কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় : পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপকের স্থায়ী পদের বোর্ড বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
Thumbnail image

পছন্দের দুই প্রার্থী কার্ড না পাওয়ায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপকের স্থায়ী পদের বোর্ড বাতিল করার অভিযোগ উঠেছে । গতকাল বুধবার ছিল ওই পদের পরীক্ষা। এতে করে বহিঃপরীক্ষকেরা পরীক্ষা না নিয়েই ফিরে যান। নতুন করে প্ল্যানিং করার পর আগামী ২৭ এপ্রিল পুনরায় বোর্ড হবে বলে জানা গেছে। আগামী ২৮ এপ্রিল সিন্ডিকেটের সভা। সাধারণত সিন্ডিকেট সভার আগেই এ ধরণের বোর্ড হয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২ ডিসেম্বর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন প্রিয়াংকা পাল। ২০১৭ সালের ২ ডিসেম্বর তিনি আপগ্রেডেশনে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। সম্প্রতি পরিসংখ্যান বিভাগে সহকারী অধ্যাপকের স্থায়ী পদে একজনকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রিয়াংকা পাল যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আবেদন করেন। এছাড়া চট্রগ্রাম ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহযোগী অধ্যাপক ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আরেকজন সহকারী অধ্যাপকও আবেদন করেন। এই দুইজন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা করে পরিসংখ্যান বিভাগও নেই। তাঁরা পরিসংখ্যানের বিভিন্ন কোর্স পড়িয়ে থাকেন। তাঁরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নীতিমালার শর্ত পূরণ না করেই আবেদন করেন। এ অবস্থায় পরিসংখ্যান বিভাগের প্ল্যানিং কমিটি শর্ত পূরণ না হওয়ায় তাঁদের প্ল্যানিং করেননি।

এদিকে গতকাল বুধবার সকাল ১০ টায় ছিল সহকারী অধ্যাপকের স্থায়ী পদের বোর্ড। বোর্ডের সদস্যরা সবাই হাজির। প্রিয়াংকা পালও উপস্থিত হন। কিন্তু বোর্ডে অপর দুইজন আবেদনকারীকে না দেখে ওই বোর্ড বাতিল করা হয়। একই সঙ্গে পুনরায় প্ল্যানিং করার জন্য বলা হয়। এ অবস্থায় বোর্ড থেকে ফেরত আসেন প্রিয়াংকা পাল।

জানতে চাইলে প্রিয়াংকা পাল বলেন,‘ আমি বোর্ডে যাই। কিন্তু পরে সেটি বাতিল করা হয়। এখন শুনেছি নতুন করে তারিখ হবে। প্রায় ১১ বছর চাকরি করছি, এখনও স্থায়ী হতে পারিনি। আমাদের বিভাগের আরও কয়েকজন সহকারী অধ্যাপক এখনও স্থায়ী হননি সহকারী অধ্যাপক পদে। আমি জ্যেষ্ঠ হওয়ায় আবেদন করেছি আগে। এরপর ধারাবাহিকভাবে উনারা করবেন। ’

পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী বলেন, যেভাবে প্ল্যানিং করার নিয়ম আমরা বিভাগ থেকে সেইভাবেই করে পাঠিয়েছি। পরে জানানো হল বোর্ড বাতিল। যাঁরা আবেদন করেছেন তাঁদেরটা যুক্ত করতে হবে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ( অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ একেক বিশ্ববিদ্যালয় একেকভাবে কাজ করে। প্ল্যানিং এ দুইজন বাদ পড়ায় নতুন কওে প্ল্যানিং করতে বলা হয়েছে। আগামী ২৭ এপ্রিল পুনরায় বোর্ড হবে। এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।’

অভিযোগ উঠেছে, পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপকের স্থায়ী পদে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সময়ের ক্ষমতাবান কোন কোন ব্যক্তির পছন্দের প্রার্থী আছে। ওই কারণে বোর্ড বাতিল হয়। সাধারণত আন্দোলন সংগ্রাম ও বোর্ডের কোরাম পূরণ না হলে বোর্ড বাতিল হয়ে থাকে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সম্পর্কিত