সাক্ষাৎকার

ভেন্যু কেন্দ্র বাতিল ও উত্তরপত্র সঠিকভাবে মূল্যায়নে পাসের হার কমেছে

কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক রুনা নাছরীন

গাজীউল হক সোহাগ
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ১৬
Thumbnail image

কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের প্রথম নারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক রুনা নাছরীন। চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি তিনি এই পদে যোগদান করেন। তিনি ১৬তম বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী । পড়াশোনা করেছেন পরিসংখ্যান বিষয়ে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। এতে সারাদেশের সব বোর্ডের মধ্যে সর্বনিম্ন ফল কুমিল্লা বোর্ডের। এ নিয়ে তাঁর দপ্তরে বেলা ১১ টায় কথা হয়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আমার শহর সম্পাদক গাজীউল হক সোহাগ

আমার শহর: এইচএসসি পরীক্ষার ফল খারাপ হওয়ার কারণ কি?

রুনা নাছরীন: গত বছর এইচএসসিতে ১৯৩ টি পরীক্ষাকেন্দ্রের মধ্যে ১৬২ টি পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল ভেন্যুকেন্দ্র। এইক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা নিজ প্রতিষ্ঠানের আওতায় থেকে পরীক্ষা দিত। এবার কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে কোন ভেন্যুকেন্দ্র ছিল না। তার ওপর এবার উত্তরপত্র সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে। শিথিল করে খাতা দেখার কোন ধরনের নির্দেশনা ছিল না। একজন পরীক্ষার্থী যা মার্ক পাওয়ার তা-ই দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষকদের শুধু বলেছি কাউকে বঞ্চিত করবেন না, অতিরিক্ত নম্বরও দেবেন না। ভেন্যু কেন্দ্র বাতিল ও উত্তরপত্র সঠিকভাবে মূল্যায়নে পাসের হার কমেছে।

আমার শহর: এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিবেশ কেমন ছিল এবার?

রুনা নাছরীন: নকলমুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু পরীক্ষা হয়েছে। ভিজিলেন্স টিম যথাযথভাবে কাজ করেছে। পুরো তিন ঘন্টা একেকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে ছিলেন। পরীক্ষা কড়া হয়েছে। এই কারণে এবার পাসের হার অনেকটা কমে গেছে।

আমার শহর: যে কলেজের পাসের হার কম, তাদের বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেবেন?

রুনা নাছরীন: যাদের পাসের হার কম, তাদের কাছে আমরা ব্যাখ্যা চাইব। কোথাও ২০ শতাংশ পাসের হার, এটা কোনভাবেই মানতে পারছি না। এর ব্যাখ্যা বোর্ডকে দিতে হবে কলেজগুলোকে। একই সঙ্গে আগামীতে ভালো করার উপায় বের করব।

আমার শহর: ক্যাডেট কলেজগুলোতে তো পাসের হার ও জিপিএ ৫ ঠিক আছ্ েএটা কিভাবে সম্ভব?

রুনা নাছরীন: আপনার দুইটি বাচ্চা থাকলে আপনি ভালোভাবে যত্ন নিতে পারবেন। আপনার দাদার ১০ টি বাচ্চা ছিল, তিনি হয়তো সমানভাবে যত্ন নিতে পারেননি। এতে করে সবাই ঠিকভাবে ভালো করতে পারেনি। ক্যাডেট কলেজে কম শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। শৃঙ্খলার মধ্যে ওরা পড়ে। শিক্ষকেরা মনিটরিং করে। যে কারণে ওরা ভালো ফল করে।

আমার শহর: মেয়েরা তো এইচএসসিতেও ভালো করেছে? কেন ওরা ভালো করল?

রুনা নাছরীন: কুমিল্লা বোর্ডে মেয়েদের পাসের হার ও জিপিএ ৫ বেশি। ওরা সার্বক্ষণিক পড়াশোনায় থাকে। ছেলেরা ঘুরাফেরা করে। সঠিক সময়ে বই নিয়ে বসে না। পরিশ্রম কম করে। আড্ডা মারে। এবারের ফল মূল্যায়নে আমার কাছে তাই মনে হয়েছে। মেয়েরা পড়াশোনায় সিনসিয়ার। ছেলেরা ভালো করলে এ বোর্ডে পাসের হার ৪৮ দশমিক ৮৬ এর বেশি হতো।

আমার শহর: এতোক্ষণ সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ

রুনা নাছরীন: আমার শহরের পাঠককেও ধন্যবাদ।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সম্পর্কিত