আমার শহর ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ও চীনের পোশাক রপ্তানিতে বড় শুল্ক আরোপ করেছে। এর ফলে এই দুই দেশ বিকল্প বাজার খুঁজতে ইউরোপ ও অন্যান্য দেশে ঝুঁকছে। এ কারণে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির উপর চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয়েছে। তবে গেল দুই বছরে বাংলাদেশ বৈশ্বিক বাজারে পোশাক রপ্তানিতে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় পোশাক পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, যা দেশের রপ্তানি সম্ভাবনার ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ৩১ জুলাই ভারতীয় পোশাক রপ্তানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের এই উচ্চ শুল্ক আরোপের কারণে বাংলাদেশের জন্য নতুন রপ্তানি সুযোগ তৈরি হওয়া সত্ত্বেও চ্যালেঞ্জও রয়েছে।
ভারতের বাণিজ্য তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২০ সালে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি করে ৩.০২ বিলিয়ন ডলার, ২০২১ সালে ৪.২০ বিলিয়ন, ২০২২ সালে ৫.৬৯ বিলিয়ন, ২০২৩ সালে ৪.৪৭ বিলিয়ন এবং ২০২৪ সালে ৪.৭০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেছে। এই পাঁচ বছরে ভারতের যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে ৫৫.৩৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে হঠাৎ ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ রপ্তানি কার্যক্রমে বড় ধাক্কা দিতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
পোশাক রপ্তানিকারকরা বলেন, এই পরিস্থিতিতে ভারতের রপ্তানিকারকরা মার্কিন বাজারে তাদের অবস্থান হারাতে পারেন, যা বাংলাদেশ, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার জন্য সুযোগ হয়ে দাঁড়াবে। এই দেশগুলো তুলনামূলকভাবে কম শুল্ক ও প্রতিযোগিতামূলক মূল্য দিয়ে মার্কিন বাজারে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে পারবে।
ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন (ডব্লিউটিও) অনুযায়ী, বাংলাদেশ ২০২৩-২৪ সালে পোশাক রপ্তানি বাজারে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছে। এ সময়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ৩৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। অন্যদিকে ভিয়েতনাম ও ভারতের রপ্তানি বেড়েছে। তবে তুরস্কের রপ্তানি কমেছে, তারা ১৯ বিলিয়ন থেকে ১৮ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। ডব্লিউটিওর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ টানা দুই বছর ধরে ৩৮ বিলিয়ন ডলারের ঘরে রপ্তানি ধরে রেখেছে। গত বছর রপ্তানি হয়েছে ৩৮.৪৮ বিলিয়ন ডলার, যা মাত্র ০.২১ শতাংশ বৃদ্ধি। তবে বাংলাদেশের বিশ্ব বাজারে অংশীদারিত্ব সামান্য কমে ৭.৩৮ শতাংশ থেকে ৬.৯০ শতাংশে নেমেছে। তবুও পোশাক খাত সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, চলতি বছরও বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক অবস্থান ধরে রাখতে পারবে।
বিশ্বের বৃহত্তম পোশাক আমদানিকারক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক কাঠামোর এই পরিবর্তন বৈশ্বিক পোশাক সরবরাহ চেইনে প্রভাব ফেলবে। এখন দেখার বিষয়, কোন দেশ কতটা দ্রুত কৌশলগতভাবে নতুন বাজার ধরতে সক্ষম হয়।
রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড)-এর চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ভারতের ওপর শুল্ক বাড়ায় আমরা কিছুটা সুবিধা পাবো। এতে আমাদের প্রতিযোগিতামূলক ক্ষমতা ও সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় সব দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে, তাই আমেরিকার বাজার ছোট হবে।’
তিনি বলেন, ‘তারা অন্য বাজার খুঁজবে, যেখানে আমাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা বাড়বে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের বড় বাজার, সেখানে দাম কমতে পারে, যা আমাদের জন্য চিন্তার বিষয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আমরা যে পরিমাণ পণ্য বিক্রি করি, অন্য বাজারে তা বিক্রি হয় না। নতুন বাজার তৈরি করতে কমপক্ষে ১৫ বছর সময় লাগে। সৌদি আরবের বাজারেও আমরা প্রবেশ করতে পারিনি। তাই আমাদের অবশ্যই প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বাড়াতে হবে।’
২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময় মূল্য ও পরিমাণ— দুই দিক থেকেই বাংলাদেশ মার্কিন পোশাক বাজারে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ বিশ্বের মোট ৩৮.১৬ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬.৭৪ শতাংশ বেশি। আমদানিকৃত পণ্যের সংখ্যা বেড়েছে ৪.২৬ শতাংশ এবং প্রতি পিসের গড় মূল্য বেড়েছে ২.৩৭ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ৪.২৫ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ২৫.১২ শতাংশ বেশি। ২০২৫ সালের মে মাসে রপ্তানি ছিল ৫৪৭.৪২ মিলিয়ন ডলার, যা জুনে বেড়ে ৭২৩.০৮ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়; মাসিক প্রবৃদ্ধি ৩২.০৯ শতাংশ।
