• কুমিল্লা সিটি করপোরেশন
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  • আদর্শ সদর
  • বরুড়া
  • লাকসাম
  • দাউদকান্দি
  • আরও
    • চৌদ্দগ্রাম
    • সদর দক্ষিণ
    • নাঙ্গলকোট
    • বুড়িচং
    • ব্রাহ্মণপাড়া
    • মনোহরগঞ্জ
    • লালমাই
    • চান্দিনা
    • মুরাদনগর
    • দেবীদ্বার
    • হোমনা
    • মেঘনা
    • তিতাস
  • সর্বশেষ
  • রাজনীতি
  • বাংলাদেশ
  • অপরাধ
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ইপেপার
  • ইপেপার
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার শহর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. গাজীউল হক ভূঁইয়া ( সোহাগ)।

নাহার প্লাজা, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০

ই-মেইল: [email protected]

ফোন: 01716197760

> রাজনীতি

যে কারণে ছাত্রশিবির ডাকসুতে জিতল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২: ৩০
logo

যে কারণে ছাত্রশিবির ডাকসুতে জিতল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২: ৩০
Photo

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) ভিপি, জিএস ও এজিএসসহ ২৩ টি পদেই ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত‘ ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের’ প্রার্থীরা বড় জয় পেয়েছে। হলগুলোতেও তাদের জয়জয়কার। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরের পর বছর ছাত্রশিবির প্রকাশ্যে রাজনীতি করতে পারেনি, সেখানে এমন জয় পুরো দেশবাসীকে নাড়া দিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের জয় এটা ভিন্ন মতের অনেকের কাছে এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না। ছাত্রশিবিরের প্যানেলের জয়ের নেপথ্যে কিছু সাংগঠনিক তৎপরতা ও দীর্ঘমেয়াদী কাজ ছিল। এতেই শিবির বড় ব্যবধানে বিজয়ী হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর শিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে কার্যক্রম শুরু করে। হলগুলোতে তারা প্রায় একক আধিপত্য তৈরি করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও তাদের নানাভাবে সাহায্য করে। তাদের কার্যক্রম ছিল গুছানো। আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগের স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব, শিবিরের নেতাদেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে দলে রাখা ও বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের অযোগ্য নেতৃত্বের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির জিতল বলে মনে করা হচ্ছে। ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের রাজনৈতিক ধরণ একই। নিজেরা কামড়াকামড়ি ও সহ অবস্থান নিশ্চিত করতে না পারায় স্বাধীনতার পর শিবির একতরফাই জিতল।

ছাত্রশিবিরের অন্তত তিনজন নেতার দাবি, ছাত্রশিবির নিজ নামে প্যানেল না দিয়ে ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের’ নামে প্যানেল দিয়ে সাধারণ ও নিরীহ ক্যারিশম্যাটিক কিছু ছেলে ও মেয়ের মধ্যে নেতৃত্ব জাগ্রত করেছে এই নির্বাচনে। ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ওরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিশে যায়। ওরা ভোটের প্রচারণা করে। এটিও ভোটের ক্ষেত্রে বড় ধরনের নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। এর মধ্যে রোকেয়া হলে ইসলামী ছাত্রীসংস্থা ও সাধারণ ছাত্রীরা মিলে ভোটের বড় ব্যবধান গড়ে তুলে। জামায়াতে ইসলাম ও ইসলামী ছাত্রশিবির ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সারাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জেলাভিত্তিক কাজ করে। ধাপে ধাপে সাংগঠনিক নেতৃত্ব ওরা তৈরি করে। আওয়ামী লীগের শাসনামলে ছাত্রলীগের ভেতরে শিবির অনুপ্রবেশ করে।

গত সোমবার বিকেলে মধুর ক্যান্টিনে একটি ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তাকে দেখা গেছে। শিবির পরিকল্পনা নিয়ে নির্বাচনী মাঠে ছিল। জামায়াত কেন্দ্রীয়ভাবে এই নির্বাচন মনিটরিং করেছে। তার ওপর দেশের ৪০ টির বেশি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াতের ভিসি, প্রোভিসি ও কোষাধ্যক্ষ আছে। তাঁরাও নির্বাচনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। শিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ আমলে রাজনীতি না করলে তাদের সাংগঠনিক তৎপরতা ছিল ভিন্ন ভাবে। ওই কারণে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছাকাছি যেতে পারছে। ওদের কর্মীরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছে। নির্বাচনে শিবির টাকাও খরচ করেছে। ছাত্রলীগের সমর্থক শিক্ষার্থীরা কেউ কেউ তলে তলে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটকে ভোট দিয়েছে। শিবিরের ভোটের চিত্র দেখে সহজে সেটা বুঝা গেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক আহসানুল কবীর বলেন, শিবির রাজনৈতিক কৌশল বদলে এই নির্বাচন করেছে। তা না হলে সবখানেই ওদের বিশাল জয় হতো না।

