গাজীউল হক সোহাগ
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের জনবল বাড়াতে গরজ নেই নগর ভবনের বর্তমান কর্মকর্তাদের। একেকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী সর্বনিম্ন দুইটি থেকে সর্বোচ্চ পাঁচটির মতো অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। এতে মিলছে বাড়তি ভাতা ও ক্ষমতা। তার ওপর অদক্ষ ও অযোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কারণে পিছিয়ে আছে কুমিল্লা। এতে করে নগরবাসী প্রত্যাশিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠাকালীন জনবল ছিল ১১৭ জন। বর্তমানে জনবল আছে ৬৮ জন। গত ১৪ বছরে একজন জনবলও বাড়েনি।
তবে নগর ভবনের অন্তত পাঁচজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জানিয়েছেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাংগঠনিক কাঠামোতে ২৪২ টি পদ সৃজনের সরকারি মঞ্জুরি (জিও) হয়েছে। কিন্তু এটা নিয়ে নগর ভবনের কোন কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার বিভাগে যোগাযোগ করছেন না। ফলে সেটি ওই অবস্থায় পড়ে আছে।
নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, ১৮৬৪ সালের ৩০ নভেম্বর কুমিল্লা পৌরসভা ও ২০০৩ সালের ৩০ জুলাই সদর দক্ষিণ পৌরসভা প্রতিষ্ঠা হয়। ২০১১ সালের ১০ জুলাই দুইটি পৌরসভা একীভূত করে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা হয়। তখন দুই পৌরসভার আয়তন, ওয়ার্ড ও জনবলও একত্র করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের আয়তন, ওয়ার্ড ও জনবল বাড়েনি। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে সবই হয়, লোকবল বাড়ানো হয় না ।
২০১১ সালের ১০ জুলাই কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে স্থায়ী জনবল ছিল ১১৭ জন। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে স্থায়ী জনবল ছিল ৮৩ জন। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ছিল ৭১ জন। চলতি বছরের মার্চ মাসে ওই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৮ জনে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সায়েম ভূঁঞা । তিনি বর্তমানে প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ১৫৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকার প্রকল্প পরিচালক ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। এর বাইরে প্রকল্পের কাজ দেখতে মাঠে যাওয়া, বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সভা করা, ঢাকায় সভাতে অংশ নিতেও যান।
আরেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈনউদ্দিন চিশতি নিজ দায়িত্বে অতিরিক্ত হিসেবে এস্টেট অফিসারের দায়িত্বও পালন করছেন। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তারা বর্তমানে সিটি করপোরেশনের ২৭ টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়িত্বও পালন করছেন।
কর্মকর্তাদের ভাষ্য, অর্গানোগ্রাম অনুমোদন হলে তাঁরা পদোন্নতি পেতেন। তখন তাঁদের সুযোগ সুবিধা বাড়তো। এখন তাঁরা সার্বক্ষণিক খাটছেন। সিটি করপোরেশনে সমস্যা বেড়েছে। নগরে লোক বেড়েছে। সমস্যাও বেড়েছে। কিন্তু কাজের মনিটরিং করা যাচ্ছে না।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক তিনজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,‘ কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১২ টা বাজিয়েছেন বর্তমানে ওএসডি হওয়া প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামছুল আলম ও সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল্লাহ। তাঁদের কারণে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন বিকশিত হতে পারেনি। তার ওপর কিছু সংখ্যক দুর্বল ও মেধাহীন জনপ্রতিনিধি কুমিল্লাকে ঘিঞ্জি নগরে পরিণত করেছেন। ’
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সায়েম ভূঁঞা বলেন,‘ রাতদিন পরিশ্রম করছি। লোক না বাড়লে করব কি? কাজ তো টেনেটুনে চালিয়ে যাচ্ছি। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের আপ্রাণ চেষ্টা করছি। কিছু অযোগ্য লোক সব প্রতিষ্ঠানেই কমবেশি থাকে।’
জানতে চাইলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক সাইফ উদ্দিন আহমেদ একান্ত সাক্ষাৎকারে আমার শহরকে বলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে সুশাসনের বড় অভাব ছিল। এখানকার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মানসিকতা গ্রো করেনি। সিটি করপোরেশন ভালো মাথা পায়নি। যে কারণে বিকশিত হয়নি। দেশের অন্যান্য সিটি করপোরেশন থেকে কুমিল্লা পিছিয়ে আছে। সিটি করপোরেশন মানে রাস্তা, নালা ও ফুটপাত করার পাশাপাশি নান্দনিক কিছু করা।
গত ১৪ বছরে কুমিল্লা গতানুগতিক কাজের বাইরে সেইভাবে কিছ্ ুকরতে পারেনি।’
