গাজীউল হক সোহাগ
‘নারীদের নিরাপদ প্রবাস চাই, এসো এসো হংকং এ যাই’ এই শ্লোগান নিয়ে কুমিল্লার কোটবাড়িতে অবস্থিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ( টিটিসি) হংকং হাউজ কিপিং অ্যান্ড ক্যালটোনিজ ল্যাংগুয়েজ ট্রেনিং প্রকল্প থেকে এ পর্যন্ত ৪৪৫ আদিবাসী মেয়ে চাকরি পেয়েছেন। শুরুতে ৪৬ হাজার ৩০০ টাকা বেতন পেলেও এখন তাঁরা জনপ্রতি ৭৮ হাজার টাকা করে বেতন পাচ্ছেন। হংকংয়ে নিরাপদে মহিলা গৃহকর্মীর কাজ করছেন তাঁরা। টিটিসি থেকে তিনমাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে তাঁরা চাকরির শতভাগ সুযোগ পাচ্ছেন। এতে করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে বাংলাদেশের পাহাড়ি জনপদের নারীরা। গত এক দশক ধরে বিভিন্ন ব্যাচে আদিবাসী মেয়েরা এই কাজে যাচ্ছেন।
ভর্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা: হংকং হাউজ কিপিং অ্যান্ড ক্যালটোনিজ ল্যাংগুয়েজ ট্রেনিং এ ভর্তি হতে হলে সর্বনিম্ন এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। বয়স ২০- ৩৫ বছরের মধ্যে থাকতে হবে। ভর্তিচ্ছুদের পাসপোর্ট থাকতে হবে। ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা। তিনমাসের প্রশিক্ষণে থাকা খাওয়া ফ্রি। প্রশিক্ষণ শেষে হংকং যেতে লাগবে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা।
যেভাবে প্রকল্পের শুরু: ২০০৭ সালে হংকং হাউজ কিপিং অ্যান্ড ক্যালটোনিজ ল্যাগুয়েজ ট্রেনিং প্রকল্পের চুক্তি হয় হংকং ও বাংলাদেশের মধ্যে। ২০১০ সালে প্রকল্পটি শুরু হয়। ২০১৩ সালে প্রশিক্ষণ শুরু হয় বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে। ২০১৪ সালে শুরু হয় কুমিল্লা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। শুরুতে ১০৪ জন মেয়ে এখানে ভর্তি হয়। এর মধ্যে তিনজন ছিলেন আদিবাসী মেয়ে। এক পর্যায়ে বাঙালি- মুসলিম ও হিন্দু মেয়েরা প্রশিক্ষণ নিয়ে সেখানে যান। কিন্তু এদের কেউ কেউ হংকং গিয়ে চুক্তিনামা লঙ্ঘন করে অন্যত্র চলে যান। পরবর্তীতে এই প্রকল্পের অধীনে চাকরি করা লোকজন খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে জব ফেয়ারে যান। এরপর থেকে কুমিল্লা টিটিসির হংকং ট্রেনিং এ ভর্তি কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে যায়। প্রথমে মারমা আদিবাসীরা এখানে এসে ভর্তি হন। পরবর্তীতে চাকমা, ত্রিপুরাসহ পাহাড়ি বিভিন্ন গোত্র-গোষ্ঠীর মেয়েরা আসতে শুরু করেন। প্রশিক্ষণে তাঁদের প্রথমে ভাষা শেখানো হয় শ্রেণিকক্ষে । এখানে বাংলা ভার্সনে হংকং ল্যাংগুয়েজ শেখানো হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বাথরুম পরিষ্কার, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, জামা ইস্ত্রি করা, চাইনিজ খাবার তৈরি, পরিবারের বড়দের সেবা করার কৌশল, বিছানা প্রস্তুত রাখা, ঘরদুয়ার মোছা, হুইলচেয়ারে বসা রোগীদের সেবাযত্ন ইত্যাদি বিষয়ে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সকালের নাস্তা তৈরি করাও শেখানো হয়। বৃদ্ধ ব্যক্তিকে কীভাবে দেখবেন, তার প্রশিক্ষণও দেয়া হয়। এছাড়া কুকুর, বিড়াল, খরখোশসহ বিভিন্ন ধরনের পোষা প্রাণীর যত্নআত্তির কৌশলও শেখানো হয়। প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
