আমার শহর ডেস্ক

বিদেশি ফুটবলার রেজিস্ট্রেশনে নিষেধাজ্ঞায় পড়ে আটকে গিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। এরপর কিছু দিন আগে সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছিল মোহামেডান। রেশ না কাটতে এবার আবাহনীও যুক্ত হয়েছে নিষেধাজ্ঞায়। গত মৌসুমে আবাহনী দেশি-বিদেশি ফুটবলার নিয়েছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আবাহনী ক্লাব তাদের চুক্তি করা অনেক খেলোয়াড়কে দলে নিতে পারেনি। দেশি ফুটবলার যারা চুক্তি করেও খেলতে চেয়েছে তারা রয়ে গিয়েছিল, আর বিদেশি যারা ছিলেন তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে আবাহনী।
চুক্তি করেও না খেলানোর কারণে সেই তিন ফুটবলার ফিফায় অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগে ফিফা আবাহনীকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তবে আবাহনীর দাবি, একজন ঘানাইয়ান ফুটবলারের কথা শুনেছে। আবাহনীর ফুটবল ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রূপু ফিফার নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছেন। তিনি একজন ফুটবলারের অভিযোগের কথা শুনেছেন। আর ২০২৩-২৪ মৌসুমে আবাহনী ৩ জন ফুটবলার চুক্তি করেছিল। রূপু অবশ্য জানিয়েছেন, এই চুক্তির সময় তিনি দায়িত্বে ছিলেন না। রূপু বলেন, 'তখন যারা চুক্তি করেছেন তারা চুক্তি বাতিল করেছেন। কিন্তু সেটি একতরফা হয়ে গিয়েছিল।'
রূপ জানালেন ৫ আগস্টের পরে নানা সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে আবাহনী। অ্যাকাউন্ট বন্ধ, আর্থিক সংকট, ক্লাবে আক্রমণ করা হয়, আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অনেক ক্ষতি হয়েছিল তখন। যে কারণে তখন যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা বিদেশি ফুটবলারদের চুক্তি ক্যান্সেল করা হয়। কিন্তু এটা প্রপারলি হয়নি। ওয়ান সাইডেড হয়ে গিয়েছিল। আমরা ফিফার সঙ্গে কথা বলেছি। ফিফা বলছিল। খেলোয়াড় এবং ক্লাবের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল।' তিনি বলেন, 'বিদেশি ফুটবলার ছাড়াই আমরা গতবারের লিগে খেলেছিলাম।'
আইনজীবীর মাধ্যমে আবাহনী ফিফার সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করলেও কাজ হয়নি। এখন একজনের অভিযোগে ৬০/৭০ হাজার ডলার দিতে হবে। আর যদি আরও দুইজনের অভিযোগ করে থাকে এবং সেটি সঠিক প্রমাণিত হয়, তাহলে আরও অর্থের মাশুল দিতে হবে আবাহনীকে।
প্রায় দেড় দশক ধরে রূপ আবাহনীর ফুটবল দল গঠনের পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। একহাতে কাজ করে আসছিলেন। এ প্রশ্নে রূপ বলেন, 'এই ফুটবলারদের সঙ্গে যখন চুক্তি হয় তখন আমি ছিলাম না।' সাবেক ফুটবলার কাজী নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি দলের ম্যানেজার ছিলেন, তার সময়ে বিদেশি ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি হয়। নজরুল ইসলাম বলেন, 'আমরা লিগের জন্য বিদেশি খেলোয়াড় চুক্তি করি। ১৮ আগস্ট ছিল রেজিস্ট্রেশনের শেষ দিন। ৫ আগস্ট সরকার পতন হয়। তখন আমরা খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশন করতে পারিনি।'
ফিফায় অভিযোগের কারণে একসময় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকেও বড় অঙ্কের টাকা জরিমানা দিতে হয়েছিল। ফিফার খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় শেখ জামাল ধানমিন্ড ক্লাব, ফেনীর সকার ক্লাবের নাম এখনো রয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর মোহামেডানকে নিষেধাজ্ঞা দেয় ফিফা। এর আগে একই সময় বসুন্ধরা কিংসকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ফিফার কাছে বিদেশি কোনো ফুটবলারের অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত সেই ক্লাব যতক্ষণ না পর্যন্ত সমস্যা সমাধান করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে না এবং কোনো বিদেশি ফুটবলারও রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে না। অভিযুক্ত ক্লাব, আপাতত সমস্যায় পড়ে থাকল বসুন্ধরা কিংস, মোহামেডান ও আবাহনী।