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নিয়ে প্রায়ই সার্বক্ষণিক ভাবনায় থাকেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সাবেক সংসদ সদস্য ও নগরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনিরুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন,‘ কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বেশির ভাগ কর্মকর্তা ও কর্মচারী অদক্ষ, অসৎ ও অযোগ্য। ওই কারণে সিটি করপোরেশন বিকশিত হচ্ছে না। ’
উল্লেখ, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি নাগরিক সমাজের ব্যানারে ( বিএনপির) একবার ও ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে তৎকালীন বিএনপি নেতা মো. মনিরুল হক সাক্কু মেয়র হয়েছিলেন । টানা দুইবার তিনি মেয়র ছিলেন। ২০২২ সালের ১৫ জুন আওয়ামী লীগের আরফানুল হক রিফাত মেয়র হন। রিফাতের মৃত্যুর পর ২০২৪ সালের ৯ মার্চ উপনির্বাচনে একই দলের তাহসীন বাহার মেয়র হন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের পর এক নির্বাহী আদেশে সারাদেশের মতো কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণ করা হয়। বর্তমানে সরকারের অতিরিক্ত সচিব ও কোটবাড়িতে অবস্থিত বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) মহাপরিচালক সাইফ উদ্দিন আহমেদ প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সাবেক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বিএনপি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কৃত। তবে তিনি এলাকায় নিয়মিত তাঁর অনুসারি বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছেন্। দলীয় কর্মসূচি পালন করছেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন কেন বিকশিত হয়নি, জনবল কেন বাড়েনি এ প্রসঙ্গে সাবেক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন,‘ জনবল বাড়ার বিষয়টি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে। আমি বহুবার চেষ্টা করে , ঢাকায় লোক লাগিয়ে একটা পর্যায়ে এনেছিলাম। পরে তো আর আমি মেয়র আছলাম না। আমার সময়ে নগরের সৌন্দর্যবর্ধন, নালা পরিষ্কার, নতুন সড়ক করেছি। বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প নিয়েছি। আমি বিরোধী দলীয় মেয়র ছিলাম। সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। ’
সাবেক মেয়র তাহসীন বাহার বর্তমানে কলকাতায় আছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তাই জনবল বিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের জনবল বাড়াতে গরজ নেই নগর ভবনের বর্তমান কর্মকর্তাদের। একেকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী সর্বনিম্ন দুইটি থেকে সর্বোচ্চ পাঁচটির মতো অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। এতে মিলছে বাড়তি ভাতা ও ক্ষমতা। তার ওপর অদক্ষ ও অযোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কারণে পিছিয়ে আছে কুমিল্লা। এতে করে নগরবাসী প্রত্যাশিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠাকালীন জনবল ছিল ১১৭ জন। বর্তমানে জনবল আছে ৬৮ জন। গত ১৪ বছরে একজন জনবলও বাড়েনি।
তবে নগর ভবনের অন্তত পাঁচজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জানিয়েছেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাংগঠনিক কাঠামোতে ২৪২ টি পদ সৃজনের সরকারি মঞ্জুরি (জিও) হয়েছে। কিন্তু এটা নিয়ে নগর ভবনের কোন কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার বিভাগে যোগাযোগ করছেন না। ফলে সেটি ওই অবস্থায় পড়ে আছে।
নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, ১৮৬৪ সালের ৩০ নভেম্বর কুমিল্লা পৌরসভা ও ২০০৩ সালের ৩০ জুলাই সদর দক্ষিণ পৌরসভা প্রতিষ্ঠা হয়। ২০১১ সালের ১০ জুলাই দুইটি পৌরসভা একীভূত করে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা হয়। তখন দুই পৌরসভার আয়তন, ওয়ার্ড ও জনবলও একত্র করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের আয়তন, ওয়ার্ড ও জনবল বাড়েনি। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে সবই হয়, লোকবল বাড়ানো হয় না ।
২০১১ সালের ১০ জুলাই কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে স্থায়ী জনবল ছিল ১১৭ জন। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে স্থায়ী জনবল ছিল ৮৩ জন। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ছিল ৭১ জন। চলতি বছরের মার্চ মাসে ওই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৮ জনে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সায়েম ভূঁঞা । তিনি বর্তমানে প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ১৫৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকার প্রকল্প পরিচালক ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। এর বাইরে প্রকল্পের কাজ দেখতে মাঠে যাওয়া, বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সভা করা, ঢাকায় সভাতে অংশ নিতেও যান।
আরেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈনউদ্দিন চিশতি নিজ দায়িত্বে অতিরিক্ত হিসেবে এস্টেট অফিসারের দায়িত্বও পালন করছেন। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তারা বর্তমানে সিটি করপোরেশনের ২৭ টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়িত্বও পালন করছেন।
কর্মকর্তাদের ভাষ্য, অর্গানোগ্রাম অনুমোদন হলে তাঁরা পদোন্নতি পেতেন। তখন তাঁদের সুযোগ সুবিধা বাড়তো। এখন তাঁরা সার্বক্ষণিক খাটছেন। সিটি করপোরেশনে সমস্যা বেড়েছে। নগরে লোক বেড়েছে। সমস্যাও বেড়েছে। কিন্তু কাজের মনিটরিং করা যাচ্ছে না।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক তিনজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,‘ কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১২ টা বাজিয়েছেন বর্তমানে ওএসডি হওয়া প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামছুল আলম ও সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল্লাহ। তাঁদের কারণে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন বিকশিত হতে পারেনি। তার ওপর কিছু সংখ্যক দুর্বল ও মেধাহীন জনপ্রতিনিধি কুমিল্লাকে ঘিঞ্জি নগরে পরিণত করেছেন। ’
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সায়েম ভূঁঞা বলেন,‘ রাতদিন পরিশ্রম করছি। লোক না বাড়লে করব কি? কাজ তো টেনেটুনে চালিয়ে যাচ্ছি। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের আপ্রাণ চেষ্টা করছি। কিছু অযোগ্য লোক সব প্রতিষ্ঠানেই কমবেশি থাকে।’
জানতে চাইলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক সাইফ উদ্দিন আহমেদ একান্ত সাক্ষাৎকারে আমার শহরকে বলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে সুশাসনের বড় অভাব ছিল। এখানকার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মানসিকতা গ্রো করেনি। সিটি করপোরেশন ভালো মাথা পায়নি। যে কারণে বিকশিত হয়নি। দেশের অন্যান্য সিটি করপোরেশন থেকে কুমিল্লা পিছিয়ে আছে। সিটি করপোরেশন মানে রাস্তা, নালা ও ফুটপাত করার পাশাপাশি নান্দনিক কিছু করা।
গত ১৪ বছরে কুমিল্লা গতানুগতিক কাজের বাইরে সেইভাবে কিছ্ ুকরতে পারেনি।’
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নিয়ে প্রায়ই সার্বক্ষণিক ভাবনায় থাকেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সাবেক সংসদ সদস্য ও নগরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনিরুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন,‘ কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বেশির ভাগ কর্মকর্তা ও কর্মচারী অদক্ষ, অসৎ ও অযোগ্য। ওই কারণে সিটি করপোরেশন বিকশিত হচ্ছে না। ’
উল্লেখ, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি নাগরিক সমাজের ব্যানারে ( বিএনপির) একবার ও ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে তৎকালীন বিএনপি নেতা মো. মনিরুল হক সাক্কু মেয়র হয়েছিলেন । টানা দুইবার তিনি মেয়র ছিলেন। ২০২২ সালের ১৫ জুন আওয়ামী লীগের আরফানুল হক রিফাত মেয়র হন। রিফাতের মৃত্যুর পর ২০২৪ সালের ৯ মার্চ উপনির্বাচনে একই দলের তাহসীন বাহার মেয়র হন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের পর এক নির্বাহী আদেশে সারাদেশের মতো কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণ করা হয়। বর্তমানে সরকারের অতিরিক্ত সচিব ও কোটবাড়িতে অবস্থিত বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) মহাপরিচালক সাইফ উদ্দিন আহমেদ প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সাবেক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বিএনপি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কৃত। তবে তিনি এলাকায় নিয়মিত তাঁর অনুসারি বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছেন্। দলীয় কর্মসূচি পালন করছেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন কেন বিকশিত হয়নি, জনবল কেন বাড়েনি এ প্রসঙ্গে সাবেক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন,‘ জনবল বাড়ার বিষয়টি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে। আমি বহুবার চেষ্টা করে , ঢাকায় লোক লাগিয়ে একটা পর্যায়ে এনেছিলাম। পরে তো আর আমি মেয়র আছলাম না। আমার সময়ে নগরের সৌন্দর্যবর্ধন, নালা পরিষ্কার, নতুন সড়ক করেছি। বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প নিয়েছি। আমি বিরোধী দলীয় মেয়র ছিলাম। সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। ’
সাবেক মেয়র তাহসীন বাহার বর্তমানে কলকাতায় আছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তাই জনবল বিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।