১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার: প্রেস উইং

সাক্ষাৎকার
Thumbnail image

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার জন নিজ দেশে ‘প্রত্যাবাসনের যোগ্য’ বলে জানিয়েছে মিয়ানমার। আংশিক যাচাই-বাছাইয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ‘যোগ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করার কথা জানিয়ে দেশটি বলেছে, চূড়ান্ত যাচাই বাছাইয়ের অংশ হিসেবে আরও ৭০ হাজার রোহিঙ্গার ছবি ও নাম মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া তালিকার বাকি সাড়ে ৫ লাখ রোহিঙ্গার ব্যাপারে তথ্য যাচাই বাছাইয়ের কাজ দ্রুত শেষ করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।

থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শুক্রবার ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সঙ্কট ও সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি সংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমানকে এ তথ্য জানিয়েছেন মিয়ানমারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উ থান শিউ।

সাক্ষাতে প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান মিয়ানমারের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য আরও মানবিক সহায়তা পাঠাতে প্রস্তুত।

বাংলাদেশ ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ছয়টি ধাপে আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারকে দিয়েছিল। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে, মিয়ানমার প্রথমবারের মতো ‘প্রত্যাবাসনের যোগ্য’ রোহিঙ্গাদের তালিকা দিল। এটি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে সেনা অভিযান এবং রাখাইন প্রদেশে গণহত্যার পরিপ্রেক্ষিতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা প্রাণভয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এরপর ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রথম সময়সীমা ঠিক হলেও, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি বলে ঘোষণা দেয়ায় সেই উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো উদ্যোগ নিলেও, এ বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। ২০২৩ সালের মে মাসে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর আগে রাখাইন রাজ্য পরিদর্শনে যান বাংলাদেশে অবস্থানরত ২০ রোহিঙ্গাসহ ২৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সম্পর্কিত