প্রধান রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে চীনের রপ্তানি কমেছে ১৬.০৭ শতাংশ, অন্যদিকে ভারত বেড়েছে ১৬.২৬ শতাংশ, পাকিস্তান ১১.২১ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ১৭.৯৫ শতাংশ, কম্বোডিয়া ২৪.২৮ শতাংশ এবং ভিয়েতনাম ১৭.৯৬ শতাংশ।
পরিমাণের দিক থেকে বাংলাদেশ ২৩.৮১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। কম্বোডিয়ার প্রবৃদ্ধি ৩১.১১ শতাংশ, ভিয়েতনামের ১৩.৮২ শতাংশ, ভারতের ১৫.৯২ শতাংশ এবং পাকিস্তানের ১৫.৭৬ শতাংশ। চীনের পরিমাণগত রপ্তানি কমেছে ১২.৭৮ শতাংশ।
প্রতি পিসের গড় মূল্য বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ১.০৬ শতাংশ বেড়েছে, ভিয়েতনাম ৩.৬৪ শতাংশ এবং ভারত ০.২৯ শতাংশ। তবে চীনের গড় মূল্য কমেছে ৩.৭৭ শতাংশ এবং কম্বোডিয়ার ৫.২১ শতাংশ।
৩১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের ৯০টিরও বেশি দেশের ওপর নতুন শুল্কহার ঘোষণা করেছেন। সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। যদিও চীনের ওপর কয়েক দফায় শুল্ক বাড়ানো ও কমানো হয়েছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিনিধি দলের মধ্যে শুল্ক কমানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে, যা ১২ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। চীন বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘ভারত-চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির ফলে আমাদের কিছু সুবিধা আসবে। তবে বৈশ্বিক বাজারে টিকে থাকতে আমাদের অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে। এতে আমরা আরও অর্ডার পেতে সক্ষম হব।’
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া ট্রাউজার ও শার্ট জাতীয় পোশাক তৈরির প্রয়োজনীয় ওভেন কাপড়ের প্রায় ৭০ শতাংশই চীন থেকে আমদানি করা হয়। অন্যদিকে নিটওয়্যার খাত তুলনামূলক কম চীন নির্ভর, কারণ স্থানীয় সুতা উৎপাদনকারীরা প্রায় ৯০ শতাংশ কাঁচামাল সরবরাহ করে। বাংলাদেশের প্রধান পোশাক রপ্তানি বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে মূলত ওভেন পোশাক বেশি রপ্তানি হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ও চীনের পোশাক রপ্তানিতে বড় শুল্ক আরোপ করেছে। এর ফলে এই দুই দেশ বিকল্প বাজার খুঁজতে ইউরোপ ও অন্যান্য দেশে ঝুঁকছে। এ কারণে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির উপর চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয়েছে। তবে গেল দুই বছরে বাংলাদেশ বৈশ্বিক বাজারে পোশাক রপ্তানিতে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় পোশাক পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, যা দেশের রপ্তানি সম্ভাবনার ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ৩১ জুলাই ভারতীয় পোশাক রপ্তানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের এই উচ্চ শুল্ক আরোপের কারণে বাংলাদেশের জন্য নতুন রপ্তানি সুযোগ তৈরি হওয়া সত্ত্বেও চ্যালেঞ্জও রয়েছে।
ভারতের বাণিজ্য তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২০ সালে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি করে ৩.০২ বিলিয়ন ডলার, ২০২১ সালে ৪.২০ বিলিয়ন, ২০২২ সালে ৫.৬৯ বিলিয়ন, ২০২৩ সালে ৪.৪৭ বিলিয়ন এবং ২০২৪ সালে ৪.৭০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেছে। এই পাঁচ বছরে ভারতের যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে ৫৫.৩৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে হঠাৎ ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ রপ্তানি কার্যক্রমে বড় ধাক্কা দিতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
পোশাক রপ্তানিকারকরা বলেন, এই পরিস্থিতিতে ভারতের রপ্তানিকারকরা মার্কিন বাজারে তাদের অবস্থান হারাতে পারেন, যা বাংলাদেশ, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার জন্য সুযোগ হয়ে দাঁড়াবে। এই দেশগুলো তুলনামূলকভাবে কম শুল্ক ও প্রতিযোগিতামূলক মূল্য দিয়ে মার্কিন বাজারে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে পারবে।
ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন (ডব্লিউটিও) অনুযায়ী, বাংলাদেশ ২০২৩-২৪ সালে পোশাক রপ্তানি বাজারে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছে। এ সময়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ৩৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। অন্যদিকে ভিয়েতনাম ও ভারতের রপ্তানি বেড়েছে। তবে তুরস্কের রপ্তানি কমেছে, তারা ১৯ বিলিয়ন থেকে ১৮ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। ডব্লিউটিওর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ টানা দুই বছর ধরে ৩৮ বিলিয়ন ডলারের ঘরে রপ্তানি ধরে রেখেছে। গত বছর রপ্তানি হয়েছে ৩৮.৪৮ বিলিয়ন ডলার, যা মাত্র ০.২১ শতাংশ বৃদ্ধি। তবে বাংলাদেশের বিশ্ব বাজারে অংশীদারিত্ব সামান্য কমে ৭.৩৮ শতাংশ থেকে ৬.৯০ শতাংশে নেমেছে। তবুও পোশাক খাত সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, চলতি বছরও বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক অবস্থান ধরে রাখতে পারবে।
বিশ্বের বৃহত্তম পোশাক আমদানিকারক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক কাঠামোর এই পরিবর্তন বৈশ্বিক পোশাক সরবরাহ চেইনে প্রভাব ফেলবে। এখন দেখার বিষয়, কোন দেশ কতটা দ্রুত কৌশলগতভাবে নতুন বাজার ধরতে সক্ষম হয়।
রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড)-এর চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ভারতের ওপর শুল্ক বাড়ায় আমরা কিছুটা সুবিধা পাবো। এতে আমাদের প্রতিযোগিতামূলক ক্ষমতা ও সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় সব দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে, তাই আমেরিকার বাজার ছোট হবে।’
তিনি বলেন, ‘তারা অন্য বাজার খুঁজবে, যেখানে আমাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা বাড়বে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের বড় বাজার, সেখানে দাম কমতে পারে, যা আমাদের জন্য চিন্তার বিষয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আমরা যে পরিমাণ পণ্য বিক্রি করি, অন্য বাজারে তা বিক্রি হয় না। নতুন বাজার তৈরি করতে কমপক্ষে ১৫ বছর সময় লাগে। সৌদি আরবের বাজারেও আমরা প্রবেশ করতে পারিনি। তাই আমাদের অবশ্যই প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বাড়াতে হবে।’
২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময় মূল্য ও পরিমাণ— দুই দিক থেকেই বাংলাদেশ মার্কিন পোশাক বাজারে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ বিশ্বের মোট ৩৮.১৬ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬.৭৪ শতাংশ বেশি। আমদানিকৃত পণ্যের সংখ্যা বেড়েছে ৪.২৬ শতাংশ এবং প্রতি পিসের গড় মূল্য বেড়েছে ২.৩৭ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ৪.২৫ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ২৫.১২ শতাংশ বেশি। ২০২৫ সালের মে মাসে রপ্তানি ছিল ৫৪৭.৪২ মিলিয়ন ডলার, যা জুনে বেড়ে ৭২৩.০৮ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়; মাসিক প্রবৃদ্ধি ৩২.০৯ শতাংশ।
প্রধান রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে চীনের রপ্তানি কমেছে ১৬.০৭ শতাংশ, অন্যদিকে ভারত বেড়েছে ১৬.২৬ শতাংশ, পাকিস্তান ১১.২১ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ১৭.৯৫ শতাংশ, কম্বোডিয়া ২৪.২৮ শতাংশ এবং ভিয়েতনাম ১৭.৯৬ শতাংশ।
পরিমাণের দিক থেকে বাংলাদেশ ২৩.৮১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। কম্বোডিয়ার প্রবৃদ্ধি ৩১.১১ শতাংশ, ভিয়েতনামের ১৩.৮২ শতাংশ, ভারতের ১৫.৯২ শতাংশ এবং পাকিস্তানের ১৫.৭৬ শতাংশ। চীনের পরিমাণগত রপ্তানি কমেছে ১২.৭৮ শতাংশ।
প্রতি পিসের গড় মূল্য বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ১.০৬ শতাংশ বেড়েছে, ভিয়েতনাম ৩.৬৪ শতাংশ এবং ভারত ০.২৯ শতাংশ। তবে চীনের গড় মূল্য কমেছে ৩.৭৭ শতাংশ এবং কম্বোডিয়ার ৫.২১ শতাংশ।
৩১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের ৯০টিরও বেশি দেশের ওপর নতুন শুল্কহার ঘোষণা করেছেন। সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। যদিও চীনের ওপর কয়েক দফায় শুল্ক বাড়ানো ও কমানো হয়েছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিনিধি দলের মধ্যে শুল্ক কমানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে, যা ১২ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। চীন বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘ভারত-চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির ফলে আমাদের কিছু সুবিধা আসবে। তবে বৈশ্বিক বাজারে টিকে থাকতে আমাদের অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে। এতে আমরা আরও অর্ডার পেতে সক্ষম হব।’
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া ট্রাউজার ও শার্ট জাতীয় পোশাক তৈরির প্রয়োজনীয় ওভেন কাপড়ের প্রায় ৭০ শতাংশই চীন থেকে আমদানি করা হয়। অন্যদিকে নিটওয়্যার খাত তুলনামূলক কম চীন নির্ভর, কারণ স্থানীয় সুতা উৎপাদনকারীরা প্রায় ৯০ শতাংশ কাঁচামাল সরবরাহ করে। বাংলাদেশের প্রধান পোশাক রপ্তানি বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে মূলত ওভেন পোশাক বেশি রপ্তানি হয়।