• কুমিল্লা সিটি করপোরেশন
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  • আদর্শ সদর
  • বরুড়া
  • লাকসাম
  • দাউদকান্দি
  • আরও
    • চৌদ্দগ্রাম
    • সদর দক্ষিণ
    • নাঙ্গলকোট
    • বুড়িচং
    • ব্রাহ্মণপাড়া
    • মনোহরগঞ্জ
    • লালমাই
    • চান্দিনা
    • মুরাদনগর
    • দেবীদ্বার
    • হোমনা
    • মেঘনা
    • তিতাস
  • সর্বশেষ
  • রাজনীতি
  • বাংলাদেশ
  • অপরাধ
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ইপেপার
  • ইপেপার
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার শহর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. গাজীউল হক ভূঁইয়া ( সোহাগ)।

নাহার প্লাজা, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০

ই-মেইল: [email protected]

ফোন: 01716197760

> রাজনীতি

নির্বাচনী অনিয়মে ইসিই শাস্তি দেবে তাৎক্ষণিক

আমার শহর ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮: ৫৭
logo

নির্বাচনী অনিয়মে ইসিই শাস্তি দেবে তাৎক্ষণিক

আমার শহর ডেস্ক

প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮: ৫৭
Photo

নির্বাচনী অনিয়মে যদি ভোটের দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু যেকোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজেই শাস্তি দিতে পারবে। এক্ষেত্রে বরখাস্ত থেকে শুরু করে জেল-জরিমানাও হতে পারে।

আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন- ১৯৯১ সংশোধনে ইসির দেওয়া এমন প্রস্তাব অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার, যা অধ্যাদেশ আকারে কার্যকর হবে।

আইনে নির্বাচন কর্মকর্তা বলতে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব বা কর্মে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি বা নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তি বা রিটার্নিং অফিসার বা ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদেরও (যেমন- প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার বা আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) বোঝানো হয়েছে।

এদিকে আইনে ধারা ৫ এর উপ-ধারাগুলো সংশোধন ও সংযোজন করে ইসিকে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আগে ভোটের অনিয়মে জড়িত থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ইসি শাস্তি দিতে পারত না। আগে ইসির কাছে অনিয়ম প্রমাণ হলে সংশ্লিষ্টর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করতে পারতো। এতে ইসি সুপারিশ বাস্তবায়নে কালক্ষেপণ করা হতো।

যেমন বিগত কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন গাইবান্ধা উপ-নির্বাচনে অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বললে সে সুপারিশ বাস্তবায়ন ঠিকমত হয়নি। তবে আইনের সংশোধন আসায় সে সুযোগ আর থাকল না। কেননা, ইসির প্রস্তাবের পর অন্য কোনো আইনে যাই থাকুক না কেন, এই আইনই প্রাধান্য পাবে।

ধারা পাঁচের আগের চারটি উপ-ধারা সংশোধন করা হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন করে তিনটি উপ-ধারা যুক্ত করা হয়েছে। উপধারা (১)- এ বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে কমিশন বা কমিশন কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা, ক্ষেত্রমতো, রিটার্নিং অফিসারের কোনো আদেশ বা নির্দেশ পালনে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যর্থ হলে বা অস্বীকৃতি প্রকাশ করলে বা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো আইনের বিধান ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন করলে বা এর অধীন কোনো অপরাধ করলে বা কর্তব্যে অবহেলা করলে তিনি অসদাচরণ করেছেন বলে গণ্য হবে এবং অসদাচরণ তার চাকরিবিধি অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ মর্মে বিবেচিত হবে।

উপধারা (২)-এ বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচন-কর্মকর্তা উপ-ধারা (১)-এ উল্লেখিত অসদাচরণ করলে তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরি থেকে অপসারণ বা বরখাস্ত করতে

পারবে বা বাধ্যতামূলক অবসর দিতে পারবে বা তার পদাবনতি করতে পারবে বা তার পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি অনধিক দুই বছরের জন্য স্থগিত রাখতে পারবে। তবে শর্ত হলো, ওই রকম কোনো শান্তি উপ-ধারা (১)-এ উল্লেখিত ব্যর্থতা, অস্বীকৃতি, লঙ্ঘন বা অপরাধের জন্য অন্য কোনো আইনে নির্ধারিত কোনো দণ্ড প্রদান বা তার জন্য কোনো আইনগত কার্যধারা নেওয়াকে ব্যাহত করবে না।

উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী, কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত অসদাচরণ করলে কমিশন বা কমিশনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা, ক্ষেত্রমতো, কমিশনের সম্মতিক্রমে রিটার্নিং অফিসার তাকে, তার বিরুদ্ধে তজ্জন্য তার চাকরিবিধি অনুযায়ী শৃঙ্খলামূলক কার্যধারা নেওয়া সাপেক্ষে, অনধিক দুই মাসের জন্য সাময়িকভাবে চাকরি থেকে বরখাস্তের আদেশ দিতে পারবেন এবং ওই বরখাস্তের আদেশ তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তার চাকরিবিধি অনুযায়ী প্রদত্ত হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং সে অনুযায়ী কার্যকর হবে।

উপ-ধারা (৪) অনুযায়ী, উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত অসদাচরণের জন্য কোনো নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক কার্যধারা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে

কমিশন বা কমিশন কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা, ক্ষেত্রমতো, কমিশনের সম্মতিক্রমে রিটার্নিং অফিসার ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব করলে ওই কর্তৃপক্ষ প্রস্তাব পাওয়ার এক মাসের মধ্যে ওই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করবে এবং সেই সম্পর্কে কমিশনকে জানাবে।

উপ-ধারা (৫)-এ বলা হয়েছে, উপ-ধারা (৪)-এ উল্লিখিত কমিশনের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে যে কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে, তা ওই কর্মকর্তা বা ব্যক্তির ব্যক্তিগত নথি, চাকরি বই এবং বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনে লিপিবদ্ধ ও ডোসিয়ারে অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং সেই সম্পর্কে কমিশনকে জানাতে হবে।

উপ-ধারা (৬) অনুযায়ী, সরকার এবং কমিশনের মধ্যে এই ধারার কোনো বিধান সম্পর্কে ভিন্নমত দেখা দিলে সে বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রাধান্য পাবে। উপ-ধারা (৭) অনুযায়ী, কমিশনের কাছে যদি প্রতীয়মান হয় যে, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী কর্তব্যে অবহেলা করেছেন, তাহলে ওই কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কমিশন প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

এদিকে আইনে ধারা ৬-এ সংশোধন এনে জেল-জরিমানা সংক্রান্ত শাস্তিও বাড়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে অনিয়মে জড়িতের বিরুদ্ধে কমিশনের দেওয়া শাস্তির প্রস্তাব বাস্তবায়ন না করলে সংশ্লিষ্টদেরও পাঁচ বছর জেল-জরিমানা হতে পারে।

আইনে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি নির্বাচন-কর্মকর্তা নিযুক্ত হলে, তিনি, কমিশন বা ক্ষেত্রমতো রিটার্নিং অফিসারের কাছে গ্রহণযোগ্য কোনো কারণ ছাড়া, দায়িত্ব নেওয়া বা পালনে অপারগতা বা অস্বীকৃতি জানাতে পারবেন না। এ ছাড়া কোনো ব্যক্তি নির্বাচন-কর্মকর্তা নিযুক্ত হলে তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাকে নির্বাচন-কর্মকর্তা হিসাবে কোনো দায়িত্ব পালনে বাধা দিতে পারবেন না। এই বিধান লঙ্ঘন করলে তা হবে একটি অপরাধ এবং এজন্য তিনি অনধিক এক বছর কারাদণ্ডে বা অনধিক এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।

এদিকে কমিশনের দেওয়ার প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি না মানলে তিনি অনধিক পাঁচ বছর এবং অন্যূন এক বছরের কারাদণ্ডে বা অনধিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।

২০২২ সালের ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচন সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করে ব্যাপক অনিয়ম দেখতে পেয়ে ৫০টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয় নির্বাচন কমিশন। একটি কেন্দ্র বন্ধ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। মোট ৫১টি কেন্দ্র দুপুরের মধ্যেই বন্ধ হওয়ায় নির্বাচনের যৌক্তিকতা না থাকায় পুরো নির্বাচন বন্ধ করে দেয় ইসি।

এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি ৬৮৫ জনের শুনানি করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ ১৩৩ জনের বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ পায়। এরপর সে বছর ১ ডিসেম্বর তাদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তির সুপারিশ করে এবং তা বাস্তবায়ন করে এক মাসের মধ্যে জানাতে বলে ইসি।

কিন্তু কোনো কর্তৃপক্ষই সে সুপারিশ বাস্তবায়ন চার মাসেও না করায় ২০২৩ সালের ৩০ মার্চ জেল-জরিমানার হুঁশিয়ারি দিয়ে ফের চিঠি দেয়। তারপরও সব কর্তৃপক্ষ দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই অবস্থায় নতুন আইনটি কার্যকর হলে সে সুযোগ আর থাকবে না।

