• কুমিল্লা সিটি করপোরেশন
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  • আদর্শ সদর
  • বরুড়া
  • লাকসাম
  • দাউদকান্দি
  • আরও
    • চৌদ্দগ্রাম
    • সদর দক্ষিণ
    • নাঙ্গলকোট
    • বুড়িচং
    • ব্রাহ্মণপাড়া
    • মনোহরগঞ্জ
    • লালমাই
    • চান্দিনা
    • মুরাদনগর
    • দেবীদ্বার
    • হোমনা
    • মেঘনা
    • তিতাস
  • সর্বশেষ
  • রাজনীতি
  • বাংলাদেশ
  • অপরাধ
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ইপেপার
  • ইপেপার
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার শহর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. গাজীউল হক ভূঁইয়া ( সোহাগ)।

নাহার প্লাজা, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০

ই-মেইল: [email protected]

ফোন: 01716197760

> শিক্ষা

তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত চান মজিবুর

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৩: ৪২
logo

তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত চান মজিবুর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৩: ৪২
Photo

আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার তাঁর বিরুদ্ধে গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিবেদন দ্রুত দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি সসম্মানে চাকরিতে ফিরে যেতে চান। গতকাল সোমবার বিকেলে আমার শহর পত্রিকাকে তিনি এসব কথা বলেন।

চলতি বছরের ২ মার্চ তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ২০২৮ সালের জুন মাসে তাঁর চাকরি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

মো. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন,‘ আমি যদি অন্যায় করতাম, দুঃখ ছিল না। অন্যায় করলে এক হাজারবার সাজা দেওয়া হোক। কিন্তু আমি কোন ধরনের অন্যায় করিনি। আমার বিরুদ্ধে কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট আর্থিক ও প্রশাসনিক অভিযোগ নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কাউকে অপমান করা ঠিক না। আমাকে কোন ধরনের শোকজ করা হয়নি। আমি কোন ধরনের আর্থিক অনিয়ম করেছি, এটাও উল্লেখ নেই। এমনকি ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়াও অন্যায়। ’

তিনি বলেন,‘ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থবিরোধী কোন কাজ করিনি। আমি কালিমা নিয়ে যাব কেন? আমি তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত চাই। এতো বড় কালিমা থেকে পরিত্রাণ চাই। কাল্পনিক ও কারও মুখের কথায় প্রশাসন চলতে পারে না। চাকরিবিধি মোতাবেক আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কারও সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক খারাপ হতে পারে, কিন্তু এটার জন্য এই ধরনের পদক্ষেপ অন্যায়।’

মজিবুর বলেন,‘ আমি যদি দায়িত্ব পালন না করতে পারি, তাহলে উপাচার্য মহোদয়ই তো বলতেন- তুমি চলে যাও। আমার বিরুদ্ধে কারও কোন অভিযোগ নেই। কেউ কোন অভিযোগও দেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও অভিযোগ দেয়নি। চেয়ারে বসা অবস্থায় আমাকে ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে হলো। ’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২ মার্চ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ দেওয়া হয়। এতে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো মজিবুর রহমান মজুমদারকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাসহ চারটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। শর্তগুলো হল -অনিয়মের বিষয়ে তদন্তের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ভিন্নরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি নিয়মিত বেতন ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। বাধ্যতামূলক ছুটিতে থাকাবস্থায় তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটিতে থাকাবস্থায় মজিবুর বেতন ভাতাদির বাইরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যানবাহন, টেলিফোন, মোবাইল ভাতা, সংবাদপত্র সুযোগ সুবিধা পাবেন না। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাঁকে প্রদত্ত বাধ্যতামূলক ছুটি বলবৎ থাকবে। ওইদিনই মজিবুরের স্থলে রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

এদিকে মো. মজিবুর রহমান মজুমদারের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেন। এতে ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. এম এম শরীফুল করীমকে আহ্বায়ক করা হয়। কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদনের কোন সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি।

জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক এম এম শরীফুল করীম বলেন,‘ প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়মের সময় নিয়ে আমরা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছি। পরে আমাদের বলা হয়, ২০২৪ সালের ১১ আগস্ট থেকে আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখতে। প্রশাসনিক বিষয়ে পুনরায় তথ্য পেতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান গতকাল রাতে আমার শহর পত্রিকাকে বলেন,‘ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকে কোন সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি। ওনারা আমাদের কাছে কিছু তথ্য চেয়েছেন আমরা সেগুলো দিচ্ছি। এখনও তদন্ত চলছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত আটজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,‘ সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে ও জীবননাশের হুমকি দিলে চাকরিবিধি মোতাবেক কাউকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কিন্তু মজিবুরের বিরুদ্ধে এই ধরনের কাজে জড়িত থাকার কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই। মজিবুরকে শোকজ না করে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়া কোন নিয়মের মধ্যেই পড়ে না। এইগুলো কিন্তু খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ২৫ অক্টোবর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদে যোগদান করেন মো. মজিবুর রহমান মজুমদার। ২০০৯ সালে অনিয়মের অভিযোগে তাঁকে রেজিস্ট্রারের পদ থেকে সরিয়ে দেন তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এইচ এম জেহাদুল করিম। এরপর ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে আদালতের নির্দেশে মেয়াদের শেষ সময়ে তাঁকে যোগদান করান তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমির হোসেন খান। ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি উপাচার্য পদে যোগ দেন এমরান কবির চৌধুরী। তাঁর যোগদানের ২৭ দিনের ব্যবধানেই ২৭ ফেব্রুয়ারি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী তাঁকে রেজিস্ট্রারের পদ থেকে সরিয়ে লাইব্রেরিতে দায়িত্ব দেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ৬ জুন ও ১৬ আগস্ট, ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ,২০২০ সালের ১৯ মার্চ ও ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর স্বপদে ফেরার আবেদন করেন মো. মজিবুর রহমান মজুমদার। কিন্তু রেজিস্ট্রার পদে ফিরতে পারেননি। গত বছরের ১১ আগস্ট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত উপাচার্য এ এফ এম আব্দুল মঈন মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পদত্যাগ করে চলে যান। যাওয়ার আগে একই দিন মজিবুরকে রেজিস্ট্রার পদে বসিয়ে যান। গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে যোগদান করেন অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী। তিনিও মজিবুরকে রেজিস্ট্রার পদ থেকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠান।

উল্লেখ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন -২০০৬ ধারা ১৩ মোতাবেক রেজিস্ট্রার সংবিধিবদ্ধ পদ।

জানতে চাইলে মো. মজিবুর রহমান মজুমদার গতকাল বিকেলে আমার শহরকে বলেন, ‘ তদন্তে যেন দীর্ঘসূত্রতা না হয়। দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়া হোক। একটি আর্থিক অনিয়ম দেখাক, আমি মাথা পেতে নেব। ’

Thumbnail image

আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার তাঁর বিরুদ্ধে গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিবেদন দ্রুত দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি সসম্মানে চাকরিতে ফিরে যেতে চান। গতকাল সোমবার বিকেলে আমার শহর পত্রিকাকে তিনি এসব কথা বলেন।

চলতি বছরের ২ মার্চ তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ২০২৮ সালের জুন মাসে তাঁর চাকরি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

মো. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন,‘ আমি যদি অন্যায় করতাম, দুঃখ ছিল না। অন্যায় করলে এক হাজারবার সাজা দেওয়া হোক। কিন্তু আমি কোন ধরনের অন্যায় করিনি। আমার বিরুদ্ধে কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট আর্থিক ও প্রশাসনিক অভিযোগ নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কাউকে অপমান করা ঠিক না। আমাকে কোন ধরনের শোকজ করা হয়নি। আমি কোন ধরনের আর্থিক অনিয়ম করেছি, এটাও উল্লেখ নেই। এমনকি ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়াও অন্যায়। ’

তিনি বলেন,‘ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থবিরোধী কোন কাজ করিনি। আমি কালিমা নিয়ে যাব কেন? আমি তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত চাই। এতো বড় কালিমা থেকে পরিত্রাণ চাই। কাল্পনিক ও কারও মুখের কথায় প্রশাসন চলতে পারে না। চাকরিবিধি মোতাবেক আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কারও সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক খারাপ হতে পারে, কিন্তু এটার জন্য এই ধরনের পদক্ষেপ অন্যায়।’

মজিবুর বলেন,‘ আমি যদি দায়িত্ব পালন না করতে পারি, তাহলে উপাচার্য মহোদয়ই তো বলতেন- তুমি চলে যাও। আমার বিরুদ্ধে কারও কোন অভিযোগ নেই। কেউ কোন অভিযোগও দেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও অভিযোগ দেয়নি। চেয়ারে বসা অবস্থায় আমাকে ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে হলো। ’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২ মার্চ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ দেওয়া হয়। এতে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো মজিবুর রহমান মজুমদারকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাসহ চারটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। শর্তগুলো হল -অনিয়মের বিষয়ে তদন্তের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ভিন্নরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি নিয়মিত বেতন ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। বাধ্যতামূলক ছুটিতে থাকাবস্থায় তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটিতে থাকাবস্থায় মজিবুর বেতন ভাতাদির বাইরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যানবাহন, টেলিফোন, মোবাইল ভাতা, সংবাদপত্র সুযোগ সুবিধা পাবেন না। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাঁকে প্রদত্ত বাধ্যতামূলক ছুটি বলবৎ থাকবে। ওইদিনই মজিবুরের স্থলে রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

