কবি নজরুলের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
কুমিল্লায় অযত্ন অবহেলায় পড়ে আছে কবির স্মৃতি ফলক
নিজস্ব প্রতিবেদক
'আমি চিরতরে দূরে চলে যাব, তবু আমারে দেব না ভুলিতে।' দ্রোহ, মানবতা, প্রেম আর সাম্যের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বুধবার। কিন্তু কুমিল্লায় কবির স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো এখনো অযত্ন অবহেলায় পড়ে আছে। কোথাও কোথাও স্মৃতি ফলক মুছে গেছে। কোথাও স্মৃতি ফলক ভেঙে ফেলা হয়েছে। কোথাও স্মৃতিফলক ঝোপজঙ্গলে ভরা।
স্থানীয় নজরুল গবেষকদের ভাষ্য, কবি কুমিল্লা শহরের ঝাউতলা, ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শাখার পূর্ব-দক্ষিণ কোণে, নজরুল এভিনিউ, ফরিদা বিদ্যায়তন, দারোগা বাড়ি, ঝানু মিয়ার বাড়ি, শচীন দেব বর্মণের বাড়ি, নজরুল অ্যাভিনিউ এলাকার বসন্ত স্মৃতি পাঠাগার ও প্রমীলার বাড়ি ও কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দৌলতপুরে বসে সংগীত চর্চা করেছেন। কাব্য রচনা করেছেন। ১৯৮৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর নজরুল স্মৃতিরক্ষা পরিষদ এর উদ্যোগে কবির স্মৃতি বিজড়িত কুমিল্লার অন্তত ১০টি স্থানে স্মৃতি ফলক বসানো হয়। ২০১৫ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ও নজরুল এভিনিউ এলাকার নতুন স্মৃতি ফলক লাগানো হয়। অন্যগুলো আগের মতোই রয়ে যায়। দুই বছর আগে কিছু ফলক সংস্কার করা হলেও সেগুলো অরক্ষিত। কবি ১৯২১ সাল থেকে ১৯২৪ সাল পর্যন্ত কুমিল্লায় আসাযাওয়া করেন ।
সরেজমিনে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের লাগোয়া রাণীর দিঘির পশ্চিম দক্ষিণ কোণে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে কচুগাছসহ নানা ধরনের আগাছা বংশবিস্তার করেছে। ফলকটি ঠিকমতো দেখা যাচ্ছে না। জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এগুলো পরিষ্কার করা হয়নি। এখানে বসেই কবি কলেজ শিক্ষার্থীদের নিয়ে কবিতা, ছড়া আবৃত্তি করতেন। গান গাইতেন। চুটিয়ে আড্ডা দিতেন। এছাড়া মুরাদনগরের দৌলতপুরের আলী আকবর খাঁর বাড়িরও ভগ্নদশা। সেটির পলেস্তরা খসে পড়েছে। এক সময় কবি এই বাড়িতে সময় কাটান। এই বাড়িতেই নার্গিসের সঙ্গে কবির প্রেম, প্রণয় ও বিয়ে হয় । ১৯৭৬ সালের ২৭ আগস্ট কবি মারা যান।
বিশিষ্ট নজরুল গবেষক ড. আলী হোসেন চৌধুরী বলেন, ১৯২১ সালের এপ্রিল মাসে কলকাতা থেকে কুমিল্লা রেলস্টেশন দিয়ে কবি নজরুল কুমিল্লা শহরে আসেন। তাঁর বন্ধু আলী আকবর খানের সঙ্গে তিনি প্রথমবার কুমিল্লায় আসেন। এরপর ১৯২৪ সাল পর্যন্ত পাঁচ বার কুমিল্লায় আসেন তিনি। অবস্থান করেছেন প্রায় ১১ মাস। কবি প্রথম বার ১৯২১ সালের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত, দ্বিতীয় বার ১৯২১ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস, তৃতীয় বার ১৯২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে, চতুর্থ বার ১৯২২ সালের অক্টোবরে এবং পঞ্চম ও শেষবার ১৯২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯২৪ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত কুমিল্লায় ছিলেন। কবির স্মৃতি ফলকগুলো রক্ষা করা দরকার।
নজরুল পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার বড়ুয়া বলেন, কবির স্মৃতিচিহ্ন গুলো নতুন করে সংস্কার করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসনের কাছে এ নিয়ে আবেদন করব।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, কুমিল্লার স্মৃতিফলকগুলো নতুন করে সংস্কার করা হবে। নজরুলের জীবনে কুমিল্লা একটি বড় অধ্যায়। পরিকল্পনা করে প্রকল্প নিয়ে ফলকের কাজ করব।
কুমিল্লায় ৪৯তম নজরুল মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন : দিনটি উপলক্ষে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ও নজরুল পরিষদ যৌথভাবে নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। বিকেল চারটায় কবি নজরুল ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার। সভাপতিত্ব করবেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম।
