বাংলাদেশ জেলের নাম পরিবর্তন

আমার শহর ডেস্ক
Thumbnail image

বাংলাদেশ জেলের নাম পরিবর্তন করে ‘কারেকশন সার্ভিস বাংলাদেশ’ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন।

আজ মঙ্গলবার কারা সদরদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি দায়িত্ব দেওয়ার পর গত এক বছরে কারাগারে নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন।

কারাগার সংশ্লিষ্ট সংস্কার এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সম্পর্কে তুলে ধরে আইজি প্রিজন বলেন, তীব্র জনবল সংকটের সমস্যা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে এক হাজার ৮৯৯ নতুন জনবলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং আরও দেড় হাজার জনবলের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।

কারা বিভাগ সংশ্লিষ্ট আইন-কানুন যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে কারেকশন সার্ভিস অ্যাক্ট ২০২৫-এর খসড়া চূড়ান্ত করে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

আইজি প্রিজন জানান, মামলাসহ নানা জটিলতা অতিক্রম করে দীর্ঘ এক যুগ পরে সিনিয়র জেল সুপারসহ সব পদবীতে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা প্রশাসনে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করছে।

এ ছাড়া নিয়োগবিধি সংক্রান্ত জটিলতায় অনেকগুলো পদে নিয়োগ এবং পদায়ন করা সম্ভব হচ্ছিল না, তাও যুগোপযোগী করে নতুন নিয়োগবিধি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

কারা বিভাগের পোস্টিং বাণিজ্যের বহুল প্রচলিত অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে বর্তমানে সব গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সৎ কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের পদায়ন করা হচ্ছে এবং তা চলমান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দিদের স্থান সংকুলানের জন্য নতুন করে দুটি কেন্দ্রীয় কারাগার এবং চারটি জেলা কারাগার চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া অধিকতর সমন্বয়ের জন্য ঢাকা বিভাগকে ভেঙে দুটি বিভাগ করা হয়েছে।

কারা বিভাগের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি মুক্ত রাখতে নানাবিধ উদ্ভাবনী পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। কারা বিভাগের আধুনিক প্রযুক্তি-নির্ভর নিয়োগ পদ্ধতি সরকারি দপ্তর এবং সংস্থার নিয়োগের ক্ষেত্রে মডেল নিয়োগ পদ্ধতি হিসাবে বিবেচনার দাবি রাখে। এতে একদিকে যেমন দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য কমানো গিয়েছে, অন্যদিকে প্রতিটি স্তরেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পেশাদার ভুয়া পরীক্ষার্থীও শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

বন্দি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম তুলে ধরে আইজি প্রিজন বলেন, বন্দিদের টেলিফোন কল এবং দেখা সাক্ষাতের বিষয়টি ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হয়েছে যাতে, এক্ষেত্রে সেবাগ্রহীতাদের কোনরূপ হয়রানীর স্বীকার হতে না হয় এবং একই সাথে নিবিড় নজরদারিও বজায় রাখা যায়। আমরা এজন্য এআই নির্ভর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। কোন কারাগার প্রাঙ্গণে আগত দর্শনার্থীদের সঙ্গে সম্মানসূচক ব্যবহার করা হচ্ছে এবং সাক্ষাতের সময় তারা যাতে হয়রানির স্বীকার না হয় তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সম্পর্কিত