নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামছুল আলমকে ফেরাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও ঠিকাদারেরা তৎপর বলে অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রভাবশালী সাবেক এক সংসদ সদস্যের নির্দেশে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের একটি ওয়ার্ডের সদস্য একজন উপদেষ্টার কাছে ছামছুলের পক্ষে তদবির করেছেন। এইক্ষেত্রে আওয়ামী লীগপন্থী ঠিকাদারেরাও তৎপর রয়েছেন। ১৫৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকার মেগাপ্রকল্পের উন্নয়ন কাজ নিজেদের কব্জায় রাখতে তাঁরাও ছামছুল আলমকে স্বপদে ফেরাতে চান।
নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ এপ্রিল কুমিল্লা সিটি কপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামছুল আলমকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মিঞা মুহাম্মদ আশরাফ রেজা ফরিদী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই আদেশ দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মকর্তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলিপূর্বক পদায়ন করা হয়। জনস্বার্থে জারিবৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। তবে আদেশের ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ছামছুল আলম প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে এখনও বহাল তবিয়তে আছেন।
নগর ভবনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সচিব পদে যোগ দেন ছামছুল আলম। ২০১৫ সালের ৪ মে পর্যন্ত তিনি ওই পদে ছিলেন। ওই সময়ে তিনি প্রাইমারি হেলথ কেয়ার প্রকল্পের( ইউপিএইচসিপি-২) অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন। মেয়াদকালে এক ঠিকাদারের জামানতের ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা তিনি আত্নসাত করেন। তখন তাঁর বিরুদ্ধে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নেওয়া কর্মীর সংখ্যা বেশি দেখিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরেরা তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন তৎকালীন বিএনপি দলীয় মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কুর কাছে। সাক্কু এ নিয়ে কোন পদক্ষেপ নেননি। পরে কাউন্সিলরেরা দুদকে অভিযোগ করে তাঁকে এখান থেকে সরান। এরপর তিনি বিভিন্ন স্থানে চাকরি করেন। ২০২৩ সালের ১৮ জুন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্রগ্রামের পরিচালক মো. ছামছুল আলমকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে পদায়ন করা হয়। এরপর তিনি ২০২৩ সালের ৬ জুলাই কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে যোগ দেন। গত ২০ এপ্রিল তাঁকে ওএসডি করা হয়। ওএসডি করা হলেও তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর না করে স্বপদে থাকার জন্য তদবির করছেন।
ছামছুল আলম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২২তম ব্যাচের কর্মকর্তা। বর্তমানে তিনি সরকারের যুগ্মসচিব। ২০০৫ সালের ১৬ অক্টোবর ছামছুল আলম কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের দপ্তরে এনডিসি ছিলেন। এরপর প্রায় সাড়ে ১৬ বছর তিনি ঘুরেফিরে কুমিল্লায় ছিলেন। এই সময়ে কুমিল্লা নগরের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এদের তিনি নানা ধরনের কাজে ব্যবহার করেন।
কেন ছামছুল আলমের পক্ষে আওয়ামী লীগের নেতা ও ঠিকাদারেরা: কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার চম্পকনগর এলাকার মো. সাইফুল ইসলামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এন এস গ্যালারি। সাইফুলের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে কাজ হলেও মূলত বেশির ভাগ কাজ ছিল একজন সাবেক সংসদ সদস্যের। এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ১০ টি প্রকল্পে ৫৯ কোটি ৬১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯১ দশমিক ৪৫ টাকার কাজ করেছে। বিল নিয়েছে ৫৮ কোটি ৯৫ লাখ ৭৭ হাজার টাকার। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে এনএস গ্যালারির নামে ২৯ টি প্রকল্পে ( একটি প্রকল্পে অনন্ত এন্টারপ্রাইজ যৌথভাবে আছে) ২০৮ কোটি ১৫ লাখ ২৭ হাজার ২৫৬ দশমিক ৭৭ টাকার কাজ পায়। ইতিমধ্যে সাইফুল ১১৪ কোটি ৪৮ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫৭ দশমিক ১৫ টাকার বিলও তুলে নেয়। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে কোভিড ১৯ প্রজেক্ট (এলজিসিআরআরপি) এর পাঁচটি কাজ পেয়েছেন ১৭ কোটি ৮৪ লাখ ৪৯ হাজার ৮৪৬ দশমিক ২৯ টাকার। এইসব কাজের কোন বিল নেননি। ২৮৫ কোটি ৬১ লাখ ৪৭ হাজার ৯৩ টাকার কাজ পেয়েছে। ওই কাজের বিল নিতে ও কাজ করতে ছামছুল আলমকে চান ঠিকাদার।