Thumbnail image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) ভিপি, জিএস ও এজিএসসহ ২৩ টি পদেই ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত‘ ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের’ প্রার্থীরা বড় জয় পেয়েছে। হলগুলোতেও তাদের জয়জয়কার। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরের পর বছর ছাত্রশিবির প্রকাশ্যে রাজনীতি করতে পারেনি, সেখানে এমন জয় পুরো দেশবাসীকে নাড়া দিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের জয় এটা ভিন্ন মতের অনেকের কাছে এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না। ছাত্রশিবিরের প্যানেলের জয়ের নেপথ্যে কিছু সাংগঠনিক তৎপরতা ও দীর্ঘমেয়াদী কাজ ছিল। এতেই শিবির বড় ব্যবধানে বিজয়ী হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর শিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে কার্যক্রম শুরু করে। হলগুলোতে তারা প্রায় একক আধিপত্য তৈরি করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও তাদের নানাভাবে সাহায্য করে। তাদের কার্যক্রম ছিল গুছানো। আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগের স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব, শিবিরের নেতাদেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে দলে রাখা ও বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের অযোগ্য নেতৃত্বের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির জিতল বলে মনে করা হচ্ছে। ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের রাজনৈতিক ধরণ একই। নিজেরা কামড়াকামড়ি ও সহ অবস্থান নিশ্চিত করতে না পারায় স্বাধীনতার পর শিবির একতরফাই জিতল।

ছাত্রশিবিরের অন্তত তিনজন নেতার দাবি, ছাত্রশিবির নিজ নামে প্যানেল না দিয়ে ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের’ নামে প্যানেল দিয়ে সাধারণ ও নিরীহ ক্যারিশম্যাটিক কিছু ছেলে ও মেয়ের মধ্যে নেতৃত্ব জাগ্রত করেছে এই নির্বাচনে। ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ওরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিশে যায়। ওরা ভোটের প্রচারণা করে। এটিও ভোটের ক্ষেত্রে বড় ধরনের নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। এর মধ্যে রোকেয়া হলে ইসলামী ছাত্রীসংস্থা ও সাধারণ ছাত্রীরা মিলে ভোটের বড় ব্যবধান গড়ে তুলে। জামায়াতে ইসলাম ও ইসলামী ছাত্রশিবির ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সারাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জেলাভিত্তিক কাজ করে। ধাপে ধাপে সাংগঠনিক নেতৃত্ব ওরা তৈরি করে। আওয়ামী লীগের শাসনামলে ছাত্রলীগের ভেতরে শিবির অনুপ্রবেশ করে।

গত সোমবার বিকেলে মধুর ক্যান্টিনে একটি ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তাকে দেখা গেছে। শিবির পরিকল্পনা নিয়ে নির্বাচনী মাঠে ছিল। জামায়াত কেন্দ্রীয়ভাবে এই নির্বাচন মনিটরিং করেছে। তার ওপর দেশের ৪০ টির বেশি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াতের ভিসি, প্রোভিসি ও কোষাধ্যক্ষ আছে। তাঁরাও নির্বাচনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। শিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ আমলে রাজনীতি না করলে তাদের সাংগঠনিক তৎপরতা ছিল ভিন্ন ভাবে। ওই কারণে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছাকাছি যেতে পারছে। ওদের কর্মীরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছে। নির্বাচনে শিবির টাকাও খরচ করেছে। ছাত্রলীগের সমর্থক শিক্ষার্থীরা কেউ কেউ তলে তলে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটকে ভোট দিয়েছে। শিবিরের ভোটের চিত্র দেখে সহজে সেটা বুঝা গেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক আহসানুল কবীর বলেন, শিবির রাজনৈতিক কৌশল বদলে এই নির্বাচন করেছে। তা না হলে সবখানেই ওদের বিশাল জয় হতো না।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১

২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে ইসি

২

এনসিপি পাচ্ছে না শাপলা প্রতীক

৩

নির্বাচনে কাউকেই সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি: রিজভী

৪

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে, এ জন্য দেশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত: প্রধান উপদেষ্টা

৫

বিএনপির উদার দৃষ্টিভঙ্গি স্থিতিশীল বাংলাদেশ অর্জনে সহায়ক : মঈন খান

সম্পর্কিত

২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে ইসি

২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে ইসি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সুশীল সমাজ ও শিক্ষক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে অংশীজনের সঙ্গে এ সংলাপ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবলায়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

১৪ ঘণ্টা আগে
এনসিপি পাচ্ছে না শাপলা প্রতীক

এনসিপি পাচ্ছে না শাপলা প্রতীক

১৭ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনে কাউকেই সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি: রিজভী

নির্বাচনে কাউকেই সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি: রিজভী

কোন নির্বাচনী এলাকায় কোন প্রার্থীকে গ্রিন সিগন্যল বা সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি। প্রত্যাশীদের মধ্যে দলীয় নানা কার্যক্রমে যার পারফরমেন্স ভালো তাকেই প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

১৭ ঘণ্টা আগে
ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে, এ জন্য দেশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত: প্রধান উপদেষ্টা

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে, এ জন্য দেশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে।

১৮ ঘণ্টা আগে