আমার শহর ডেস্ক

বেতনভাতা বাড়ানোসহ তিন দফা দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশন শুরু করেছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। শুক্রবার দুপুর ২টায় বৃষ্টির মধ্যেই শুরু হয় এই অনশন কর্মসূচি। এর আগে ‘যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা’ স্থগিতের ঘোষণা দেন শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী।
তিনি জানান, পদযাত্রা স্থগিত হলেও সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস, পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে লাগাতার সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলবে। আন্দোলনকারী শিক্ষকরা সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আলোচনা শেষে অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজীজি বলেন, বিগত সময়ে দীপু মনী এবং নওফেল যে পথে হেঁটেছেন, ঠিক এই পথেই আবরার সাহেব হাঁটা শুরু করেছেন। কথা বলার প্রয়োজন হলে শহীদ মিনারে যারা আন্দোলন করছেন তাদের সঙ্গে করবেন, কিন্তু আপনি তাদের সঙ্গে কথা না বলে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নেতার সঙ্গে আগে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে, খোদ উপদেষ্টা এই আন্দোলন বানচালের করার জন্য নিজে ষড়যন্ত্র লিপ্ত রয়েছেন। আমরা কোনও ষড়যন্ত্রে পা দেব না। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে বিজয়ের মালা গলায় নিয়ে সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের কাছে ফিরে যাবো।
এদিকে বৈঠকে কোনো ফলপ্রসূ সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। দিনভর শিক্ষকরা শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
গত ৫ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া মাত্র ৫০০ টাকা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করলে তা প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষকরা তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর ১৩ অক্টোবর প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করলে আন্দোলন আরও বিস্তৃত হয়। সেই থেকেই শিক্ষকরা শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত বুধবার শিক্ষকরা শাহবাগ মোড় আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় অবরোধ করে রাখেন। পূর্ব ঘোষণানুযায়ী বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ও রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা’ করার কথা থাকলেও শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর সেটি স্থগিতের ঘোষণা দেন তারা।
অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে অনুরোধ এসেছে, যমুনার দিকে পদযাত্রা করলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। সুযোগসন্ধানী ও ষড়যন্ত্রকারীরা আন্দোলনে প্রবেশ করে পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে নিতে পারে। তাই আমরা আপাতত কর্মসূচি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, ‘আমাদের নতুন কর্মসূচি হলো ২৪ ঘণ্টা লাগাতার অবস্থান অব্যাহত থাকবে এবং শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে অনশন শুরু হবে। এরপরও যদি সরকারের বোধোদয় না হয়, আমরা আমরণ অনশনে যাবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি সরকারের কোনো দয়া না হয় বা সাড়া না আসে, তাহলে আমরা এখানেই আমরণ অনশনে মৃত্যুবরণ করব।’
অধ্যক্ষ আজিজী জানান, ‘ক্লাস তো এমনিতেই বন্ধ। তবে আগামী রোববার থেকে সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষাসহ সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে শুরু হবে লাগাতার কর্মবিরতি।’

বেতনভাতা বাড়ানোসহ তিন দফা দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশন শুরু করেছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। শুক্রবার দুপুর ২টায় বৃষ্টির মধ্যেই শুরু হয় এই অনশন কর্মসূচি। এর আগে ‘যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা’ স্থগিতের ঘোষণা দেন শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী।
তিনি জানান, পদযাত্রা স্থগিত হলেও সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস, পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে লাগাতার সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলবে। আন্দোলনকারী শিক্ষকরা সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আলোচনা শেষে অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজীজি বলেন, বিগত সময়ে দীপু মনী এবং নওফেল যে পথে হেঁটেছেন, ঠিক এই পথেই আবরার সাহেব হাঁটা শুরু করেছেন। কথা বলার প্রয়োজন হলে শহীদ মিনারে যারা আন্দোলন করছেন তাদের সঙ্গে করবেন, কিন্তু আপনি তাদের সঙ্গে কথা না বলে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নেতার সঙ্গে আগে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে, খোদ উপদেষ্টা এই আন্দোলন বানচালের করার জন্য নিজে ষড়যন্ত্র লিপ্ত রয়েছেন। আমরা কোনও ষড়যন্ত্রে পা দেব না। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে বিজয়ের মালা গলায় নিয়ে সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের কাছে ফিরে যাবো।
এদিকে বৈঠকে কোনো ফলপ্রসূ সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। দিনভর শিক্ষকরা শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
গত ৫ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া মাত্র ৫০০ টাকা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করলে তা প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষকরা তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর ১৩ অক্টোবর প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করলে আন্দোলন আরও বিস্তৃত হয়। সেই থেকেই শিক্ষকরা শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত বুধবার শিক্ষকরা শাহবাগ মোড় আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় অবরোধ করে রাখেন। পূর্ব ঘোষণানুযায়ী বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ও রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা’ করার কথা থাকলেও শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর সেটি স্থগিতের ঘোষণা দেন তারা।
অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে অনুরোধ এসেছে, যমুনার দিকে পদযাত্রা করলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। সুযোগসন্ধানী ও ষড়যন্ত্রকারীরা আন্দোলনে প্রবেশ করে পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে নিতে পারে। তাই আমরা আপাতত কর্মসূচি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, ‘আমাদের নতুন কর্মসূচি হলো ২৪ ঘণ্টা লাগাতার অবস্থান অব্যাহত থাকবে এবং শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে অনশন শুরু হবে। এরপরও যদি সরকারের বোধোদয় না হয়, আমরা আমরণ অনশনে যাবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি সরকারের কোনো দয়া না হয় বা সাড়া না আসে, তাহলে আমরা এখানেই আমরণ অনশনে মৃত্যুবরণ করব।’
অধ্যক্ষ আজিজী জানান, ‘ক্লাস তো এমনিতেই বন্ধ। তবে আগামী রোববার থেকে সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষাসহ সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে শুরু হবে লাগাতার কর্মবিরতি।’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট হবে একই দিনে। এই বিধান রেখে গণভোট অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। পৃথক ব্যালট পেপারে চারটি বিষয়ের ওপর একটি প্রশ্নে হবে এই গণভোট।
১ দিন আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ২৯ নভেম্বর (শনিবার) মক ভোটিং (পরীক্ষামূলক ভোট)র আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
২ দিন আগে
গণভোট অধ্যাদেশ-২০২৫ এর খসড়া নীতিমালার অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
২ দিন আগে