কারণ প্যানোরামা তথ্যচিত্র নিয়ে বিতর্ক
আমার শহর আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বিবিসির অনুসন্ধানী তথ্যচিত্র ‘প্যানোরামা’ ঘিরে তীব্র বিতর্কের পর পদত্যাগ করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং সংবাদ বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডেবোরা টারনেস। গত রোববার রাতে তারা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। পাঁচ বছর ধরে মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন টিম ডেভি।
বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ‘প্যানোরামা’ তথ্যচিত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুটি আলাদা বক্তৃতা সম্পাদনা করে একত্রে দেখানো হয়, যা দর্শকদের বিভ্রান্ত করেছে বলে দাবি ওঠে। ওই তথ্যচিত্রটি গত ২৮ অক্টোবর প্রচারিত হয়। এতে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের দেওয়া ভাষণের অংশ এমনভাবে দেখানো হয়, যেন তিনি তাঁর সমর্থকদের ক্যাপিটল ভবনে সহিংসতায় উসকানি দিচ্ছেন।
এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁর প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফ-কে বলেন, “বিবিসি শতভাগ ভুয়া সংবাদমাধ্যম এবং প্রোপাগান্ডা মেশিন।” ট্রাম্প নিজেও তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, “বিবিসির শীর্ষ কর্মকর্তারা আমার ভাষণ বিকৃত করার দায়ে পদত্যাগ করছেন, যা প্রমাণ করে তারা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে চেয়েছিলেন।”
পদত্যাগের ঘোষণায় টিম ডেভি বলেন, “কিছু ভুল হয়েছে এবং মহাপরিচালক হিসেবে শেষ পর্যন্ত আমাকে দায় নিতে হবে।” একইভাবে ডেবোরা টারনেসও বলেন, “চূড়ান্তভাবে এই দায়ভার আমার।” উভয়েই স্বীকার করেন, ঘটনাটি প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
বিবিসির অভ্যন্তরে চলমান সংকট নিয়েও সমালোচনা উঠেছে। সাবেক সংবাদ নিয়ন্ত্রক ক্রেইগ অলিভার রেডিও ফোরের টুডে অনুষ্ঠানে বলেন, “বিবিসি এখন দিশাহারা, নেতৃত্বহীন এবং বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে।” তাঁর মতে, মহাপরিচালক ও সংবাদপ্রধানের একসঙ্গে পদত্যাগের ঘটনা প্রতিষ্ঠানটির গভীর অভ্যন্তরীণ বিভাজনের প্রতিফলন।
বিবিসির সংস্কৃতি ও গণমাধ্যমবিষয়ক সম্পাদক কেটি রাজাল তাঁর বিশ্লেষণে উল্লেখ করেন, “বিবিসির ইতিহাসে একসঙ্গে শীর্ষ দুই কর্মকর্তার পদত্যাগ অভূতপূর্ব ঘটনা। প্যানোরামা বিতর্কের পর প্রতিষ্ঠানের বোর্ডের ভেতরে দ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক প্রভাবের অভিযোগও সামনে এসেছে।”
বিবিসির বোর্ডের কিছু সদস্য এই সংকটে ব্যবস্থাপনা ব্যর্থতার দায় টিম ডেভির ওপর চাপাচ্ছেন বলে জানা গেছে। আবার অন্য একটি অংশের দাবি, বিবিসিকে রাজনৈতিক চাপের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
এদিকে বিবিসির সাবেক যোগাযোগ প্রধান জন শিল্ড বলেছেন, “মহাপরিচালকের দায়িত্ব পৃথিবীর অন্যতম কঠিন কাজ। টিম ডেভি অনেক চাপ সহ্য করেছেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই বিতর্ক তাঁর সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে।”
এই দুই শীর্ষ পদত্যাগে বিশ্ববিখ্যাত সংবাদমাধ্যমটি এখন নেতৃত্বহীন অবস্থায় পড়েছে। কে আসবেন নতুন মহাপরিচালক ও নিউজ সিইও হিসেবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।

