নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানবিক কুমিল্লা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন করে সংগঠনটির সদস্য ও সাধারণ মানুষ। পরে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে সেবার মানোন্নয়ন এবং ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে উন্নীত করার দাবিতে জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার ও সিভিল সার্জন আলী নূর মোহাম্মদ বশীর আহমেদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মানবিক কুমিল্লার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, ড্যাব কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি ডা. মিনহাজুর রহমান তারেক, চৌয়ারা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের আইসিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. নাসির উদ্দিন সুমন ও কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক ভিপি আবদুল্লাহ আল মামুনসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও বিএনপির নেতাকর্মীরা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, আমি উদবাতুল বারী আবু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানবিক কুমিল্লার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। গত কয়েকমাস যাবৎ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকার অন্তত ১৫ টি ওয়ার্ডে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছি। এতে অন্তত নগরের ৬০ হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পেয়েছেন। আরও ১২ টি ওয়ার্ডে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করা হবে। এইসব ক্যাম্প করতে গিয়ে গত কয়েকমাসে আমার একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেটি হল কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকার একমাত্র সরকারি হাসপাতাল হল কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল, যা সদর হাসপাতাল নামে সবার কাছে পরিচিত।
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, এ হাসপাতালে পর্যাপ্ত সংখ্যক শয্যা নেই। যন্ত্রপাতিও কম। গরিব শ্রমিক মেহনতি মানুষ যন্ত্রপাতির অভাবে এ হাসপাতালে পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে পারছে না। কুমিল্লা নগরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই হাসপাতালে অসংখ্য রোগী আসেন। কিন্তু তাঁদের নানা অজুহাতে এই হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ফলে এখান থেকে যানজট মাড়িয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীকে যেতে বেগ পেতে হয়। অনেকে প্রত্যাশিত সেবা না পেয়ে পথেই মারা যান। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দ্রুত এই হাসপাতালে শয্যা বাড়ানোর জোর দাবি জানাচ্ছে মানবিক কুমিল্লা। একই সঙ্গে অবকাঠামো বৃদ্ধি, চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় অন্তত ১২ লাখ লোকের বসবাস। নগরবাসীর প্রত্যাশিত সেবা দেওয়ার আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। চিকিৎসাসেবা আমার অধিকার। আমরা চাই এই হাসপাতাল সার্বক্ষণিক পরিচ্ছন্ন থাকুক। এখানে সার্বক্ষণিক আইসিইউ, সিসিইউ ও এনআইসিইউ চালু রাখতে হবে। দালাল চক্র নির্মূল করতে হবে। অভিজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে সেবার মান বাড়াতে হবে। রোগীদের খাবারের মান বাড়াতে হবে। রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ওষুধ সরবরাহ বৃদ্ধি ও জরুরি সেবা বাড়াতে হবে। অন্তত ২৫০ শয্যার হাসপাতাল বানাতে হবে।
প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।
কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানবিক কুমিল্লা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন করে সংগঠনটির সদস্য ও সাধারণ মানুষ। পরে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে সেবার মানোন্নয়ন এবং ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে উন্নীত করার দাবিতে জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার ও সিভিল সার্জন আলী নূর মোহাম্মদ বশীর আহমেদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মানবিক কুমিল্লার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, ড্যাব কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি ডা. মিনহাজুর রহমান তারেক, চৌয়ারা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের আইসিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. নাসির উদ্দিন সুমন ও কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক ভিপি আবদুল্লাহ আল মামুনসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও বিএনপির নেতাকর্মীরা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, আমি উদবাতুল বারী আবু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানবিক কুমিল্লার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। গত কয়েকমাস যাবৎ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকার অন্তত ১৫ টি ওয়ার্ডে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছি। এতে অন্তত নগরের ৬০ হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পেয়েছেন। আরও ১২ টি ওয়ার্ডে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করা হবে। এইসব ক্যাম্প করতে গিয়ে গত কয়েকমাসে আমার একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেটি হল কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকার একমাত্র সরকারি হাসপাতাল হল কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল, যা সদর হাসপাতাল নামে সবার কাছে পরিচিত।
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, এ হাসপাতালে পর্যাপ্ত সংখ্যক শয্যা নেই। যন্ত্রপাতিও কম। গরিব শ্রমিক মেহনতি মানুষ যন্ত্রপাতির অভাবে এ হাসপাতালে পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে পারছে না। কুমিল্লা নগরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই হাসপাতালে অসংখ্য রোগী আসেন। কিন্তু তাঁদের নানা অজুহাতে এই হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ফলে এখান থেকে যানজট মাড়িয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীকে যেতে বেগ পেতে হয়। অনেকে প্রত্যাশিত সেবা না পেয়ে পথেই মারা যান। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দ্রুত এই হাসপাতালে শয্যা বাড়ানোর জোর দাবি জানাচ্ছে মানবিক কুমিল্লা। একই সঙ্গে অবকাঠামো বৃদ্ধি, চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় অন্তত ১২ লাখ লোকের বসবাস। নগরবাসীর প্রত্যাশিত সেবা দেওয়ার আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। চিকিৎসাসেবা আমার অধিকার। আমরা চাই এই হাসপাতাল সার্বক্ষণিক পরিচ্ছন্ন থাকুক। এখানে সার্বক্ষণিক আইসিইউ, সিসিইউ ও এনআইসিইউ চালু রাখতে হবে। দালাল চক্র নির্মূল করতে হবে। অভিজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে সেবার মান বাড়াতে হবে। রোগীদের খাবারের মান বাড়াতে হবে। রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ওষুধ সরবরাহ বৃদ্ধি ও জরুরি সেবা বাড়াতে হবে। অন্তত ২৫০ শয্যার হাসপাতাল বানাতে হবে।
প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।