লালমাই প্রতিনিধি
কুমিল্লার লালমাই উপজেলার দত্তপুরে সায়মন হোসেন (১৪) নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টায় উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দত্তপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের পূর্ব পাশ থেকে তার মরদেহ করে পুলিশ।
সায়মন হোসেন উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দত্তপুর মধ্যমপাড়ার আবদুল মতিনের ছোট ছেলে। সে স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে সহকারী মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করত।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সায়মন হোসেন মঙ্গলবার তার মা বাবাসহ পরিবারের সাথে বাড়িতে ইফতার করেন। ইফতারের পর মাগরিবের নামাজ পড়ার কথা বলে সে মায়ের মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। রাত ৮টায় স্থানীয়রা দত্তপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামস্থ রেললাইনের পাশে সায়মনের মরদেহ দেখে পরিবার ও পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে তারাবির নামাজের পর লালমাই আর্মি ক্যাম্প, লালমাই থানা ও লাকসাম রেলওয়ে থানার তিনটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। সুরতহাল শেষে রাত পৌনে ১১টায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে রেলওয়ে থানা পুলিশ।
নিহতের বড় ভাই ফয়সাল বলেন, আমরা পাঁচ ভাই। সায়মন সবার ছোট। দুই ভাই প্রবাসে থাকে। আমি ও সায়মনসহ তিন ভাই আজ মা বাবার সাথে একসাথে ইফতার করেছি। ইফতারের পর মসজিদে গিয়ে মাগরিবের নামাজ পড়ার কথা বলে সায়মন আমার মায়ের মোবাইল নিয়ে বাড়ি বের হয়েছিল। রাত ৮টায় লোকমারফত জানতে পারি আমার ভাইয়ের লাশ রেললাইনের পাশে পড়ে আছে।
তিনি আরো বলেন, আমার ছোট ভাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ত। ওর কোন শত্রু নেই। তবে শিমুল, আসিফ, রাসেল, সাব্বিরসহ ওর কয়েকজন বন্ধু আছে।
দত্তপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম বলেন, শুনেছি মঙ্গলবার দিনে নোয়াগাঁও গ্রামে খেলার মাঠে কিছু ছেলের সাথে সায়মনের কথাকাটাকাটি হয়েছিল। ঘটনার কিছুক্ষণ আগেও সায়মনের সাথে দুজন ব্যক্তি ছিলেন। সায়মন তাদের সাথে রেললাইনের পাশে বসে কথা বলছিলেন। পুলিশের উচিত তদন্ত করে ওই দুই জন ব্যক্তির পরিচয় ও মৃত্যুর সঠিক কারণ বের করা।
লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরান হোসেন বলেন, নিহত কিশোরের মরদেহ মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টায় উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের বাবা আবদুল মতিন বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু করেছেন। সুরতহালের সময় সায়মনের ব্যবহৃত মোবাইল ও নগদ টাকাসহ মানিব্যাগ মরদেহের পাশেই পাওয়া গেছে। কিশোরের মাথা, মুখসহ বিভিন্ন স্থানে রক্তক্ষরণের চিহৃ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে চট্টগ্রামমুখী সুবর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে। তবে খুন হয়েছে কি-না, আমরা সেটা নিয়েও কাজ করব।
কুমিল্লার লালমাই উপজেলার দত্তপুরে সায়মন হোসেন (১৪) নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টায় উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দত্তপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের পূর্ব পাশ থেকে তার মরদেহ করে পুলিশ।
সায়মন হোসেন উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দত্তপুর মধ্যমপাড়ার আবদুল মতিনের ছোট ছেলে। সে স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে সহকারী মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করত।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সায়মন হোসেন মঙ্গলবার তার মা বাবাসহ পরিবারের সাথে বাড়িতে ইফতার করেন। ইফতারের পর মাগরিবের নামাজ পড়ার কথা বলে সে মায়ের মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। রাত ৮টায় স্থানীয়রা দত্তপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামস্থ রেললাইনের পাশে সায়মনের মরদেহ দেখে পরিবার ও পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে তারাবির নামাজের পর লালমাই আর্মি ক্যাম্প, লালমাই থানা ও লাকসাম রেলওয়ে থানার তিনটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। সুরতহাল শেষে রাত পৌনে ১১টায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে রেলওয়ে থানা পুলিশ।
নিহতের বড় ভাই ফয়সাল বলেন, আমরা পাঁচ ভাই। সায়মন সবার ছোট। দুই ভাই প্রবাসে থাকে। আমি ও সায়মনসহ তিন ভাই আজ মা বাবার সাথে একসাথে ইফতার করেছি। ইফতারের পর মসজিদে গিয়ে মাগরিবের নামাজ পড়ার কথা বলে সায়মন আমার মায়ের মোবাইল নিয়ে বাড়ি বের হয়েছিল। রাত ৮টায় লোকমারফত জানতে পারি আমার ভাইয়ের লাশ রেললাইনের পাশে পড়ে আছে।
তিনি আরো বলেন, আমার ছোট ভাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ত। ওর কোন শত্রু নেই। তবে শিমুল, আসিফ, রাসেল, সাব্বিরসহ ওর কয়েকজন বন্ধু আছে।
দত্তপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম বলেন, শুনেছি মঙ্গলবার দিনে নোয়াগাঁও গ্রামে খেলার মাঠে কিছু ছেলের সাথে সায়মনের কথাকাটাকাটি হয়েছিল। ঘটনার কিছুক্ষণ আগেও সায়মনের সাথে দুজন ব্যক্তি ছিলেন। সায়মন তাদের সাথে রেললাইনের পাশে বসে কথা বলছিলেন। পুলিশের উচিত তদন্ত করে ওই দুই জন ব্যক্তির পরিচয় ও মৃত্যুর সঠিক কারণ বের করা।
লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরান হোসেন বলেন, নিহত কিশোরের মরদেহ মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টায় উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের বাবা আবদুল মতিন বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু করেছেন। সুরতহালের সময় সায়মনের ব্যবহৃত মোবাইল ও নগদ টাকাসহ মানিব্যাগ মরদেহের পাশেই পাওয়া গেছে। কিশোরের মাথা, মুখসহ বিভিন্ন স্থানে রক্তক্ষরণের চিহৃ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে চট্টগ্রামমুখী সুবর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে। তবে খুন হয়েছে কি-না, আমরা সেটা নিয়েও কাজ করব।