানা খুঁজে পান মাক আলিস্তের, যা অ্যানফিল্ডে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দেয়।
এরপরও গোলরক্ষক কোর্তোয়া ছিলেন মাদ্রিদের ত্রাণকর্তা। কোডি হাকপো ও মোহাম্মদ সালাহর শট ঠেকিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি তিনি। তবে রেয়ালের আক্রমণভাগ, বিশেষ করে কিলিয়ান এমবাপে ও ভিনিসিউস জুনিয়রের প্রচেষ্টা, ভাঙতে পারেনি লিভারপুলের রক্ষণভাগ।
৭৫তম মিনিটে রেয়ালের সবচেয়ে বড় সুযোগটি হারান এমবাপে। ভিনিসিউসের কাটব্যাক পেয়ে শট নেন ফরাসি ফরোয়ার্ড, কিন্তু বল লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। শেষ দিকে ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড মাঠে নামলে অ্যানফিল্ডজুড়ে বয়ে যায় দুয়োর ধ্বনি, যা তার সাবেক ক্লাবের সমর্থকদের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে।
এই জয়ে চার ম্যাচ শেষে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে লিভারপুল, সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে পঞ্চম স্থানে রেয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার মাদ্রিদকে হারাল লিভারপুল।
ম্যাচ শেষে মাক আলিস্তের বলেন, “খুব ভালো একটি দলকে হারিয়েছি, এটা আমাদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেবে। কোর্তোয়া দারুণ খেলেছেন, কিন্তু আমরা সঠিক মুহূর্তে সুযোগ কাজে লাগাতে পেরেছি।”
অন্যদিকে কোর্তোয়া বলেন, “আমরা অনেক সহজ ভুল করেছি। বড় দলের বিপক্ষে বাইরে খেলতে গেলে প্রতিটি মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে হয়। ছোট ভুলগুলোই আজ পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।”
ইউরোপীয় আসরে এই জয়ে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে লিভারপুল। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে ফের জয়ের ছন্দে ফিরেছে তারা, আর এই জয় তাদের মৌসুমের বাঁক ঘুরিয়ে দিতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।