টিটিসির প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে একদিন: গত বৃহস্পতিবার ( ২৪ এপ্রিল) ভরদুপুরে কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের লাগোয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রবেশ করি। এরপর অধ্যক্ষ প্রকৌশলী কামরুজ্জামানের অনুমতি নিয়ে মূলভবনের তৃতীয়তলায় প্রবেশ করে। প্রবেশপথ ঝকঝকে তকতকে। শুরুতেই জুতা রাখার তাক। এরপর খালি পায়ে প্রবেশ করলেই বাম পাশে শ্রেণিকক্ষ। সেখানে এক রকমের টিশার্ট পরা আদিবাসী মেয়েরা ক্লাস করছেন। ক্লাসে তাঁদের ভাষা শেখাচ্ছেন সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর সৈয়দা তালেয়া জেব জেনী। শ্রেণিকক্ষ থেকে উত্তর দিকে কিছুদূর এসেই চোখে পড়ল দেয়ালে লাগানো বিভিন্ন রকমের সবজির চাইনিজ নাম। এরপাশেই গুছানো বিছানা, কম্পিউটার টেবিল, হুইল চেয়ার। রান্নাঘর ও অফিস কক্ষ। পূর্বপাশের করিডোরে হাইকমোড। নিরিবিলি পরিবেশ। ওই ভবন থেকে নিচে তাকালেই চোখে পড়ে আদিবাসী ছাত্রীদের থাকার হোস্টেল। ওই হোস্টেলে ছাত্রীরা থাকেন। ভোর সাড়ে পাঁচটায় তাঁরা ঘুম থেকে ওঠেন। সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ক্লাস হয়ে থাকে। সন্ধ্যা সাতটায় হোস্টেলে খাবার খায় ওরা। রাত ১০ টায় ওরা ঘুমিয়ে পড়ে।
হংকং হাউজ কিপিং অ্যান্ড ক্যালটোনিজ ল্যাংগুয়েজ ট্রেনিং এর জনবল কাঠামো: প্রতি তিনমাসে ৩০ জন এখানে ভর্তি হয়ে থাকেন। আরও ১০ জন বাড়তি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এখানে পাঁচজন কর্মকর্তা আছেন। এর মধ্যে সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর সৈয়দা তালেয়া জেব জেনী, ইন্সট্রাক্টর এরশাদ হোসেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা বিউটি চাকমা ( তিনিও হংকং গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তাঁর বাড়ি খাগড়াছড়ি। ২০২২ সাল থেকে এখানে কর্মরত আছেন), হোস্টেলের দায়িত্বে আছেন জ্যোতিকা চাকমা ও কেয়ারটেকার আইনুল চৌধুরী। এদের মধ্যে সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর সৈয়দা তালেয়া জেব জেনী হংকং গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। হংকং এজেন্সী এখানকার সবার বেতনভাতা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ২০১৪ সাল থেকে আমি এই প্রশিক্ষণ কোর্সে সঙ্গে জড়িত। এটি হংকং- বাংলাদেশ যৌথভাবে পরিচালনা করছে। বাংলাদেশ এজেন্সীর মাধ্যমে। এই কোর্সে পাসপোর্ট ছাড়া ভর্তি হতে পারবে না। বয়স সর্বনিম্ন ২০ বছর হতে হবে। প্রশিক্ষণ শেষে শতভাগ চাকরির নিশ্চয়তা। হংকং এ এই ধরনের কাজ করেন ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ভারত ও নেপালের মেয়েরা। বর্তমানে ৬০ জনের মতো প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। হংকংয়ে যিনি যাঁর বাসায় গৃহকর্মী নেবেন তাঁর সঙ্গে সেখানকার লোকের কথা হয়, আমাদের মাধ্যমে। এরপর পছন্দ হলেই মেলে চাকরি।
সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর সৈয়দা তালেয়া জেব জেনী বলেন,‘ আমরা চাই পাহাড়ি মেয়েদের পাশাপাশি সমতলের মেয়েরাও এগিয়ে আসুক। হংকংয়ে মেয়েদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা আছে। সেখানে কোন গৃহকর্তা ঝামেলা করলে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে হাজির হয়ে যায়। এই প্রকল্পের চুক্তিনামায় বলা আছে, বাংলাদেশ দেবে প্রশিক্ষণার্থীদের থাকা খাওয়া। হংকং দেবে প্রশিক্ষণ।’
কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন,‘ এই প্রকল্প নারীদের কর্মক্ষেত্রে উজ্জীবিত করছে। এখানকার প্রশিক্ষনার্থীরা বিদেশে ভালো করছেন। প্রকল্পটি খুবই সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে।’