Thumbnail image

নির্বাচনী অনিয়মে যদি ভোটের দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু যেকোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজেই শাস্তি দিতে পারবে। এক্ষেত্রে বরখাস্ত থেকে শুরু করে জেল-জরিমানাও হতে পারে।

আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন- ১৯৯১ সংশোধনে ইসির দেওয়া এমন প্রস্তাব অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার, যা অধ্যাদেশ আকারে কার্যকর হবে।

আইনে নির্বাচন কর্মকর্তা বলতে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব বা কর্মে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি বা নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তি বা রিটার্নিং অফিসার বা ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদেরও (যেমন- প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার বা আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) বোঝানো হয়েছে।

এদিকে আইনে ধারা ৫ এর উপ-ধারাগুলো সংশোধন ও সংযোজন করে ইসিকে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আগে ভোটের অনিয়মে জড়িত থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ইসি শাস্তি দিতে পারত না। আগে ইসির কাছে অনিয়ম প্রমাণ হলে সংশ্লিষ্টর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করতে পারতো। এতে ইসি সুপারিশ বাস্তবায়নে কালক্ষেপণ করা হতো।

যেমন বিগত কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন গাইবান্ধা উপ-নির্বাচনে অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বললে সে সুপারিশ বাস্তবায়ন ঠিকমত হয়নি। তবে আইনের সংশোধন আসায় সে সুযোগ আর থাকল না। কেননা, ইসির প্রস্তাবের পর অন্য কোনো আইনে যাই থাকুক না কেন, এই আইনই প্রাধান্য পাবে।

ধারা পাঁচের আগের চারটি উপ-ধারা সংশোধন করা হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন করে তিনটি উপ-ধারা যুক্ত করা হয়েছে। উপধারা (১)- এ বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে কমিশন বা কমিশন কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা, ক্ষেত্রমতো, রিটার্নিং অফিসারের কোনো আদেশ বা নির্দেশ পালনে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যর্থ হলে বা অস্বীকৃতি প্রকাশ করলে বা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো আইনের বিধান ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন করলে বা এর অধীন কোনো অপরাধ করলে বা কর্তব্যে অবহেলা করলে তিনি অসদাচরণ করেছেন বলে গণ্য হবে এবং অসদাচরণ তার চাকরিবিধি অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ মর্মে বিবেচিত হবে।

উপধারা (২)-এ বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচন-কর্মকর্তা উপ-ধারা (১)-এ উল্লেখিত অসদাচরণ করলে তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরি থেকে অপসারণ বা বরখাস্ত করতে

পারবে বা বাধ্যতামূলক অবসর দিতে পারবে বা তার পদাবনতি করতে পারবে বা তার পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি অনধিক দুই বছরের জন্য স্থগিত রাখতে পারবে। তবে শর্ত হলো, ওই রকম কোনো শান্তি উপ-ধারা (১)-এ উল্লেখিত ব্যর্থতা, অস্বীকৃতি, লঙ্ঘন বা অপরাধের জন্য অন্য কোনো আইনে নির্ধারিত কোনো দণ্ড প্রদান বা তার জন্য কোনো আইনগত কার্যধারা নেওয়াকে ব্যাহত করবে না।

উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী, কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত অসদাচরণ করলে কমিশন বা কমিশনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা, ক্ষেত্রমতো, কমিশনের সম্মতিক্রমে রিটার্নিং অফিসার তাকে, তার বিরুদ্ধে তজ্জন্য তার চাকরিবিধি অনুযায়ী শৃঙ্খলামূলক কার্যধারা নেওয়া সাপেক্ষে, অনধিক দুই মাসের জন্য সাময়িকভাবে চাকরি থেকে বরখাস্তের আদেশ দিতে পারবেন এবং ওই বরখাস্তের আদেশ তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তার চাকরিবিধি অনুযায়ী প্রদত্ত হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং সে অনুযায়ী কার্যকর হবে।

উপ-ধারা (৪) অনুযায়ী, উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত অসদাচরণের জন্য কোনো নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক কার্যধারা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে

কমিশন বা কমিশন কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা, ক্ষেত্রমতো, কমিশনের সম্মতিক্রমে রিটার্নিং অফিসার ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব করলে ওই কর্তৃপক্ষ প্রস্তাব পাওয়ার এক মাসের মধ্যে ওই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করবে এবং সেই সম্পর্কে কমিশনকে জানাবে।

উপ-ধারা (৫)-এ বলা হয়েছে, উপ-ধারা (৪)-এ উল্লিখিত কমিশনের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে যে কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে, তা ওই কর্মকর্তা বা ব্যক্তির ব্যক্তিগত নথি, চাকরি বই এবং বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনে লিপিবদ্ধ ও ডোসিয়ারে অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং সেই সম্পর্কে কমিশনকে জানাতে হবে।

