নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা লাকসাম উপজেলার কাঁঠালিয়া গ্রামের হতদরিদ্র সাহিদা বেগম। তাঁর স্বামী অসুস্থ হওয়ার পর একটি বহুমুখী সমবায় সমিতি থেকে চেকের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা ঋণ আনেন। এরপর তিনি ওই ঋণ বিভিন্ন কিন্তুিতে পরিশোধ করেন। পরে কয়েকবার ওই চেক ফেরত আনার জন্য তাগাদা দেন সাহিদা বেগম। কিন্তু তাঁকে আরও ওই চেক ফেরত দেওয়া হয়নি । এরই মধ্যে ওই সমিতির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২০১২ সালে ওই সমিতির একজন কর্মকর্তা এ নিয়ে সাহিদা বেগমের নামে কুমিল্লার আদালতে ছয় লাখ টাকা চেক জালিয়াতির মামলা করেন। এ নিয়ে আদালত থেকে তাঁর কাছে কোন নোটিশও দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল কুমিল্লার লাকসাম থানা পুলিশ ওই মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে সাহিদা বেগমকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাঁকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়। ওই খবর পেয়ে ব্লাষ্ট কুমিল্লা শাখা বিষয়টি কুমিল্লা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে প্রেরণ করে। এরপর জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের প্যানেল আইনজীবীর মাধমে সাহিদা বেগম ওই বছরের ২২ মে জামিন পেয়ে মুক্ত হন ।
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের সাপলোলা গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলামের দুই ছেলে যথাক্রমে আবদুর রহিম ও নূরুল ইসলাম তাঁদের সম্পত্তি নিয়ে পাঁচটি মামলা করেন। চার বছর ধরে ওই মামলা চালান তাঁরা। এতে তাঁদের খরচ হয় অন্তত চার লাখ টাকা। এক পর্যায়ে তাঁরা মামলার খরচ চালাতে না পেরে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের দ্বারস্থ হন। এরপর জেলা লিগ্যাল এইডের আইনজীবীদের মাধ্যমে ওই মামলা পাঁচটি নিষ্পত্তি করা হয়। এখন তাঁরা চাচাতো ভাইয়েরা ভাল আছেন। একে অপরের পাশে দাঁড়ান ।
শুধু সাহিদা বেগম আর আবদুর রহিম ও নুরুল ইসলাম নন, এ রকম হাজার হাজার মানুষকে আইনি সহায়তা দিয়ে আসছে সরকারের জেলা লিগ্যাল এইড অফিস। বিনামূল্যে আইনীসেবা দিয়ে বিচারপ্রার্থীদের দিনের পর দিন সেবা দিয়ে আসছে সংস্থাটি। আজ সোমবার ২৮ এপ্রিল ওই অফিসের উদ্যোগে পালিত হচ্ছে জাতীয় আইনগত সহায়তা 'দিবস-২০২৫ । এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য হল ‘ দ্বন্দ্বে কেনো আনন্দ নাই, আপস করো ভাই, লিগ্যাল এইড আছে পাশে, কেনো চিন্তা নেই।’
জানা গেছে, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অধীনে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা হল জেলা লিগ্যাল এইড অফিস। কুমিল্লার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের তৃতীয়তলায় ওই অফিস। জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান হলেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহাবুবুর রহমান। এই কমিটির অধীনে একজন জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা হিসেবে রয়েছেন। কুমিল্লায় এখন দায়িত্বে আছেন জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা এফ এম শেফায়েত ছালাম।
সেবা পাওয়া কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার সাপলোদা গ্রামের আবদুর রহিম ও নুরুল ইসলাম বলেন, “ আমরা একে অপরের সঙ্গে মামলা করে শেষ হয়ে গেছি। পরে টিকতে না পেরে দুইপক্ষই এখানে এসেছি। এখন আর কোন বিরোধ নেই ।
জেলা লিগ্যাল এইড অফিস থেকে জানা গেছে, ২০০০ সালে এই অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১২ সালের ৪ নভেম্বর থেকে জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। এখানে কারাগারে বিনা বিচারে আটক কারাবন্দীদের আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয় । এটি অসহায় ও দরিদ্রদের সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা প্রাপ্তি ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্র। সরকারি আইনি সহায়তায় জাতীয় হেল্পলাইন ১৬৪৩০ । এই নম্বরে কল করলেই সেবা পাওয়া যাবে। ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল সরকারি আইনি সহায়তায় জাতীয় হেল্পলাইন কলসেস্টারের উদ্বোধন হয় ।
সাধারণ মানুষের দাবি, এই দপ্তরের কার্যক্রম গ্রামে গঞ্জে ও শহরে জানাতে হবে। বিনামুল্যে বিচার পাওয়ার আইনি অধিকার সবার রয়েছে। জেলা লিগ্যাল এইড সেই কাজই করে যাচ্ছে । এর ফলে দরিদ্র মানুষ সেবা পাচ্ছে ৷
দিনটি উপলক্ষে আজ সোমবার সকাল সোয়া আটটায় কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গন থেকে শোভাযাত্রা বের হবে। এরপর সকাল নয়টায় আলোচনা সভ াআদালত প্রাঙ্গনে হবে।
কুমিল্লার সরকারি কৌসুলি (পিপি) বিশিষ্ট আইনজীবী মো. কাইমুল হক রিংকুৃ বলেন, ‘জেলা লিগ্যাল এইড অফিস সাধারণ মানুষের আপন ঠিকানা। এই অফিসের সহযোগিতা নিলে উপকার মিলবে। ’
