আমার শহর ডেস্ক

অবৈধ পথে বা 'ডাঙ্কি রুটে' যুক্তরাষ্ট্রে স্বপ্নের জীবন গড়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হলো না। অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ৫৪ জন যুবককে আমেরিকা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রবিবার তারা দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের ফলেই এই নির্বাসন বেড়েছে।
'ডাঙ্কি রুট' রহস্য এবং প্রতারণা
পঞ্জাবি বাগধারা থেকে আসা ‘ডাঙ্কি’ শব্দটি একটি বিপজ্জনক অবৈধ অভিবাসন কৌশলকে বোঝায়, যা ‘ডাঙ্কি ফ্লাইট’ নামে পরিচিত। এই পদ্ধতিতে ব্যক্তিরা দালাল বা এজেন্টের মাধ্যমে বিপুল অর্থের বিনিময়ে একাধিক দেশে গোপনে অবস্থান করে তারপর সীমান্ত অতিক্রম করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। এজেন্টরা জাহাজের কন্টেইনার বা গাড়ির গোপন বগির মাধ্যমে পাচার করা থেকে শুরু করে জাল নথি সরবরাহের মতো অবৈধ কাজও করে থাকে।
ফেরত আসা ৫৪ যুবকের বেশিরভাগেরই বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তারা মূলত হরিয়ানার বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক যুবক ছিলেন কর্ণাল (১৬ জন) এবং কৈথল (১৫ জন) জেলা থেকে। এছাড়া আম্বালা, যমুনা নগর, কুরুক্ষেত্র, জিনদ, সোনিপত, পঞ্চকুলা, পানিপত, রোহতক এবং ফতেহাবাদের বাসিন্দারাও রয়েছেন। কর্ণাল পুলিশ তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।
কর্ণালের ডিএসপি সন্দীপ কুমার নিশ্চিত করেন যে বহিষ্কৃত এই ব্যক্তিরা অবৈধ ‘ডাঙ্কি রুটে’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি আরও জানান, হরিয়ানা রাজ্য থেকে মোট ৫০ জনেরও বেশি ভারতীয়কে বহিষ্কার করা হয়েছে। পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে সতর্ক করেছে যে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য ডাঙ্কি পথ একটি অত্যন্ত ভুল ও ঝুঁকিপূর্ণ পদ্ধতি। বর্তমানে তদন্ত চলছে এবং এই নির্বাসিতদের কারো বিরুদ্ধে কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে দালাল বা এজেন্টের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৫৬৩ জন ভারতীয় নাগরিককে আমেরিকা থেকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দেশটির আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে চলেছে।

অবৈধ পথে বা 'ডাঙ্কি রুটে' যুক্তরাষ্ট্রে স্বপ্নের জীবন গড়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হলো না। অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ৫৪ জন যুবককে আমেরিকা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রবিবার তারা দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের ফলেই এই নির্বাসন বেড়েছে।
'ডাঙ্কি রুট' রহস্য এবং প্রতারণা
পঞ্জাবি বাগধারা থেকে আসা ‘ডাঙ্কি’ শব্দটি একটি বিপজ্জনক অবৈধ অভিবাসন কৌশলকে বোঝায়, যা ‘ডাঙ্কি ফ্লাইট’ নামে পরিচিত। এই পদ্ধতিতে ব্যক্তিরা দালাল বা এজেন্টের মাধ্যমে বিপুল অর্থের বিনিময়ে একাধিক দেশে গোপনে অবস্থান করে তারপর সীমান্ত অতিক্রম করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। এজেন্টরা জাহাজের কন্টেইনার বা গাড়ির গোপন বগির মাধ্যমে পাচার করা থেকে শুরু করে জাল নথি সরবরাহের মতো অবৈধ কাজও করে থাকে।
ফেরত আসা ৫৪ যুবকের বেশিরভাগেরই বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তারা মূলত হরিয়ানার বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক যুবক ছিলেন কর্ণাল (১৬ জন) এবং কৈথল (১৫ জন) জেলা থেকে। এছাড়া আম্বালা, যমুনা নগর, কুরুক্ষেত্র, জিনদ, সোনিপত, পঞ্চকুলা, পানিপত, রোহতক এবং ফতেহাবাদের বাসিন্দারাও রয়েছেন। কর্ণাল পুলিশ তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।
কর্ণালের ডিএসপি সন্দীপ কুমার নিশ্চিত করেন যে বহিষ্কৃত এই ব্যক্তিরা অবৈধ ‘ডাঙ্কি রুটে’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি আরও জানান, হরিয়ানা রাজ্য থেকে মোট ৫০ জনেরও বেশি ভারতীয়কে বহিষ্কার করা হয়েছে। পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে সতর্ক করেছে যে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য ডাঙ্কি পথ একটি অত্যন্ত ভুল ও ঝুঁকিপূর্ণ পদ্ধতি। বর্তমানে তদন্ত চলছে এবং এই নির্বাসিতদের কারো বিরুদ্ধে কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে দালাল বা এজেন্টের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৫৬৩ জন ভারতীয় নাগরিককে আমেরিকা থেকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দেশটির আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে চলেছে।