কুমিল্লায় এসেছে ৩০০ করোনা কিট

নিজস্ব প্রতিবেদক
Thumbnail image

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব সৃষ্টির পর জুন মাসে কুমিল্লায় ১৯ জনের পরীক্ষার পর চারজন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তাঁদের কেউই স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত নন। গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লায় ছয়জনের পরীক্ষা করে কারও শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। এদিকে গতকাল জেলায় ৩০০ করোনার কিট এসেছে।

কুমিল্লার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরীক্ষার কিট জেলার কোনো সরকারি হাসপাতালে ছিল না। যে কারণে সরকারিভাবে পরীক্ষার সুযোগ ছিল না। গতকাল সোমবার কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ৩০০ কিট আসে। ৩০০ কিট আসায় আপাতত স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। কর্মকর্তারা বলছেন যে পরিমাণ রোগী করোনা পরীক্ষা করছেন, তাতে তা আপাতত চলবে। কিন্তু করোনার প্রকোপ বাড়লেও কিটও বাড়াতে হবে।

কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. আলী নুর মোহাম্মদ বশীর আহমেদ বলেন, সোমবার ৩০০ কিট এসেছে। আমরা ২০০ কিট কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে রাখব। আর ১০০ কিট বিভিন্ন উপজেলায় দেব। কিট আমাদের যা দিয়েছে তা দিয়েই আমরা কাজ করছি। এখনও ব্যাপকভাবে আমাদের কিটের প্রয়োজন নেই। তবে ধাপে ধাপে চাহিদার সাথে জোগানও বাড়বে। কুমিল্লার সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে রোগী শনাক্তের জন্য কিট পাওয়া যাচ্ছে। যদি কোনো রোগী আক্রান্ত হন, তাঁরা জানালে আমরা হেড অফিসে ওই তথ্য পাঠিয়ে দিই।

গত ১০ জুন কুমিল্লায় করোনায় আক্রান্ত হন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বঙ্গপুষ্করণীর আব্দুল মতিন (৭০), ১২ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উজিরদিঘির পার এলাকার সানজিদা আক্তার (৩০) ও কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মো. হেলাল আহমেদ (৩৮) এবং সবশেষ গত শুক্রবার আক্রান্ত হয়েছেন আদর্শ সদর উপজেলার আলেখারচর এলাকার মো. ইবনে জুবায়ের (৩৯)। এরপর থেকেই কুমিল্লায় করোনার সতর্কতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

এদিকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে স্বাস্থ্যবিধির নতুন নির্দেশনা দিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ। গত শনিবার কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাসার ভূঁঞা সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সবাইকে ক্যাম্পাসে ঢোকার সময় সঠিকভাবে নাক ও মুখ ঢেকে মাস্ক পরিধান করতে হবে। নির্দিষ্ট সময় পরপর সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া শ্রেণিকক্ষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু বা রুমাল ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিনে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, জ্বর, সর্দি কাসি বা করোনার উপসর্গ দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কলেজে না এসে বাসায় থাকতে এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কলেজ চত্বরে অপ্রয়োজনীয় ভিড় ও জটলা পরিহার করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সম্পর্কিত