আমার শহর ডেস্ক
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড গত ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেকর্ড সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার বেশি মুনাফা অর্জন করেছে। কোম্পানিটি এর আগে কোন একক বছরে ৬০০ কোটি টাকা মুনাফা করতে পারেনি। এই রেকর্ড মুনাফা অর্জন হওয়ায় কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, যা কোম্পানির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপ প্রকাশের পাশাপাশি আলোচিত বছরের জন্য এই লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। একই দিনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপও প্রকাশ করা হয়েছে। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মেঘনা পেট্রোলিয়ামের কর পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৬৬৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরে যা হয়েছিল ৫৪২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে ১২২ কোটি ৪ লাখ টাকা বা ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বড় এই মুনাফা অর্জনের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে অপরিচালন খাতের আয়। আরো সহজ করে বলা যায়, কোম্পানির বড় অংকের অর্থ ব্যাংকে ডিপোজিট করে রেখেছে, যা থেকে বড় পরিমাণ সুদ আয় হয়েছে। এ ছাড়া বাড়ি নির্মাণ ও জমি ক্রয় অর্থায়ন প্রকল্প থেকে আয় হয়েছে এবং জেটি বা টার্মিনালের মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষের পণ্য পরিবহন থেকেও বড় একটি অংক আয় হয়েছে। এর বাইরে অন্যান্য খাত থেকে আরো কিছু আয় করেছে কোম্পানি, যা তাদের মূল্য ব্যবসার অংশ ছিল না। মুনাফা বাড়ায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশের পরিমাণও বাড়িয়েছে। আলোচিত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি ২০ টাকা হারে বিনিয়োগকারীদের মোট ২১৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ দিতে হবে। অর্থাৎ মুনাফার এক তৃতীয়াংশ লভ্যাংশ হিসেবে বন্টন করা হবে। মুনাফার বাকি অংশ কোম্পানির সংরক্ষিত মুনাফা তহবিলে যুক্ত হবে। আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুনাফার অর্থ বাঁচিয়ে এখন পর্যন্ত কোম্পানির সংরক্ষিত মুনাফা তহবিলে ৮০৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা জমেছে। তবে, কোম্পানির রিজার্ভে ২ হাজার ৪১৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা সংরক্ষিত রয়েছে। কোম্পানিটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১৭০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগের বছরে দেওয়া হযেছিল ১৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। তার আগের ৪ অর্থবছরে ১৫০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত এই লভ্যাংশ ও আলোচিত অর্থবছরের অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী বছরের ২৪ জানুয়ারি বেলা ১২টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এই সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ ডিসেম্বর। এদিকে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে কোম্পানির কর পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৫৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যা হয়েছিল ১৩৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে ১৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বা ১২ দশমিক ২৪ শতাংশ। এই মুনাফা বাড়ার পেছনেও কোম্পানির অপরিচালন খাতের আয় বড় ভূমিকা রেখেছে। আলোচ্য সময়ে অপরিচালন খাত থেকে আয় হয়েছে ১৮৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বেশি।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড গত ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেকর্ড সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার বেশি মুনাফা অর্জন করেছে। কোম্পানিটি এর আগে কোন একক বছরে ৬০০ কোটি টাকা মুনাফা করতে পারেনি। এই রেকর্ড মুনাফা অর্জন হওয়ায় কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, যা কোম্পানির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপ প্রকাশের পাশাপাশি আলোচিত বছরের জন্য এই লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। একই দিনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপও প্রকাশ করা হয়েছে। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মেঘনা পেট্রোলিয়ামের কর পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৬৬৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরে যা হয়েছিল ৫৪২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে ১২২ কোটি ৪ লাখ টাকা বা ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বড় এই মুনাফা অর্জনের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে অপরিচালন খাতের আয়। আরো সহজ করে বলা যায়, কোম্পানির বড় অংকের অর্থ ব্যাংকে ডিপোজিট করে রেখেছে, যা থেকে বড় পরিমাণ সুদ আয় হয়েছে। এ ছাড়া বাড়ি নির্মাণ ও জমি ক্রয় অর্থায়ন প্রকল্প থেকে আয় হয়েছে এবং জেটি বা টার্মিনালের মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষের পণ্য পরিবহন থেকেও বড় একটি অংক আয় হয়েছে। এর বাইরে অন্যান্য খাত থেকে আরো কিছু আয় করেছে কোম্পানি, যা তাদের মূল্য ব্যবসার অংশ ছিল না। মুনাফা বাড়ায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশের পরিমাণও বাড়িয়েছে। আলোচিত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি ২০ টাকা হারে বিনিয়োগকারীদের মোট ২১৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ দিতে হবে। অর্থাৎ মুনাফার এক তৃতীয়াংশ লভ্যাংশ হিসেবে বন্টন করা হবে। মুনাফার বাকি অংশ কোম্পানির সংরক্ষিত মুনাফা তহবিলে যুক্ত হবে। আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুনাফার অর্থ বাঁচিয়ে এখন পর্যন্ত কোম্পানির সংরক্ষিত মুনাফা তহবিলে ৮০৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা জমেছে। তবে, কোম্পানির রিজার্ভে ২ হাজার ৪১৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা সংরক্ষিত রয়েছে। কোম্পানিটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১৭০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগের বছরে দেওয়া হযেছিল ১৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। তার আগের ৪ অর্থবছরে ১৫০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত এই লভ্যাংশ ও আলোচিত অর্থবছরের অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী বছরের ২৪ জানুয়ারি বেলা ১২টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এই সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ ডিসেম্বর। এদিকে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে কোম্পানির কর পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৫৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যা হয়েছিল ১৩৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে ১৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বা ১২ দশমিক ২৪ শতাংশ। এই মুনাফা বাড়ার পেছনেও কোম্পানির অপরিচালন খাতের আয় বড় ভূমিকা রেখেছে। আলোচ্য সময়ে অপরিচালন খাত থেকে আয় হয়েছে ১৮৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বেশি।