আমার শহর ডেস্ক

মেক্সিকোজুড়ে বাড়তে থাকা দুর্নীতি, সহিংস অপরাধ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে শনিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভে নেমেছে হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভটির উদ্যোগ নেয় জেন-জি’ তরুণরা। তবে মূল জনসমাগমে দেখা গেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যবয়সী ও প্রবীণ সমর্থকদের উপস্থিতি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মেক্সিকোর মিচোয়াকান রাজ্যে নিহত মেয়র কার্লোস মানজোর স্মরণে সমর্থকদের বড় অংশ বিক্ষোভে অংশ নেন। তারা মানজোর রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রতীক—খড়ের টুপি পরে রাস্তায় নেমে ন্যায়বিচারের দাবি জানান। মেক্সিকো সিটিতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন হুড পরা বিক্ষোভকারীদের একটি ছোট দল প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউমের বাসভবনের জাতীয় প্রাসাদের কাছে স্থাপিত নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ফেলে। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জননিরাপত্তা সচিব পাবলো ভাজকুয়েজ জানান, সংঘর্ষে অন্তত ১০০ পুলিশ আহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৪০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। আরও ২০ জন বেসামরিক নাগরিকও আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান। ভাজকুয়েজ আরও বলেন, ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আরও ২০ জনকে প্রশাসনিক কারণে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম এল ইউনিভার্সাল জানায়, জাতীয় প্রাসাদের সীমানা ভাঙার পর নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে এবং পাথর ছোঁড়ে। জোকালো স্কোয়ারে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন এবং ডাক্তার ও জরুরি উদ্ধারকর্মীরা তাদের চিকিৎসা দেন। পুলিশ কয়েক মিনিট ধরে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
সপ্তাহের শুরুতে কিছু জেন-জি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেন, তারা আর বিক্ষোভকে সমর্থন করছেন না। তবে বিপরীতে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিসেন্টে ফক্স এবং বিলিয়নিয়ার রিকার্ডো সালিনাস প্লিয়েগো প্রকাশ্যে বিক্ষোভের সমর্থনে বক্তব্য দেন।
প্রেসিডেন্ট শেইনবাউম অভিযোগ করেন, ডানপন্থী দলগুলো তরুণদের আন্দোলনে ‘অনুপ্রবেশ’ করার চেষ্টা করছে এবং সামাজিক মাধ্যমের বট ব্যবহার করে সমর্থনের চিত্র বাড়িয়ে দেখাচ্ছে।
মেক্সিকোর তরুণরা বলছে, দুর্নীতি ও সহিংসতার দায়মুক্তির কারণে তারা ক্ষুব্ধ। জেন-জি’দের আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠা জলদস্যু খুলির পতাকা বিক্ষোভে বহন করা ২৯ বছর বয়সী পরামর্শক আন্দ্রেস মাসা বলেন আমাদের আরও নিরাপত্তা দরকার।
৪৩ বছর বয়সী চিকিৎসক ক্লডিয়া ক্রুজ বলেন, ডাক্তাররা প্রতিদিন ঝুঁকিতে কাজ করে। দেশে নিরাপত্তা নেই—আজ খুন হলেও কিছুই হয় না।
২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম উচ্চ অনুমোদন রেটিং (৭০ শতাংশের বেশি) ধরে রাখলেও নিরাপত্তা নীতিতে সমালোচনার মুখে পড়েছেন, বিশেষত মেয়র কার্লোস মানজোর হত্যাকাণ্ডের পর। মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার পর তিনি ১ নভেম্বর হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
মিচোয়াকানের পাটজকুয়ারো শহর থেকে বিক্ষোভে যোগ দিতে আসা ৬৫ বছর বয়সী রোজা মারিয়া আভিলা বলেন, কার্লোস মানজোকে হত্যা করা হয়েছে কারণ সে অপরাধীদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস করেছিল।
এ বছর নেপাল, মাদাগাস্কারসহ একাধিক দেশে জেন-জি’রা দুর্নীতি, বৈষম্য ও গণতান্ত্রিক পশ্চাদপসরণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয়। নেপালে এমন বিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করেন। মাদাগাস্কারে দীর্ঘস্থায়ী পানি–বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে বিক্ষোভ চলতে থাকায় সরকার ভেঙে পড়ে এবং প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে রাজোয়েলিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হন।

