এবার বিশ্ববাজারে বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম

আমার শহর ডেস্ক
Thumbnail image

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ সরকারি শাটডাউন শিগগিরই শেষ হওয়ার সম্ভাবনায় বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় জ্বালানি তেল ভোক্তা দেশ যুক্তরাষ্ট্রে চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা বিনিয়োগকারীদের আশাবাদী করেছে। তবে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ বৃদ্ধির উদ্বেগ এখনো বিদ্যমান। এদিন ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৪৫ সেন্ট বা ০ দশমিক ৭১ শতাংশ বেড়ে ৬৪ দশমিক ০৮ ডলার হয়েছে। অপরদিকে, ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দাম ৪৮ সেন্ট বা ০ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ৬০ দশমিক ২৩ ডলার হয়েছে।

গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট সরকারি কার্যক্রম পুনরায় চালুর প্রস্তাবে ভোটের প্রস্তুতি নেয়। এতে ৪০ দিনের দীর্ঘ শাটডাউন শেষ হওয়ার আশা করা হচ্ছে। আইজি মার্কেট বিশ্লেষক টনি সাইকামোর বলেন, সরকারি কার্যক্রম পুনরায় চালু হলে ৮ লাখ কর্মচারী বেতন পাবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি শুরু হবে। এতে ভোক্তা আস্থা ও ব্যয় বাড়বে, যা জ্বালানি তেলের চাহিদা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও জানান, এতে বাজারে ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা বাড়বে এবং ডব্লিউটিআই জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬২ ডলারের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে।

গত সপ্তাহে ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআই উভয়ের দাম প্রায় ২ শতাংশ কমেছিল, যা টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের পতন। বিশ্লেষকরা অতিরিক্ত সরবরাহের আশঙ্কাকে এর মূল কারণ হিসেবে দেখছেন। ওপেক প্লাস দেশগুলো ডিসেম্বরে সামান্য উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে প্রথম প্রান্তিকে নতুন কোনো বৃদ্ধি না করার পরিকল্পনা নিয়েছে, যাতে সরবরাহ অতিরিক্ত না হয়। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি তেল মজুত বেড়েছে।

এশিয়ার সংরক্ষিত জ্বালানি তেলের পরিমাণও দ্বিগুণ হয়েছে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে চীন ও ভারতের আমদানি কমেছে, যা চাহিদার চাপ সৃষ্টি করছে। ভারতীয় রিফাইনারিগুলো রাশিয়ার তেলের বদলে এখন মধ্যপ্রাচ্য ও আমেরিকা থেকে তেল আমদানি বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে, রাশিয়ার লুকওইল কোম্পানি নতুন সমস্যার মুখে পড়েছে। কারণ ২১ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা শেষ হচ্ছে এবং বিক্রির পরিকল্পনা ব্যাহত হয়েছে। এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হাঙ্গেরিকে এক বছরের জন্য রাশিয়ার তেল আমদানিতে ছাড় দিয়েছেন। এতে বাজারে অতিরিক্ত সরবরাহের আশঙ্কা আরও বেড়েছে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সম্পর্কিত