উপ-ধারা (৬) অনুযায়ী, সরকার এবং কমিশনের মধ্যে এই ধারার কোনো বিধান সম্পর্কে ভিন্নমত দেখা দিলে সে বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রাধান্য পাবে। উপ-ধারা (৭) অনুযায়ী, কমিশনের কাছে যদি প্রতীয়মান হয় যে, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী কর্তব্যে অবহেলা করেছেন, তাহলে ওই কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কমিশন প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

এদিকে আইনে ধারা ৬-এ সংশোধন এনে জেল-জরিমানা সংক্রান্ত শাস্তিও বাড়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে অনিয়মে জড়িতের বিরুদ্ধে কমিশনের দেওয়া শাস্তির প্রস্তাব বাস্তবায়ন না করলে সংশ্লিষ্টদেরও পাঁচ বছর জেল-জরিমানা হতে পারে।

আইনে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি নির্বাচন-কর্মকর্তা নিযুক্ত হলে, তিনি, কমিশন বা ক্ষেত্রমতো রিটার্নিং অফিসারের কাছে গ্রহণযোগ্য কোনো কারণ ছাড়া, দায়িত্ব নেওয়া বা পালনে অপারগতা বা অস্বীকৃতি জানাতে পারবেন না। এ ছাড়া কোনো ব্যক্তি নির্বাচন-কর্মকর্তা নিযুক্ত হলে তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাকে নির্বাচন-কর্মকর্তা হিসাবে কোনো দায়িত্ব পালনে বাধা দিতে পারবেন না। এই বিধান লঙ্ঘন করলে তা হবে একটি অপরাধ এবং এজন্য তিনি অনধিক এক বছর কারাদণ্ডে বা অনধিক এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।

এদিকে কমিশনের দেওয়ার প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি না মানলে তিনি অনধিক পাঁচ বছর এবং অন্যূন এক বছরের কারাদণ্ডে বা অনধিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।

২০২২ সালের ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচন সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করে ব্যাপক অনিয়ম দেখতে পেয়ে ৫০টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয় নির্বাচন কমিশন। একটি কেন্দ্র বন্ধ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। মোট ৫১টি কেন্দ্র দুপুরের মধ্যেই বন্ধ হওয়ায় নির্বাচনের যৌক্তিকতা না থাকায় পুরো নির্বাচন বন্ধ করে দেয় ইসি।

এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি ৬৮৫ জনের শুনানি করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ ১৩৩ জনের বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ পায়। এরপর সে বছর ১ ডিসেম্বর তাদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তির সুপারিশ করে এবং তা বাস্তবায়ন করে এক মাসের মধ্যে জানাতে বলে ইসি।

কিন্তু কোনো কর্তৃপক্ষই সে সুপারিশ বাস্তবায়ন চার মাসেও না করায় ২০২৩ সালের ৩০ মার্চ জেল-জরিমানার হুঁশিয়ারি দিয়ে ফের চিঠি দেয়। তারপরও সব কর্তৃপক্ষ দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই অবস্থায় নতুন আইনটি কার্যকর হলে সে সুযোগ আর থাকবে না।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১

২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে ইসি

২

এনসিপি পাচ্ছে না শাপলা প্রতীক

৩

নির্বাচনে কাউকেই সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি: রিজভী

৪

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে, এ জন্য দেশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত: প্রধান উপদেষ্টা

৫

বিএনপির উদার দৃষ্টিভঙ্গি স্থিতিশীল বাংলাদেশ অর্জনে সহায়ক : মঈন খান

সম্পর্কিত

২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে ইসি

২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে ইসি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সুশীল সমাজ ও শিক্ষক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে অংশীজনের সঙ্গে এ সংলাপ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবলায়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

১২ ঘণ্টা আগে
এনসিপি পাচ্ছে না শাপলা প্রতীক

এনসিপি পাচ্ছে না শাপলা প্রতীক

১৪ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনে কাউকেই সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি: রিজভী

নির্বাচনে কাউকেই সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি: রিজভী

কোন নির্বাচনী এলাকায় কোন প্রার্থীকে গ্রিন সিগন্যল বা সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি। প্রত্যাশীদের মধ্যে দলীয় নানা কার্যক্রমে যার পারফরমেন্স ভালো তাকেই প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

১৫ ঘণ্টা আগে
ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে, এ জন্য দেশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত: প্রধান উপদেষ্টা

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে, এ জন্য দেশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে।

১৬ ঘণ্টা আগে