‘নারীদের নিরাপদ প্রবাস চাই, এসো এসো হংকং এ যাই’ এই শ্লোগান নিয়ে কুমিল্লার কোটবাড়িতে অবস্থিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ( টিটিসি) হংকং হাউজ কিপিং অ্যান্ড ক্যালটোনিজ ল্যাংগুয়েজ ট্রেনিং প্রকল্প থেকে এ পর্যন্ত ৪৪৫ আদিবাসী মেয়ে চাকরি পেয়েছেন। শুরুতে ৪৬ হাজার ৩০০ টাকা বেতন পেলেও এখন তাঁরা জনপ্রতি ৭৮ হাজার টাকা করে বেতন পাচ্ছেন। হংকংয়ে নিরাপদে মহিলা গৃহকর্মীর কাজ করছেন তাঁরা। টিটিসি থেকে তিনমাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে তাঁরা চাকরির শতভাগ সুযোগ পাচ্ছেন। এতে করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে বাংলাদেশের পাহাড়ি জনপদের নারীরা। গত এক দশক ধরে বিভিন্ন ব্যাচে আদিবাসী মেয়েরা এই কাজে যাচ্ছেন।
ভর্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা: হংকং হাউজ কিপিং অ্যান্ড ক্যালটোনিজ ল্যাংগুয়েজ ট্রেনিং এ ভর্তি হতে হলে সর্বনিম্ন এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। বয়স ২০- ৩৫ বছরের মধ্যে থাকতে হবে। ভর্তিচ্ছুদের পাসপোর্ট থাকতে হবে। ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা। তিনমাসের প্রশিক্ষণে থাকা খাওয়া ফ্রি। প্রশিক্ষণ শেষে হংকং যেতে লাগবে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা।
যেভাবে প্রকল্পের শুরু: ২০০৭ সালে হংকং হাউজ কিপিং অ্যান্ড ক্যালটোনিজ ল্যাগুয়েজ ট্রেনিং প্রকল্পের চুক্তি হয় হংকং ও বাংলাদেশের মধ্যে। ২০১০ সালে প্রকল্পটি শুরু হয়। ২০১৩ সালে প্রশিক্ষণ শুরু হয় বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে। ২০১৪ সালে শুরু হয় কুমিল্লা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। শুরুতে ১০৪ জন মেয়ে এখানে ভর্তি হয়। এর মধ্যে তিনজন ছিলেন আদিবাসী মেয়ে। এক পর্যায়ে বাঙালি- মুসলিম ও হিন্দু মেয়েরা প্রশিক্ষণ নিয়ে সেখানে যান। কিন্তু এদের কেউ কেউ হংকং গিয়ে চুক্তিনামা লঙ্ঘন করে অন্যত্র চলে যান। পরবর্তীতে এই প্রকল্পের অধীনে চাকরি করা লোকজন খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে জব ফেয়ারে যান। এরপর থেকে কুমিল্লা টিটিসির হংকং ট্রেনিং এ ভর্তি কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে যায়। প্রথমে মারমা আদিবাসীরা এখানে এসে ভর্তি হন। পরবর্তীতে চাকমা, ত্রিপুরাসহ পাহাড়ি বিভিন্ন গোত্র-গোষ্ঠীর মেয়েরা আসতে শুরু করেন। প্রশিক্ষণে তাঁদের প্রথমে ভাষা শেখানো হয় শ্রেণিকক্ষে । এখানে বাংলা ভার্সনে হংকং ল্যাংগুয়েজ শেখানো হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বাথরুম পরিষ্কার, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, জামা ইস্ত্রি করা, চাইনিজ খাবার তৈরি, পরিবারের বড়দের সেবা করার কৌশল, বিছানা প্রস্তুত রাখা, ঘরদুয়ার মোছা, হুইলচেয়ারে বসা রোগীদের সেবাযত্ন ইত্যাদি বিষয়ে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সকালের নাস্তা তৈরি করাও শেখানো হয়। বৃদ্ধ ব্যক্তিকে কীভাবে দেখবেন, তার প্রশিক্ষণও দেয়া হয়। এছাড়া কুকুর, বিড়াল, খরখোশসহ বিভিন্ন ধরনের পোষা প্রাণীর যত্নআত্তির কৌশলও শেখানো হয়। প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