বিবিসির অনুসন্ধানী তথ্যচিত্র ‘প্যানোরামা’ ঘিরে তীব্র বিতর্কের পর পদত্যাগ করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং সংবাদ বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডেবোরা টারনেস। গত রোববার রাতে তারা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। পাঁচ বছর ধরে মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন টিম ডেভি।
বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ‘প্যানোরামা’ তথ্যচিত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুটি আলাদা বক্তৃতা সম্পাদনা করে একত্রে দেখানো হয়, যা দর্শকদের বিভ্রান্ত করেছে বলে দাবি ওঠে। ওই তথ্যচিত্রটি গত ২৮ অক্টোবর প্রচারিত হয়। এতে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের দেওয়া ভাষণের অংশ এমনভাবে দেখানো হয়, যেন তিনি তাঁর সমর্থকদের ক্যাপিটল ভবনে সহিংসতায় উসকানি দিচ্ছেন।
এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁর প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফ-কে বলেন, “বিবিসি শতভাগ ভুয়া সংবাদমাধ্যম এবং প্রোপাগান্ডা মেশিন।” ট্রাম্প নিজেও তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, “বিবিসির শীর্ষ কর্মকর্তারা আমার ভাষণ বিকৃত করার দায়ে পদত্যাগ করছেন, যা প্রমাণ করে তারা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে চেয়েছিলেন।”
পদত্যাগের ঘোষণায় টিম ডেভি বলেন, “কিছু ভুল হয়েছে এবং মহাপরিচালক হিসেবে শেষ পর্যন্ত আমাকে দায় নিতে হবে।” একইভাবে ডেবোরা টারনেসও বলেন, “চূড়ান্তভাবে এই দায়ভার আমার।” উভয়েই স্বীকার করেন, ঘটনাটি প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
বিবিসির অভ্যন্তরে চলমান সংকট নিয়েও সমালোচনা উঠেছে। সাবেক সংবাদ নিয়ন্ত্রক ক্রেইগ অলিভার রেডিও ফোরের টুডে অনুষ্ঠানে বলেন, “বিবিসি এখন দিশাহারা, নেতৃত্বহীন এবং বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে।” তাঁর মতে, মহাপরিচালক ও সংবাদপ্রধানের একসঙ্গে পদত্যাগের ঘটনা প্রতিষ্ঠানটির গভীর অভ্যন্তরীণ বিভাজনের প্রতিফলন।
বিবিসির সংস্কৃতি ও গণমাধ্যমবিষয়ক সম্পাদক কেটি রাজাল তাঁর বিশ্লেষণে উল্লেখ করেন, “বিবিসির ইতিহাসে একসঙ্গে শীর্ষ দুই কর্মকর্তার পদত্যাগ অভূতপূর্ব ঘটনা। প্যানোরামা বিতর্কের পর প্রতিষ্ঠানের বোর্ডের ভেতরে দ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক প্রভাবের অভিযোগও সামনে এসেছে।”
বিবিসির বোর্ডের কিছু সদস্য এই সংকটে ব্যবস্থাপনা ব্যর্থতার দায় টিম ডেভির ওপর চাপাচ্ছেন বলে জানা গেছে। আবার অন্য একটি অংশের দাবি, বিবিসিকে রাজনৈতিক চাপের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
এদিকে বিবিসির সাবেক যোগাযোগ প্রধান জন শিল্ড বলেছেন, “মহাপরিচালকের দায়িত্ব পৃথিবীর অন্যতম কঠিন কাজ। টিম ডেভি অনেক চাপ সহ্য করেছেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই বিতর্ক তাঁর সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে।”
এই দুই শীর্ষ পদত্যাগে বিশ্ববিখ্যাত সংবাদমাধ্যমটি এখন নেতৃত্বহীন অবস্থায় পড়েছে। কে আসবেন নতুন মহাপরিচালক ও নিউজ সিইও হিসেবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।