অভিযানের খবরে পালালেন অর্ধশতাধিক ফার্মেসি মালিক

দেবীদ্বার প্রতিনিধি
Thumbnail image

কুমিল্লার দেবীদ্বারে অভিযানে নামেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সংবাদে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে পালিয়ে যান মালিক সমিতির সভাপতি, কর্মকর্তাসহ অর্ধশতাধিক ফার্মেসি মালিক।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রায়হানুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান চলে। এ সময় কুমিল্লা জেলা ড্রাগ সুপার মো. শাহ জালাল ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে ফার্মেসি খোলা না পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত হতাশ হয়ে পড়েন। এ সময় নিউমার্কেট উত্তর বাজারে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় নিষিদ্ধ স্যাম্পল শো-কেসে সাজিয়ে রাখার অপরাধে উপমা ফার্মেসিকে ১০ হাজার টাকা এবং স্যাম্পল ও ড্রাগ লাইসেন্স না থাকায় মীর মেডিকেল হলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোবাইলকোর্ট আসার সংবাদে ফার্মেসি পাড়ায় শাটার বন্ধের আওয়াজটি ছিল মিউজিকের মতো। ৩-৪ মিনিটের মধ্যে অর্ধশতাধিক ফার্মেসি বন্ধ করে দোকান মালিকেরা সাধরণ জনতার মাঝে মিশে যান।

দেবীদ্বার ফার্মেসি মালিক সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল খালেক সরকার (বাবুল) জানান, পৌর এলাকায় ড্রাগ লাইসেন্সধারী ফার্মেসি রয়েছে প্রায় ৬০-৭০টি, লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি আছে ৪০-৫০টি। সকল ফার্মেসির শতভাগে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও স্যাম্পল থাকে। ফার্মেসি মালিক সমিতির সভাপতি হয়ে আপনি ফার্মেসি বন্ধ করে পালালেন কেন জানতে চাইলে তিনি জানান, অভিযান চলাকালে যে কোনো ফার্মেসিকে জরিমানা গুনতে হতে পারে। তাই আমার ফার্মেসি বন্ধ করতে হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রায়হানুল ইসলাম জানান, মূলত ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযানটি ছিল, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির স্যাম্পল যা বিক্রয় নিষিদ্ধ, সরকার কর্তৃক আমদানী অনুমোদনবিহীন ওষুধ, ভুয়া কোম্পানির ভেজাল ওষুধ, সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্য আদায় এবং ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসিসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধ। কিন্তু ফার্মেসির মালিক থেকে শুরু করে গ্রাহক পর্যায়ের ভুক্তভোগীরাও সহযোগিতা করে না।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সম্পর্কিত