'আমি চিরতরে দূরে চলে যাব, তবু আমারে দেব না ভুলিতে।' দ্রোহ, মানবতা, প্রেম আর সাম্যের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বুধবার। কিন্তু কুমিল্লায় কবির স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো এখনো অযত্ন অবহেলায় পড়ে আছে। কোথাও কোথাও স্মৃতি ফলক মুছে গেছে। কোথাও স্মৃতি ফলক ভেঙে ফেলা হয়েছে। কোথাও স্মৃতিফলক ঝোপজঙ্গলে ভরা।
স্থানীয় নজরুল গবেষকদের ভাষ্য, কবি কুমিল্লা শহরের ঝাউতলা, ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শাখার পূর্ব-দক্ষিণ কোণে, নজরুল এভিনিউ, ফরিদা বিদ্যায়তন, দারোগা বাড়ি, ঝানু মিয়ার বাড়ি, শচীন দেব বর্মণের বাড়ি, নজরুল অ্যাভিনিউ এলাকার বসন্ত স্মৃতি পাঠাগার ও প্রমীলার বাড়ি ও কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দৌলতপুরে বসে সংগীত চর্চা করেছেন। কাব্য রচনা করেছেন। ১৯৮৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর নজরুল স্মৃতিরক্ষা পরিষদ এর উদ্যোগে কবির স্মৃতি বিজড়িত কুমিল্লার অন্তত ১০টি স্থানে স্মৃতি ফলক বসানো হয়। ২০১৫ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ও নজরুল এভিনিউ এলাকার নতুন স্মৃতি ফলক লাগানো হয়। অন্যগুলো আগের মতোই রয়ে যায়। দুই বছর আগে কিছু ফলক সংস্কার করা হলেও সেগুলো অরক্ষিত। কবি ১৯২১ সাল থেকে ১৯২৪ সাল পর্যন্ত কুমিল্লায় আসাযাওয়া করেন ।
সরেজমিনে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের লাগোয়া রাণীর দিঘির পশ্চিম দক্ষিণ কোণে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে কচুগাছসহ নানা ধরনের আগাছা বংশবিস্তার করেছে। ফলকটি ঠিকমতো দেখা যাচ্ছে না। জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এগুলো পরিষ্কার করা হয়নি। এখানে বসেই কবি কলেজ শিক্ষার্থীদের নিয়ে কবিতা, ছড়া আবৃত্তি করতেন। গান গাইতেন। চুটিয়ে আড্ডা দিতেন। এছাড়া মুরাদনগরের দৌলতপুরের আলী আকবর খাঁর বাড়িরও ভগ্নদশা। সেটির পলেস্তরা খসে পড়েছে। এক সময় কবি এই বাড়িতে সময় কাটান। এই বাড়িতেই নার্গিসের সঙ্গে কবির প্রেম, প্রণয় ও বিয়ে হয় । ১৯৭৬ সালের ২৭ আগস্ট কবি মারা যান।
বিশিষ্ট নজরুল গবেষক ড. আলী হোসেন চৌধুরী বলেন, ১৯২১ সালের এপ্রিল মাসে কলকাতা থেকে কুমিল্লা রেলস্টেশন দিয়ে কবি নজরুল কুমিল্লা শহরে আসেন। তাঁর বন্ধু আলী আকবর খানের সঙ্গে তিনি প্রথমবার কুমিল্লায় আসেন। এরপর ১৯২৪ সাল পর্যন্ত পাঁচ বার কুমিল্লায় আসেন তিনি। অবস্থান করেছেন প্রায় ১১ মাস। কবি প্রথম বার ১৯২১ সালের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত, দ্বিতীয় বার ১৯২১ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস, তৃতীয় বার ১৯২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে, চতুর্থ বার ১৯২২ সালের অক্টোবরে এবং পঞ্চম ও শেষবার ১৯২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯২৪ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত কুমিল্লায় ছিলেন। কবির স্মৃতি ফলকগুলো রক্ষা করা দরকার।
নজরুল পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার বড়ুয়া বলেন, কবির স্মৃতিচিহ্ন গুলো নতুন করে সংস্কার করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসনের কাছে এ নিয়ে আবেদন করব।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, কুমিল্লার স্মৃতিফলকগুলো নতুন করে সংস্কার করা হবে। নজরুলের জীবনে কুমিল্লা একটি বড় অধ্যায়। পরিকল্পনা করে প্রকল্প নিয়ে ফলকের কাজ করব।
কুমিল্লায় ৪৯তম নজরুল মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন : দিনটি উপলক্ষে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ও নজরুল পরিষদ যৌথভাবে নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। বিকেল চারটায় কবি নজরুল ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার। সভাপতিত্ব করবেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম।
নারায়ণগঞ্জে পূজামন্ডপ পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, এবারের শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তার কোন ঝুঁকি নাই।
২ দিন আগে