বিদেশি ফুটবলার রেজিস্ট্রেশনে নিষেধাজ্ঞায় পড়ে আটকে গিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। এরপর কিছু দিন আগে সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছিল মোহামেডান। রেশ না কাটতে এবার আবাহনীও যুক্ত হয়েছে নিষেধাজ্ঞায়। গত মৌসুমে আবাহনী দেশি-বিদেশি ফুটবলার নিয়েছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আবাহনী ক্লাব তাদের চুক্তি করা অনেক খেলোয়াড়কে দলে নিতে পারেনি। দেশি ফুটবলার যারা চুক্তি করেও খেলতে চেয়েছে তারা রয়ে গিয়েছিল, আর বিদেশি যারা ছিলেন তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে আবাহনী।
চুক্তি করেও না খেলানোর কারণে সেই তিন ফুটবলার ফিফায় অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগে ফিফা আবাহনীকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তবে আবাহনীর দাবি, একজন ঘানাইয়ান ফুটবলারের কথা শুনেছে। আবাহনীর ফুটবল ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রূপু ফিফার নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছেন। তিনি একজন ফুটবলারের অভিযোগের কথা শুনেছেন। আর ২০২৩-২৪ মৌসুমে আবাহনী ৩ জন ফুটবলার চুক্তি করেছিল। রূপু অবশ্য জানিয়েছেন, এই চুক্তির সময় তিনি দায়িত্বে ছিলেন না। রূপু বলেন, 'তখন যারা চুক্তি করেছেন তারা চুক্তি বাতিল করেছেন। কিন্তু সেটি একতরফা হয়ে গিয়েছিল।'
রূপ জানালেন ৫ আগস্টের পরে নানা সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে আবাহনী। অ্যাকাউন্ট বন্ধ, আর্থিক সংকট, ক্লাবে আক্রমণ করা হয়, আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অনেক ক্ষতি হয়েছিল তখন। যে কারণে তখন যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা বিদেশি ফুটবলারদের চুক্তি ক্যান্সেল করা হয়। কিন্তু এটা প্রপারলি হয়নি। ওয়ান সাইডেড হয়ে গিয়েছিল। আমরা ফিফার সঙ্গে কথা বলেছি। ফিফা বলছিল। খেলোয়াড় এবং ক্লাবের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল।' তিনি বলেন, 'বিদেশি ফুটবলার ছাড়াই আমরা গতবারের লিগে খেলেছিলাম।'
আইনজীবীর মাধ্যমে আবাহনী ফিফার সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করলেও কাজ হয়নি। এখন একজনের অভিযোগে ৬০/৭০ হাজার ডলার দিতে হবে। আর যদি আরও দুইজনের অভিযোগ করে থাকে এবং সেটি সঠিক প্রমাণিত হয়, তাহলে আরও অর্থের মাশুল দিতে হবে আবাহনীকে।
প্রায় দেড় দশক ধরে রূপ আবাহনীর ফুটবল দল গঠনের পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। একহাতে কাজ করে আসছিলেন। এ প্রশ্নে রূপ বলেন, 'এই ফুটবলারদের সঙ্গে যখন চুক্তি হয় তখন আমি ছিলাম না।' সাবেক ফুটবলার কাজী নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি দলের ম্যানেজার ছিলেন, তার সময়ে বিদেশি ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি হয়। নজরুল ইসলাম বলেন, 'আমরা লিগের জন্য বিদেশি খেলোয়াড় চুক্তি করি। ১৮ আগস্ট ছিল রেজিস্ট্রেশনের শেষ দিন। ৫ আগস্ট সরকার পতন হয়। তখন আমরা খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশন করতে পারিনি।'
ফিফায় অভিযোগের কারণে একসময় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকেও বড় অঙ্কের টাকা জরিমানা দিতে হয়েছিল। ফিফার খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় শেখ জামাল ধানমিন্ড ক্লাব, ফেনীর সকার ক্লাবের নাম এখনো রয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর মোহামেডানকে নিষেধাজ্ঞা দেয় ফিফা। এর আগে একই সময় বসুন্ধরা কিংসকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ফিফার কাছে বিদেশি কোনো ফুটবলারের অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত সেই ক্লাব যতক্ষণ না পর্যন্ত সমস্যা সমাধান করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে না এবং কোনো বিদেশি ফুটবলারও রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে না। অভিযুক্ত ক্লাব, আপাতত সমস্যায় পড়ে থাকল বসুন্ধরা কিংস, মোহামেডান ও আবাহনী।