আবদুল্লাহ আল মারুফ
বাংলাদেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ বর্তমানে শ্রেণিকক্ষ সংকটে ভুগছে। সোয়া শতাব্দী ধরে হাজারো শিক্ষার্থীকে জ্ঞানচর্চার সুযোগ দিয়ে আসা এই কলেজে এখনকার অবকাঠামো শিক্ষার্থীর তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। যে কারণে শ্রেণিকক্ষ সংকটে সেমিনারের বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় ক্লাসের সময় কাটে শিক্ষার্থীদের।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে উচ্চমাধ্যমিক, অনার্স, মাস্টার্স ও ডিগ্রি কোর্স মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। অথচ তাদের জন্য স্থায়ী শ্রেণিকক্ষের সংখ্যা ডিগ্রি শাখায় ৬৫টি ও উচ্চ মাধ্যমিক শাখায় প্রায় ৪০টি। এই সংখ্যক শ্রেণিকক্ষে একসঙ্গে ২০০-২৫০ জন পর্যন্ত শিক্ষার্থীকে বসতে হচ্ছে। এতে পড়াশোনার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, অধিক ভিড়ের কারণে ক্লাসে মনোযোগ দেওয়া যায় না। করিডরে দাঁড়িয়ে ক্লাস করতে বাধ্য হন। এছাড়াও একটি বড় অংশ ক্লাস করেন বিভাগের সেমিনারে। গরমকালে ঘিঞ্জি শ্রেণিকক্ষে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও তৈরি হয়। নামেমাত্র কয়েকটি পাখা লাগানো থাকলেও সেগুলো এত শিক্ষার্থীর মাঝে তেমন কোন কাজে লাগছে না। বিশেষ করে অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা মনে করেন, পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষের অভাবে মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে।
কলেজের বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মনির হোসেন বলেন, আমরা ক্লাস করলে আমাদের জুনিয়ররা দাঁড়িয়ে থাকে। তারা ক্লাস করলে আমরা সেমিনারের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এটা খুবই দু:খজনক।
একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, তৃতীয় তলায় ক্লাস রুমেও ফাটল, কিভাবে ক্লাস করবে শিক্ষার্থীরা!
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাসে বেশি উপস্থিত থাকে। যেদিন বেশি স্টুডেন্ট থাকে সেদিন এক ব্যাচ অপেক্ষা করে আরেক ব্যাচের ক্লাস শেষ হওয়ার জন্য।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল বাশার ভূঁঞা বলেন, শ্রেণিকক্ষ সংকট আমাদের জন্য বড় সমস্যা। আমরা ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের কাছে নতুন ভবন নির্মাণের আবেদন জানিয়েছি। কিছু প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে, তবে কাজ শুরু হতে সময় লাগছে।
শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী এ কলেজকে বাঁচাতে হলে জরুরি ভিত্তিতে নতুন একাডেমিক ভবন, আধুনিক ল্যাবরেটরি ও পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করতে হবে। নইলে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন শ্রেণিকক্ষ সংকটের যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছেন। দ্রুত সমাধান না হলে দেশের শিক্ষার মান উন্নয়নের পথে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে এই সংকট।
কলেজ শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক গাজী মুহাম্মদ গোলাম সোহরাব হাসান বলেন, আমরা ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে ক্লাসরুম সংকটের বিষয়টি জানিয়েছি। লিখিত আবেদনও করেছি। তারা আমাদের দ্রুতই বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাসার ভূঁঞা বলেন, একাডেমিক ভবনের কারণে আমাদের ছেলে মেয়েরা ক্লাস করতে কষ্ট হচ্ছে। আমরা আবেদন করেছি একাডেমিক ভবনের জন্য। সরকারের কাছে আমরা বিষয়টি নজর দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
বাংলাদেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ বর্তমানে শ্রেণিকক্ষ সংকটে ভুগছে। সোয়া শতাব্দী ধরে হাজারো শিক্ষার্থীকে জ্ঞানচর্চার সুযোগ দিয়ে আসা এই কলেজে এখনকার অবকাঠামো শিক্ষার্থীর তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। যে কারণে শ্রেণিকক্ষ সংকটে সেমিনারের বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় ক্লাসের সময় কাটে শিক্ষার্থীদের।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে উচ্চমাধ্যমিক, অনার্স, মাস্টার্স ও ডিগ্রি কোর্স মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। অথচ তাদের জন্য স্থায়ী শ্রেণিকক্ষের সংখ্যা ডিগ্রি শাখায় ৬৫টি ও উচ্চ মাধ্যমিক শাখায় প্রায় ৪০টি। এই সংখ্যক শ্রেণিকক্ষে একসঙ্গে ২০০-২৫০ জন পর্যন্ত শিক্ষার্থীকে বসতে হচ্ছে। এতে পড়াশোনার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, অধিক ভিড়ের কারণে ক্লাসে মনোযোগ দেওয়া যায় না। করিডরে দাঁড়িয়ে ক্লাস করতে বাধ্য হন। এছাড়াও একটি বড় অংশ ক্লাস করেন বিভাগের সেমিনারে। গরমকালে ঘিঞ্জি শ্রেণিকক্ষে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও তৈরি হয়। নামেমাত্র কয়েকটি পাখা লাগানো থাকলেও সেগুলো এত শিক্ষার্থীর মাঝে তেমন কোন কাজে লাগছে না। বিশেষ করে অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা মনে করেন, পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষের অভাবে মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে।
কলেজের বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মনির হোসেন বলেন, আমরা ক্লাস করলে আমাদের জুনিয়ররা দাঁড়িয়ে থাকে। তারা ক্লাস করলে আমরা সেমিনারের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এটা খুবই দু:খজনক।
একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, তৃতীয় তলায় ক্লাস রুমেও ফাটল, কিভাবে ক্লাস করবে শিক্ষার্থীরা!
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাসে বেশি উপস্থিত থাকে। যেদিন বেশি স্টুডেন্ট থাকে সেদিন এক ব্যাচ অপেক্ষা করে আরেক ব্যাচের ক্লাস শেষ হওয়ার জন্য।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল বাশার ভূঁঞা বলেন, শ্রেণিকক্ষ সংকট আমাদের জন্য বড় সমস্যা। আমরা ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের কাছে নতুন ভবন নির্মাণের আবেদন জানিয়েছি। কিছু প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে, তবে কাজ শুরু হতে সময় লাগছে।
শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী এ কলেজকে বাঁচাতে হলে জরুরি ভিত্তিতে নতুন একাডেমিক ভবন, আধুনিক ল্যাবরেটরি ও পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করতে হবে। নইলে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন শ্রেণিকক্ষ সংকটের যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছেন। দ্রুত সমাধান না হলে দেশের শিক্ষার মান উন্নয়নের পথে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে এই সংকট।
কলেজ শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক গাজী মুহাম্মদ গোলাম সোহরাব হাসান বলেন, আমরা ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে ক্লাসরুম সংকটের বিষয়টি জানিয়েছি। লিখিত আবেদনও করেছি। তারা আমাদের দ্রুতই বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাসার ভূঁঞা বলেন, একাডেমিক ভবনের কারণে আমাদের ছেলে মেয়েরা ক্লাস করতে কষ্ট হচ্ছে। আমরা আবেদন করেছি একাডেমিক ভবনের জন্য। সরকারের কাছে আমরা বিষয়টি নজর দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতক (পাস) পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মেধা ও সাধারণ বৃত্তির কোটা বণ্টন করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
৩ দিন আগে