মেক্সিকোজুড়ে বাড়তে থাকা দুর্নীতি, সহিংস অপরাধ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে শনিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভে নেমেছে হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভটির উদ্যোগ নেয় জেন-জি’ তরুণরা। তবে মূল জনসমাগমে দেখা গেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যবয়সী ও প্রবীণ সমর্থকদের উপস্থিতি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মেক্সিকোর মিচোয়াকান রাজ্যে নিহত মেয়র কার্লোস মানজোর স্মরণে সমর্থকদের বড় অংশ বিক্ষোভে অংশ নেন। তারা মানজোর রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রতীক—খড়ের টুপি পরে রাস্তায় নেমে ন্যায়বিচারের দাবি জানান। মেক্সিকো সিটিতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন হুড পরা বিক্ষোভকারীদের একটি ছোট দল প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউমের বাসভবনের জাতীয় প্রাসাদের কাছে স্থাপিত নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ফেলে। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জননিরাপত্তা সচিব পাবলো ভাজকুয়েজ জানান, সংঘর্ষে অন্তত ১০০ পুলিশ আহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৪০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। আরও ২০ জন বেসামরিক নাগরিকও আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান। ভাজকুয়েজ আরও বলেন, ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আরও ২০ জনকে প্রশাসনিক কারণে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম এল ইউনিভার্সাল জানায়, জাতীয় প্রাসাদের সীমানা ভাঙার পর নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে এবং পাথর ছোঁড়ে। জোকালো স্কোয়ারে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন এবং ডাক্তার ও জরুরি উদ্ধারকর্মীরা তাদের চিকিৎসা দেন। পুলিশ কয়েক মিনিট ধরে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
সপ্তাহের শুরুতে কিছু জেন-জি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেন, তারা আর বিক্ষোভকে সমর্থন করছেন না। তবে বিপরীতে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিসেন্টে ফক্স এবং বিলিয়নিয়ার রিকার্ডো সালিনাস প্লিয়েগো প্রকাশ্যে বিক্ষোভের সমর্থনে বক্তব্য দেন।
প্রেসিডেন্ট শেইনবাউম অভিযোগ করেন, ডানপন্থী দলগুলো তরুণদের আন্দোলনে ‘অনুপ্রবেশ’ করার চেষ্টা করছে এবং সামাজিক মাধ্যমের বট ব্যবহার করে সমর্থনের চিত্র বাড়িয়ে দেখাচ্ছে।
মেক্সিকোর তরুণরা বলছে, দুর্নীতি ও সহিংসতার দায়মুক্তির কারণে তারা ক্ষুব্ধ। জেন-জি’দের আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠা জলদস্যু খুলির পতাকা বিক্ষোভে বহন করা ২৯ বছর বয়সী পরামর্শক আন্দ্রেস মাসা বলেন আমাদের আরও নিরাপত্তা দরকার।
৪৩ বছর বয়সী চিকিৎসক ক্লডিয়া ক্রুজ বলেন, ডাক্তাররা প্রতিদিন ঝুঁকিতে কাজ করে। দেশে নিরাপত্তা নেই—আজ খুন হলেও কিছুই হয় না।
২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম উচ্চ অনুমোদন রেটিং (৭০ শতাংশের বেশি) ধরে রাখলেও নিরাপত্তা নীতিতে সমালোচনার মুখে পড়েছেন, বিশেষত মেয়র কার্লোস মানজোর হত্যাকাণ্ডের পর। মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার পর তিনি ১ নভেম্বর হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
মিচোয়াকানের পাটজকুয়ারো শহর থেকে বিক্ষোভে যোগ দিতে আসা ৬৫ বছর বয়সী রোজা মারিয়া আভিলা বলেন, কার্লোস মানজোকে হত্যা করা হয়েছে কারণ সে অপরাধীদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস করেছিল।
এ বছর নেপাল, মাদাগাস্কারসহ একাধিক দেশে জেন-জি’রা দুর্নীতি, বৈষম্য ও গণতান্ত্রিক পশ্চাদপসরণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয়। নেপালে এমন বিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করেন। মাদাগাস্কারে দীর্ঘস্থায়ী পানি–বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে বিক্ষোভ চলতে থাকায় সরকার ভেঙে পড়ে এবং প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে রাজোয়েলিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হন।