কুমিল্লা লাকসাম উপজেলার কাঁঠালিয়া গ্রামের হতদরিদ্র সাহিদা বেগম। তাঁর স্বামী অসুস্থ হওয়ার পর একটি বহুমুখী সমবায় সমিতি থেকে চেকের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা ঋণ আনেন। এরপর তিনি ওই ঋণ বিভিন্ন কিন্তুিতে পরিশোধ করেন। পরে কয়েকবার ওই চেক ফেরত আনার জন্য তাগাদা দেন সাহিদা বেগম। কিন্তু তাঁকে আরও ওই চেক ফেরত দেওয়া হয়নি । এরই মধ্যে ওই সমিতির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২০১২ সালে ওই সমিতির একজন কর্মকর্তা এ নিয়ে সাহিদা বেগমের নামে কুমিল্লার আদালতে ছয় লাখ টাকা চেক জালিয়াতির মামলা করেন। এ নিয়ে আদালত থেকে তাঁর কাছে কোন নোটিশও দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল কুমিল্লার লাকসাম থানা পুলিশ ওই মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে সাহিদা বেগমকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাঁকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়। ওই খবর পেয়ে ব্লাষ্ট কুমিল্লা শাখা বিষয়টি কুমিল্লা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে প্রেরণ করে। এরপর জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের প্যানেল আইনজীবীর মাধমে সাহিদা বেগম ওই বছরের ২২ মে জামিন পেয়ে মুক্ত হন ।
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের সাপলোলা গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলামের দুই ছেলে যথাক্রমে আবদুর রহিম ও নূরুল ইসলাম তাঁদের সম্পত্তি নিয়ে পাঁচটি মামলা করেন। চার বছর ধরে ওই মামলা চালান তাঁরা। এতে তাঁদের খরচ হয় অন্তত চার লাখ টাকা। এক পর্যায়ে তাঁরা মামলার খরচ চালাতে না পেরে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের দ্বারস্থ হন। এরপর জেলা লিগ্যাল এইডের আইনজীবীদের মাধ্যমে ওই মামলা পাঁচটি নিষ্পত্তি করা হয়। এখন তাঁরা চাচাতো ভাইয়েরা ভাল আছেন। একে অপরের পাশে দাঁড়ান ।
শুধু সাহিদা বেগম আর আবদুর রহিম ও নুরুল ইসলাম নন, এ রকম হাজার হাজার মানুষকে আইনি সহায়তা দিয়ে আসছে সরকারের জেলা লিগ্যাল এইড অফিস। বিনামূল্যে আইনীসেবা দিয়ে বিচারপ্রার্থীদের দিনের পর দিন সেবা দিয়ে আসছে সংস্থাটি। আজ সোমবার ২৮ এপ্রিল ওই অফিসের উদ্যোগে পালিত হচ্ছে জাতীয় আইনগত সহায়তা 'দিবস-২০২৫ । এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য হল ‘ দ্বন্দ্বে কেনো আনন্দ নাই, আপস করো ভাই, লিগ্যাল এইড আছে পাশে, কেনো চিন্তা নেই।’
জানা গেছে, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অধীনে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা হল জেলা লিগ্যাল এইড অফিস। কুমিল্লার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের তৃতীয়তলায় ওই অফিস। জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান হলেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহাবুবুর রহমান। এই কমিটির অধীনে একজন জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা হিসেবে রয়েছেন। কুমিল্লায় এখন দায়িত্বে আছেন জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা এফ এম শেফায়েত ছালাম।
সেবা পাওয়া কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার সাপলোদা গ্রামের আবদুর রহিম ও নুরুল ইসলাম বলেন, “ আমরা একে অপরের সঙ্গে মামলা করে শেষ হয়ে গেছি। পরে টিকতে না পেরে দুইপক্ষই এখানে এসেছি। এখন আর কোন বিরোধ নেই ।
জেলা লিগ্যাল এইড অফিস থেকে জানা গেছে, ২০০০ সালে এই অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১২ সালের ৪ নভেম্বর থেকে জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। এখানে কারাগারে বিনা বিচারে আটক কারাবন্দীদের আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয় । এটি অসহায় ও দরিদ্রদের সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা প্রাপ্তি ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্র। সরকারি আইনি সহায়তায় জাতীয় হেল্পলাইন ১৬৪৩০ । এই নম্বরে কল করলেই সেবা পাওয়া যাবে। ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল সরকারি আইনি সহায়তায় জাতীয় হেল্পলাইন কলসেস্টারের উদ্বোধন হয় ।
সাধারণ মানুষের দাবি, এই দপ্তরের কার্যক্রম গ্রামে গঞ্জে ও শহরে জানাতে হবে। বিনামুল্যে বিচার পাওয়ার আইনি অধিকার সবার রয়েছে। জেলা লিগ্যাল এইড সেই কাজই করে যাচ্ছে । এর ফলে দরিদ্র মানুষ সেবা পাচ্ছে ৷
দিনটি উপলক্ষে আজ সোমবার সকাল সোয়া আটটায় কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গন থেকে শোভাযাত্রা বের হবে। এরপর সকাল নয়টায় আলোচনা সভ াআদালত প্রাঙ্গনে হবে।
কুমিল্লার সরকারি কৌসুলি (পিপি) বিশিষ্ট আইনজীবী মো. কাইমুল হক রিংকুৃ বলেন, ‘জেলা লিগ্যাল এইড অফিস সাধারণ মানুষের আপন ঠিকানা। এই অফিসের সহযোগিতা নিলে উপকার মিলবে। ’