এদিকে মো. মজিবুর রহমান মজুমদারের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেন। এতে ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. এম এম শরীফুল করীমকে আহ্বায়ক করা হয়। কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদনের কোন সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি।

জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক এম এম শরীফুল করীম বলেন,‘ প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়মের সময় নিয়ে আমরা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছি। পরে আমাদের বলা হয়, ২০২৪ সালের ১১ আগস্ট থেকে আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখতে। প্রশাসনিক বিষয়ে পুনরায় তথ্য পেতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান গতকাল রাতে আমার শহর পত্রিকাকে বলেন,‘ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকে কোন সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি। ওনারা আমাদের কাছে কিছু তথ্য চেয়েছেন আমরা সেগুলো দিচ্ছি। এখনও তদন্ত চলছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত আটজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,‘ সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে ও জীবননাশের হুমকি দিলে চাকরিবিধি মোতাবেক কাউকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কিন্তু মজিবুরের বিরুদ্ধে এই ধরনের কাজে জড়িত থাকার কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই। মজিবুরকে শোকজ না করে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়া কোন নিয়মের মধ্যেই পড়ে না। এইগুলো কিন্তু খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ২৫ অক্টোবর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদে যোগদান করেন মো. মজিবুর রহমান মজুমদার। ২০০৯ সালে অনিয়মের অভিযোগে তাঁকে রেজিস্ট্রারের পদ থেকে সরিয়ে দেন তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এইচ এম জেহাদুল করিম। এরপর ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে আদালতের নির্দেশে মেয়াদের শেষ সময়ে তাঁকে যোগদান করান তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমির হোসেন খান। ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি উপাচার্য পদে যোগ দেন এমরান কবির চৌধুরী। তাঁর যোগদানের ২৭ দিনের ব্যবধানেই ২৭ ফেব্রুয়ারি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী তাঁকে রেজিস্ট্রারের পদ থেকে সরিয়ে লাইব্রেরিতে দায়িত্ব দেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ৬ জুন ও ১৬ আগস্ট, ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ,২০২০ সালের ১৯ মার্চ ও ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর স্বপদে ফেরার আবেদন করেন মো. মজিবুর রহমান মজুমদার। কিন্তু রেজিস্ট্রার পদে ফিরতে পারেননি। গত বছরের ১১ আগস্ট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত উপাচার্য এ এফ এম আব্দুল মঈন মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পদত্যাগ করে চলে যান। যাওয়ার আগে একই দিন মজিবুরকে রেজিস্ট্রার পদে বসিয়ে যান। গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে যোগদান করেন অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী। তিনিও মজিবুরকে রেজিস্ট্রার পদ থেকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠান।

উল্লেখ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন -২০০৬ ধারা ১৩ মোতাবেক রেজিস্ট্রার সংবিধিবদ্ধ পদ।

জানতে চাইলে মো. মজিবুর রহমান মজুমদার গতকাল বিকেলে আমার শহরকে বলেন, ‘ তদন্তে যেন দীর্ঘসূত্রতা না হয়। দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়া হোক। একটি আর্থিক অনিয়ম দেখাক, আমি মাথা পেতে নেব। ’

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১

কুমিল্লা নগরের চারটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে আসন ৮৭৩ ভর্তি ফরম অনলাইনে পূরণ শুরু

২

কুমিল্লা শহরের তিনটি সরকারি স্কুলে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

৩

কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের এইচএসসির পুননিরীক্ষণের ফল এক মাসেই প্রকাশ

৪

এইচএসসির খাতা পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ

৫

নির্বাচনী পরীক্ষা না নেওয়ার নির্দেশ দিলো শিক্ষাবোর্ড

সম্পর্কিত

কুমিল্লা নগরের চারটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে আসন ৮৭৩
ভর্তি ফরম অনলাইনে পূরণ শুরু

কুমিল্লা নগরের চারটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে আসন ৮৭৩ ভর্তি ফরম অনলাইনে পূরণ শুরু

৪ দিন আগে
কুমিল্লা শহরের তিনটি সরকারি স্কুলে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

কুমিল্লা শহরের তিনটি সরকারি স্কুলে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

৯ দিন আগে
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের এইচএসসির পুননিরীক্ষণের ফল এক মাসেই প্রকাশ

কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের এইচএসসির পুননিরীক্ষণের ফল এক মাসেই প্রকাশ

১১ দিন আগে
এইচএসসির খাতা পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ

এইচএসসির খাতা পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ

২০২৫ সালের এইচএসসিুআলিম এবং সমমান পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১০টায় দেশের নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে একযোগে ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

১১ দিন আগে