সাবেক স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে দুইটি প্রকল্পে ১০ কোটি ৮০ লাখ ২০ হাজার ৬৯৬ দশমিক ৭৯ টাকার দুইটি কাজ পেয়েছেন। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১৩ টি প্রকল্পে ৯৪ কোটি ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৪৮০ টাকার কাজ পেয়েছেন। কামাল হোসেনের সঙ্গে কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীনের হরিহর আত্নার সম্পর্ক । কামাল মন্ত্রীর লোক হওয়ায় বাহাউদ্দীন তাঁকে গুরুত্ব দিতেন। দুইজন মিলে কাজ ভাগাভাগি করতেন। মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের মধ্যে যোগসুত্র স্থাপন করতেন কামাল। কামাল দুবাই ও ভারতে বসে ঠিকাদারি কাজ দেখভাল করেন। ¯
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মো. এনামুল হক। এনামুলের হক এন্টারপ্রাইজের লাইসেন্সে ২০২১-২০২২ সালে পাঁচটি প্রকল্পে ৩৫ কোটি ৯০ লাখ ৫৪ হাজার ৫০৪ টাকার কাজ ও ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে নয়টি প্রকল্পে ৭২ কোটি ৬২ লাখ ৬৪ হাজার ৪৬৬ টাকার কাজ আছে। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ছয়টি প্রকল্পে ৫০ কোটি ৭৯ লাখ ৮৬ হাজার ৫৯৪ ও ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে দুইটি প্রকল্পে ১৩ কোটি ৬৩ লাখ ৪৫ হাজার ১৪০ টাকার কাজ আছে। এনামুল আমেরিকায় আছেন। তবে তাঁর লাইসেন্সে দলীয় ঠিকাদারেরা কাজ করেন। তিনিও সাবেক সংসদ সদস্য বাহাউদ্দীনের অনুসারি।
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে মেসার্স কন্সট্রাক্টশন অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুইটি প্রকল্পে ১৪ কোটি ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকার কাজ করে ১৩ কোটি ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ৪৭৮ টাকার বিল তুলে নেয়। এই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন। তিনি বর্তমানে ভারতে আছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
আ ক ম বাহাউদ্দীন, মো. এনামুল হক, কামাল হোসেন ও সাইফুল ইসলাম দেশের বাইরে অবস্থান করায় তাঁদেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামছুল আলমকে ফেরাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও ঠিকাদারেরা তৎপর বলে অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রভাবশালী সাবেক এক সংসদ সদস্যের নির্দেশে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের একটি ওয়ার্ডের সদস্য একজন উপদেষ্টার কাছে ছামছুলের পক্ষে তদবির করেছেন। এইক্ষেত্রে আওয়ামী লীগপন্থী ঠিকাদারেরাও তৎপর রয়েছেন। ১৫৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকার মেগাপ্রকল্পের উন্নয়ন কাজ নিজেদের কব্জায় রাখতে তাঁরাও ছামছুল আলমকে স্বপদে ফেরাতে চান।
নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ এপ্রিল কুমিল্লা সিটি কপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামছুল আলমকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মিঞা মুহাম্মদ আশরাফ রেজা ফরিদী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই আদেশ দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মকর্তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলিপূর্বক পদায়ন করা হয়। জনস্বার্থে জারিবৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। তবে আদেশের ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ছামছুল আলম প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে এখনও বহাল তবিয়তে আছেন।
নগর ভবনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সচিব পদে যোগ দেন ছামছুল আলম। ২০১৫ সালের ৪ মে পর্যন্ত তিনি ওই পদে ছিলেন। ওই সময়ে তিনি প্রাইমারি হেলথ কেয়ার প্রকল্পের( ইউপিএইচসিপি-২) অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন। মেয়াদকালে এক ঠিকাদারের জামানতের ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা তিনি আত্নসাত করেন। তখন তাঁর বিরুদ্ধে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নেওয়া কর্মীর সংখ্যা বেশি দেখিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরেরা তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন তৎকালীন বিএনপি দলীয় মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কুর কাছে। সাক্কু এ নিয়ে কোন পদক্ষেপ নেননি। পরে কাউন্সিলরেরা দুদকে অভিযোগ করে তাঁকে এখান থেকে সরান। এরপর তিনি বিভিন্ন স্থানে চাকরি করেন। ২০২৩ সালের ১৮ জুন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্রগ্রামের পরিচালক মো. ছামছুল আলমকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে পদায়ন করা হয়। এরপর তিনি ২০২৩ সালের ৬ জুলাই কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে যোগ দেন। গত ২০ এপ্রিল তাঁকে ওএসডি করা হয়। ওএসডি করা হলেও তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর না করে স্বপদে থাকার জন্য তদবির করছেন।
