ভিক্টোরিয়া কলেজে কর্মচারীদের বঞ্চিত করার অভিযোগ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক
Thumbnail image

পাবলিক ও অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার টাকা ভাগ-বাটোয়ারায় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ করেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে কলেজের ডিগ্রি শাখার প্রশাসনিক ভবন তালাবন্ধ করে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই অভিযোগ করেন। এ সময় কলেজের প্রায় দুই শতাধিক কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, ২৪ মার্চ বেলা ১২টা থেকে প্রশাসনিক ও বিভাগীয় সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখে তারা। কর্মবিরতি ঘোষণার পর কর্মচারীদের উপর রাগান্বিত হয়ে ডিগ্রি ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন অধ্যক্ষ।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ও অধ্যক্ষের প্রধান সহকারী মোহাম্মদ মাজহারুল আলমের অভিযোগ, খসড়া বণ্টন নীতিমলা-২০২৪ বিভিন্ন বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়। যা কর্মচারীরা ন্যায্য অধিকার হতে বঞ্চিত হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায়, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, শিক্ষক পরিষদ, বণ্টন নীতিমালা-২০২৪ কমিটিকে লিখিত দাবি জানাই।

আমাদের মতামত না নিয়ে গত ১০ মার্চ বণ্টন নীতিমালা- ২০২৪ অনুমোদন করেন অধ্যক্ষ ও কমিটি । এর পরিপ্রেক্ষিতে ন্যায্য অধিকার পাওয়ার জন্য কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ কর্তৃক কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলমান থাকবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সহ-সভাপতি অফিস সহকারী (বেসরকারি) মাহফুজুল ইসলাম লাকী, সাধারণ সম্পাদক হিসাবরক্ষক মো. সাইফুদ্দিন সুমন, সহসম্পাদক অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর আবু বক্কর ছিদ্দিক সেলিম, কোশাধ্যক্ষ হিসাব সহকারী ইয়াছিন মিয়া, ক্রীড়া সম্পাদক অফিস সহায়ক মো. আব্দুল হান্নান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক অফিস সহকারী (বেসরকারি) মো. শাহ আলম, প্রচার সম্পাদক অফিস সহায়ক মো. আমির হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অফিস সহকারী (বেসরকারি), মোসাম্মৎ শাহনাজ বেগমসহ সরকারি বেসরকারি দুই শতাধিক কর্মচারী।

তবে কলেজের হিসাবরক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সম্পাদক সাইফুদ্দিন সুমন বলেন, ‘২০২১ সালে পরীক্ষা কমিটি ১১ শতাংশ টাকা গ্রহণ করতো। বর্তমান কমিটি ১৬ দশমিক ৮২ টাকা নিয়ে যাচ্ছে। যা স্পষ্ট বৈষম্য। আমরা ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য বারবার স্যারদের নিকট অনুরোধ করেছি।

টাকা ভাগ-বাটোয়ারা বিষয়ে শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ও গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গাজী মুহাম্মদ গোলাম সোহরাব হাসান বলেন, ‘এ কলেজে আগে কোন সিস্টেম ছিল না। এখানে বেসরকারি কর্মচারী বেশী। তাদের থেকে বরাদ্দ দেওয়া হতো। এখন আমরা একটা সিস্টেমে নিয়ে আসছি। যিনি কমিটিতে কাজ করবেন, তিনি বেশি পাবেন এটা বণ্টন নীতিমালায় আছে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাসার ভূঁঞা বলেন, ‘নীতিমালা আলোকেই কর্মচারীদের মাঝে পরীক্ষার টাকা সুষম বণ্টন করছি। আমরা কারো প্রতি অন্যায় করছি না। যতটুকু বুঝি তারা কারো ইন্দনে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। এতে আমার কিছুই করার নাই। যদি আমার শিক্ষার্থীরা অফিসিয়াল কোন কাছে হয়রানি শিকার হয়, আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সম্পর্কিত