আমার শহর ডেস্ক

সাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোন্থা এখন আরও শক্তিশালী হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি আরও শক্তিশালী হয়ে আজ সন্ধ্যা বা রাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এর প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে আগের মতো দুই নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে আগামী ৫ দিন এর প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে আজ (২৮ অক্টোবর) ভোরে প্রবল ঘূর্ণিঝড়-এ পরিণত হয় এবং এটি পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা বা রাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
এর প্রভাবে আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্য এলাকায় আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
এদিকে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় মোন্থা সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজাত ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে আগের মতো ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এদিকে এই ঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশজুড়ে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এই তথ্য জানানো হয়।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, সারাদেশে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেটের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির সঙ্গে কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
একইভাবে তৃতীয় দিন বুধবার (২৯ অক্টোবর) থেকে চতুর্থ দিন বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি থাকবে। তবে রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহের কিছু অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে পারে। তবে চতুর্থ দিনের জন্য তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পঞ্চম দিন অর্থাৎ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ সময়ের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়।

সাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোন্থা এখন আরও শক্তিশালী হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি আরও শক্তিশালী হয়ে আজ সন্ধ্যা বা রাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এর প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে আগের মতো দুই নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে আগামী ৫ দিন এর প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে আজ (২৮ অক্টোবর) ভোরে প্রবল ঘূর্ণিঝড়-এ পরিণত হয় এবং এটি পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা বা রাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
এর প্রভাবে আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্য এলাকায় আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
এদিকে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় মোন্থা সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজাত ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে আগের মতো ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এদিকে এই ঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশজুড়ে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এই তথ্য জানানো হয়।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, সারাদেশে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেটের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির সঙ্গে কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
একইভাবে তৃতীয় দিন বুধবার (২৯ অক্টোবর) থেকে চতুর্থ দিন বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি থাকবে। তবে রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহের কিছু অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে পারে। তবে চতুর্থ দিনের জন্য তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পঞ্চম দিন অর্থাৎ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ সময়ের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়।