টিটিসির প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে একদিন: গত বৃহস্পতিবার ( ২৪ এপ্রিল) ভরদুপুরে কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের লাগোয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রবেশ করি। এরপর অধ্যক্ষ প্রকৌশলী কামরুজ্জামানের অনুমতি নিয়ে মূলভবনের তৃতীয়তলায় প্রবেশ করে। প্রবেশপথ ঝকঝকে তকতকে। শুরুতেই জুতা রাখার তাক। এরপর খালি পায়ে প্রবেশ করলেই বাম পাশে শ্রেণিকক্ষ। সেখানে এক রকমের টিশার্ট পরা আদিবাসী মেয়েরা ক্লাস করছেন। ক্লাসে তাঁদের ভাষা শেখাচ্ছেন সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর সৈয়দা তালেয়া জেব জেনী। শ্রেণিকক্ষ থেকে উত্তর দিকে কিছুদূর এসেই চোখে পড়ল দেয়ালে লাগানো বিভিন্ন রকমের সবজির চাইনিজ নাম। এরপাশেই গুছানো বিছানা, কম্পিউটার টেবিল, হুইল চেয়ার। রান্নাঘর ও অফিস কক্ষ। পূর্বপাশের করিডোরে হাইকমোড। নিরিবিলি পরিবেশ। ওই ভবন থেকে নিচে তাকালেই চোখে পড়ে আদিবাসী ছাত্রীদের থাকার হোস্টেল। ওই হোস্টেলে ছাত্রীরা থাকেন। ভোর সাড়ে পাঁচটায় তাঁরা ঘুম থেকে ওঠেন। সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ক্লাস হয়ে থাকে। সন্ধ্যা সাতটায় হোস্টেলে খাবার খায় ওরা। রাত ১০ টায় ওরা ঘুমিয়ে পড়ে।
হংকং হাউজ কিপিং অ্যান্ড ক্যালটোনিজ ল্যাংগুয়েজ ট্রেনিং এর জনবল কাঠামো: প্রতি তিনমাসে ৩০ জন এখানে ভর্তি হয়ে থাকেন। আরও ১০ জন বাড়তি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এখানে পাঁচজন কর্মকর্তা আছেন। এর মধ্যে সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর সৈয়দা তালেয়া জেব জেনী, ইন্সট্রাক্টর এরশাদ হোসেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা বিউটি চাকমা ( তিনিও হংকং গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তাঁর বাড়ি খাগড়াছড়ি। ২০২২ সাল থেকে এখানে কর্মরত আছেন), হোস্টেলের দায়িত্বে আছেন জ্যোতিকা চাকমা ও কেয়ারটেকার আইনুল চৌধুরী। এদের মধ্যে সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর সৈয়দা তালেয়া জেব জেনী হংকং গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। হংকং এজেন্সী এখানকার সবার বেতনভাতা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ২০১৪ সাল থেকে আমি এই প্রশিক্ষণ কোর্সে সঙ্গে জড়িত। এটি হংকং- বাংলাদেশ যৌথভাবে পরিচালনা করছে। বাংলাদেশ এজেন্সীর মাধ্যমে। এই কোর্সে পাসপোর্ট ছাড়া ভর্তি হতে পারবে না। বয়স সর্বনিম্ন ২০ বছর হতে হবে। প্রশিক্ষণ শেষে শতভাগ চাকরির নিশ্চয়তা। হংকং এ এই ধরনের কাজ করেন ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ভারত ও নেপালের মেয়েরা। বর্তমানে ৬০ জনের মতো প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। হংকংয়ে যিনি যাঁর বাসায় গৃহকর্মী নেবেন তাঁর সঙ্গে সেখানকার লোকের কথা হয়, আমাদের মাধ্যমে। এরপর পছন্দ হলেই মেলে চাকরি।
সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর সৈয়দা তালেয়া জেব জেনী বলেন,‘ আমরা চাই পাহাড়ি মেয়েদের পাশাপাশি সমতলের মেয়েরাও এগিয়ে আসুক। হংকংয়ে মেয়েদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা আছে। সেখানে কোন গৃহকর্তা ঝামেলা করলে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে হাজির হয়ে যায়। এই প্রকল্পের চুক্তিনামায় বলা আছে, বাংলাদেশ দেবে প্রশিক্ষণার্থীদের থাকা খাওয়া। হংকং দেবে প্রশিক্ষণ।’
কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন,‘ এই প্রকল্প নারীদের কর্মক্ষেত্রে উজ্জীবিত করছে। এখানকার প্রশিক্ষনার্থীরা বিদেশে ভালো করছেন। প্রকল্পটি খুবই সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে।’