আমার শহর ডেস্ক

বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যেও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা নতুন বাণিজ্য করিডোর অনুসন্ধান করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক কাঠামো পরিবর্তনের পর নতুন পরিস্থিতিতে ব্যবসা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ ব্যবসায়ী ইউরোপকে তাদের শীর্ষ গন্তব্য মনে করছেন। এর পরে রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, যে ক্ষেত্রে আগ্রহী ব্যবসায়ীর হার ৩৬ শতাংশ। এরপর রয়েছে উত্তর আমেরিকা এবং পূর্ব ও উত্তর এশিয়া। এই দুটি গন্তব্যের ক্ষেত্রে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চান ৩২ শতাংশ।
সম্প্রতি প্রকাশিত এইচএসবিসির ‘গ্লোবাল ট্রেড পালস’ শিরোনামের জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গত ৬ থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত জরিপটি পরিচালনা করা হয়। এতে বিশ্বের ১৭টি দেশের ছয় হাজার ৭৫০টি কোম্পানির থেকে শুল্ক ও বাণিজ্যনীতি সংক্রান্ত ধারণা নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান ছিল ২৫০টি। এইচএসবিসি বাংলাদেশ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
জরিপে উঠে এসেছে, শুধু বাংলাদেশ নয়, সামগ্রিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার ব্যবসাগুলো ইউরোপকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে, যার হার ৫৫ শতাংশ। যেসব অঞ্চলে নির্ভরতা কমাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে উত্তর আমেরিকা (২২%) ও দক্ষিণ আমেরিকা (১৬%) উল্লেখযোগ্য।
এইচএসবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে অনেক ব্যবসা প্রতিকূল অবস্থায় কাটিয়েছে। তবে অনেক প্রতিষ্ঠান এখন গতিময়তা ফিরে পেয়েছে এবং বাণিজ্য ও শুল্কনীতি তাদের কাছে স্পষ্ট হতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশের ৮৮ শতাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, তারা বাণিজ্যবিধির পরিবর্তন সম্পর্কে অবগত, যা বৈশ্বিক গড় ৮৫ শতাংশের চেয়ে সামান্য বেশি। তবে ছয় মাস আগের তুলনায় (৯০%) সামান্য কম। এসব ব্যবসা ইতোমধ্যেই প্রস্তুত অথবা সক্রিয়ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এখন পর্যন্ত শুল্ক ও বাণিজ্যজনিত অনিশ্চয়তার ইতিবাচক প্রভাব হিসেবে আয় বেড়েছে বলে জানিয়েছে ৫৮ শতাংশ দেশীয় ব্যবসা, যেখানে বৈশ্বিক গড় ৪৭ শতাংশ। ৬২ শতাংশ মনে করেছেন, আগামী ছয় মাসে এবং ৬৪ শতাংশ মনে করছেন, আগামী দুই বছরে তাদের আয় বাড়বে।
প্রতিবেদনে বলা হয়,আগামী দুই বছরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে ৫০ শতাংশ বাংলাদেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যা বৈশ্বিক গড় ৪১ শতাংশের চেয়ে বেশি। বাণিজ্যে প্রতিকূলতা মোকাবিলার জন্য বিকেন্দ্রীকরণ এখন একটি কেন্দ্রীয় কৌশল। বাংলাদেশের ৪৮ শতাংশ ব্যবসা সাপ্লাইয়ারদের ক্ষেত্রে এ পন্থা অবলম্বন করছে, ৪৮ শতাংশ ব্যবসা আঞ্চলিকীকরণে ঝুঁকছে এবং ৪৬ শতাংশ তাদের মজুত বাড়াচ্ছে। সব ক্ষেত্রে বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে বেশি।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী পরিবহন ও শিল্প খাতে ৪৫ শতাংশ বাংলাদেশি ব্যবসা জার্মানিতে বিক্রি বাড়াচ্ছে। বাংলাদেশের সব ব্যবসার ক্ষেত্রে যার গড় ৩৮ শতাংশ। প্রযুক্তি, মিডিয়া ও টেলিকম খাতে ৪১ শতাংশ বাংলাদেশি ব্যবসা যুক্তরাজ্যে বিক্রি বাড়াচ্ছে। বিজনেস টু কনজিউমার (বি২বি) ব্যবসাগুলোর ৪০ শতাংশ ফ্রান্সে বিক্রি বাড়াচ্ছে।
এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী মো. মাহবুব উর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যবসাগুলো খুব দ্রুত বৈশ্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। তাদের দৃঢ়তা ও আশাবাদ চোখে পড়ার মতো। ’

বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যেও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা নতুন বাণিজ্য করিডোর অনুসন্ধান করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক কাঠামো পরিবর্তনের পর নতুন পরিস্থিতিতে ব্যবসা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ ব্যবসায়ী ইউরোপকে তাদের শীর্ষ গন্তব্য মনে করছেন। এর পরে রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, যে ক্ষেত্রে আগ্রহী ব্যবসায়ীর হার ৩৬ শতাংশ। এরপর রয়েছে উত্তর আমেরিকা এবং পূর্ব ও উত্তর এশিয়া। এই দুটি গন্তব্যের ক্ষেত্রে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চান ৩২ শতাংশ।
সম্প্রতি প্রকাশিত এইচএসবিসির ‘গ্লোবাল ট্রেড পালস’ শিরোনামের জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গত ৬ থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত জরিপটি পরিচালনা করা হয়। এতে বিশ্বের ১৭টি দেশের ছয় হাজার ৭৫০টি কোম্পানির থেকে শুল্ক ও বাণিজ্যনীতি সংক্রান্ত ধারণা নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান ছিল ২৫০টি। এইচএসবিসি বাংলাদেশ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
জরিপে উঠে এসেছে, শুধু বাংলাদেশ নয়, সামগ্রিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার ব্যবসাগুলো ইউরোপকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে, যার হার ৫৫ শতাংশ। যেসব অঞ্চলে নির্ভরতা কমাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে উত্তর আমেরিকা (২২%) ও দক্ষিণ আমেরিকা (১৬%) উল্লেখযোগ্য।
এইচএসবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে অনেক ব্যবসা প্রতিকূল অবস্থায় কাটিয়েছে। তবে অনেক প্রতিষ্ঠান এখন গতিময়তা ফিরে পেয়েছে এবং বাণিজ্য ও শুল্কনীতি তাদের কাছে স্পষ্ট হতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশের ৮৮ শতাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, তারা বাণিজ্যবিধির পরিবর্তন সম্পর্কে অবগত, যা বৈশ্বিক গড় ৮৫ শতাংশের চেয়ে সামান্য বেশি। তবে ছয় মাস আগের তুলনায় (৯০%) সামান্য কম। এসব ব্যবসা ইতোমধ্যেই প্রস্তুত অথবা সক্রিয়ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এখন পর্যন্ত শুল্ক ও বাণিজ্যজনিত অনিশ্চয়তার ইতিবাচক প্রভাব হিসেবে আয় বেড়েছে বলে জানিয়েছে ৫৮ শতাংশ দেশীয় ব্যবসা, যেখানে বৈশ্বিক গড় ৪৭ শতাংশ। ৬২ শতাংশ মনে করেছেন, আগামী ছয় মাসে এবং ৬৪ শতাংশ মনে করছেন, আগামী দুই বছরে তাদের আয় বাড়বে।
প্রতিবেদনে বলা হয়,আগামী দুই বছরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে ৫০ শতাংশ বাংলাদেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যা বৈশ্বিক গড় ৪১ শতাংশের চেয়ে বেশি। বাণিজ্যে প্রতিকূলতা মোকাবিলার জন্য বিকেন্দ্রীকরণ এখন একটি কেন্দ্রীয় কৌশল। বাংলাদেশের ৪৮ শতাংশ ব্যবসা সাপ্লাইয়ারদের ক্ষেত্রে এ পন্থা অবলম্বন করছে, ৪৮ শতাংশ ব্যবসা আঞ্চলিকীকরণে ঝুঁকছে এবং ৪৬ শতাংশ তাদের মজুত বাড়াচ্ছে। সব ক্ষেত্রে বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে বেশি।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী পরিবহন ও শিল্প খাতে ৪৫ শতাংশ বাংলাদেশি ব্যবসা জার্মানিতে বিক্রি বাড়াচ্ছে। বাংলাদেশের সব ব্যবসার ক্ষেত্রে যার গড় ৩৮ শতাংশ। প্রযুক্তি, মিডিয়া ও টেলিকম খাতে ৪১ শতাংশ বাংলাদেশি ব্যবসা যুক্তরাজ্যে বিক্রি বাড়াচ্ছে। বিজনেস টু কনজিউমার (বি২বি) ব্যবসাগুলোর ৪০ শতাংশ ফ্রান্সে বিক্রি বাড়াচ্ছে।
এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী মো. মাহবুব উর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যবসাগুলো খুব দ্রুত বৈশ্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। তাদের দৃঢ়তা ও আশাবাদ চোখে পড়ার মতো। ’