আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ হত্যা মামলায় কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর, সিটি করপোরেশন ও সেনানি

নবাস এলাকা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসীন বাহার সূচনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে কুমিল্লার ১নং আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত জাহান চৌধুরী এ পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে আদালত ৩৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করেন । কুমিল্লা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।

এ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রাপ্ত আরও ব্যক্তিরা হলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিকুল্লাহ খোকন, সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ রায়হান আহমেদ, ইশতিয়াক সরকার বিপু। আদালত

সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নগরের কান্দিরপাড় থেকে বিজয় মিছিল শেষে বাসায় ফেরার পথে মোগলটুলী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের

নেতা আবুল কালাম আজাদ। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে পুলিশ সাবেক এমপি বাহারসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। বুধবার আদালত তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ গ্রহণ করেন।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, সাবেক এমপি বাহার, সাবেক মেয়র সুচনাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা চার্জশিট আদালত

গ্রহণ করেছেন। এ সময় পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।