ছামছুল আলম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২২তম ব্যাচের কর্মকর্তা। বর্তমানে তিনি সরকারের যুগ্মসচিব। ২০০৫ সালের ১৬ অক্টোবর ছামছুল আলম কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের দপ্তরে এনডিসি ছিলেন। এরপর প্রায় সাড়ে ১৬ বছর তিনি ঘুরেফিরে কুমিল্লায় ছিলেন। এই সময়ে কুমিল্লা নগরের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এদের তিনি নানা ধরনের কাজে ব্যবহার করেন।
কেন ছামছুল আলমের পক্ষে আওয়ামী লীগের নেতা ও ঠিকাদারেরা: কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার চম্পকনগর এলাকার মো. সাইফুল ইসলামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এন এস গ্যালারি। সাইফুলের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে কাজ হলেও মূলত বেশির ভাগ কাজ ছিল একজন সাবেক সংসদ সদস্যের। এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ১০ টি প্রকল্পে ৫৯ কোটি ৬১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯১ দশমিক ৪৫ টাকার কাজ করেছে। বিল নিয়েছে ৫৮ কোটি ৯৫ লাখ ৭৭ হাজার টাকার। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে এনএস গ্যালারির নামে ২৯ টি প্রকল্পে ( একটি প্রকল্পে অনন্ত এন্টারপ্রাইজ যৌথভাবে আছে) ২০৮ কোটি ১৫ লাখ ২৭ হাজার ২৫৬ দশমিক ৭৭ টাকার কাজ পায়। ইতিমধ্যে সাইফুল ১১৪ কোটি ৪৮ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫৭ দশমিক ১৫ টাকার বিলও তুলে নেয়। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে কোভিড ১৯ প্রজেক্ট (এলজিসিআরআরপি) এর পাঁচটি কাজ পেয়েছেন ১৭ কোটি ৮৪ লাখ ৪৯ হাজার ৮৪৬ দশমিক ২৯ টাকার। এইসব কাজের কোন বিল নেননি। ২৮৫ কোটি ৬১ লাখ ৪৭ হাজার ৯৩ টাকার কাজ পেয়েছে। ওই কাজের বিল নিতে ও কাজ করতে ছামছুল আলমকে চান ঠিকাদার।
সাবেক স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে দুইটি প্রকল্পে ১০ কোটি ৮০ লাখ ২০ হাজার ৬৯৬ দশমিক ৭৯ টাকার দুইটি কাজ পেয়েছেন। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১৩ টি প্রকল্পে ৯৪ কোটি ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৪৮০ টাকার কাজ পেয়েছেন। কামাল হোসেনের সঙ্গে কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীনের হরিহর আত্নার সম্পর্ক । কামাল মন্ত্রীর লোক হওয়ায় বাহাউদ্দীন তাঁকে গুরুত্ব দিতেন। দুইজন মিলে কাজ ভাগাভাগি করতেন। মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের মধ্যে যোগসুত্র স্থাপন করতেন কামাল। কামাল দুবাই ও ভারতে বসে ঠিকাদারি কাজ দেখভাল করেন। ¯
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মো. এনামুল হক। এনামুলের হক এন্টারপ্রাইজের লাইসেন্সে ২০২১-২০২২ সালে পাঁচটি প্রকল্পে ৩৫ কোটি ৯০ লাখ ৫৪ হাজার ৫০৪ টাকার কাজ ও ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে নয়টি প্রকল্পে ৭২ কোটি ৬২ লাখ ৬৪ হাজার ৪৬৬ টাকার কাজ আছে। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ছয়টি প্রকল্পে ৫০ কোটি ৭৯ লাখ ৮৬ হাজার ৫৯৪ ও ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে দুইটি প্রকল্পে ১৩ কোটি ৬৩ লাখ ৪৫ হাজার ১৪০ টাকার কাজ আছে। এনামুল আমেরিকায় আছেন। তবে তাঁর লাইসেন্সে দলীয় ঠিকাদারেরা কাজ করেন। তিনিও সাবেক সংসদ সদস্য বাহাউদ্দীনের অনুসারি।
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে মেসার্স কন্সট্রাক্টশন অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুইটি প্রকল্পে ১৪ কোটি ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকার কাজ করে ১৩ কোটি ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ৪৭৮ টাকার বিল তুলে নেয়। এই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন। তিনি বর্তমানে ভারতে আছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
আ ক ম বাহাউদ্দীন, মো. এনামুল হক, কামাল হোসেন ও সাইফুল ইসলাম দেশের বাইরে অবস্থান করায় তাঁদেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।