দরপত্র আহ্বান করেছে সিটি করপোরেশন
নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা নগরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ধর্মসাগরদিঘির চারপাড়ে হাঁটার রাস্তা করছে সিটি করপোরেশন। এতে করে ধর্মসাগরের আয়তন ছোট হয়ে যাবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ধর্মসাগরে পানির বোতলসহ নানা ধরনের বর্জ্য ফেলে দূষণ হবে। এমনকি দখলের আশঙ্কাও আছে। বাড়বে নানা ধরনের সামাজিক অপরাধও। বর্তমানে দরপত্র কেনাবেচা চলছে।
১৪৫৮ সালে ত্রিপুরার রাজা ধর্ম মাণিক্য এই দিঘি খনন করেন। এই দিঘির আয়তন ২৩ দশমিক ১৮ একর। এই দিঘির দৈর্ঘ্য ৩৭৫ দশমিক ৪৬ মিটার ও প্রস্থ ২৩৭ দশমিক ৪২ মিটার। ৬০০ বছর আগ থেকে মানুষ এই দিঘি ব্যবহার করছে। ধর্মমাণিক্যের নামানুসারে এই দিঘির নামকরণ করা হয় ধর্মসাগর দিঘি। এই দিঘির পশ্চিমপাড়ে হাঁটার পথ। দক্ষিণ পাড়ে ব্যক্তিমালিকানাধীন স্থাপনা ও জায়গা। পূর্বপাড়ে কুমিল্লা জিলা স্কুল, ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। উত্তরপাড়ে গুলবাগিচা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় , কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, রাণীরকুটির। উত্তরপাড়ে নগর উদ্যানে হাঁটার ও পার্কেও ব্যবস্থা আছে। ধর্মসাগরদিঘির দুইপাড়ে হাঁটার ব্যবস্থা আছে।
নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, ১৩ বছর আগে ধর্মসাগর দিঘির চারপাড় ঘিরে ওয়াকওয়ে ( হাঁটার রাস্তা) তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ নিয়ে সমীক্ষা হয়। অবশেষে গত ৪ আগস্ট দাতা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ধর্মসাগর সিটি পার্কের উন্নয়ন কাজের দরপত্র আহবান করা হয়। আগামী ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দরপত্র বিক্রি করা হবে। ৩ সেপ্টেম্বর দরপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবু সায়েম ভূঁইয়া বলেন, ধর্মসাগরপাড়ে ওয়াকওয়ে হবে, জাইকার অর্থায়নে। এখন দরপত্র বিক্রি চলছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুমিল্লা অঞ্চলের উপদেষ্টা ও সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এটি হলে ধর্মসাগর দিঘি সংকুচিত হবে। দিঘির দূষণ হবে। দখল, দূষণ ও জায়গা নষ্ট না করে ধর্মসাগর নিয়ে প্রকল্প হলে খারাপ হবে না।
তবে কুমিল্লা নগরের বাসিন্দা যাঁরা নগরের ধর্মসাগরপাড়ে নিয়মিত হাঁটেন তাঁরা বলেন, ওয়াকওয়ে হলে ধর্মসাগর তার রূপ হারাবে। এখনই তো সুন্দর। পূর্ব ও দক্ষিণ পাড়ের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে।
কুমিল্লা নগরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ধর্মসাগরদিঘির চারপাড়ে হাঁটার রাস্তা করছে সিটি করপোরেশন। এতে করে ধর্মসাগরের আয়তন ছোট হয়ে যাবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ধর্মসাগরে পানির বোতলসহ নানা ধরনের বর্জ্য ফেলে দূষণ হবে। এমনকি দখলের আশঙ্কাও আছে। বাড়বে নানা ধরনের সামাজিক অপরাধও। বর্তমানে দরপত্র কেনাবেচা চলছে।
১৪৫৮ সালে ত্রিপুরার রাজা ধর্ম মাণিক্য এই দিঘি খনন করেন। এই দিঘির আয়তন ২৩ দশমিক ১৮ একর। এই দিঘির দৈর্ঘ্য ৩৭৫ দশমিক ৪৬ মিটার ও প্রস্থ ২৩৭ দশমিক ৪২ মিটার। ৬০০ বছর আগ থেকে মানুষ এই দিঘি ব্যবহার করছে। ধর্মমাণিক্যের নামানুসারে এই দিঘির নামকরণ করা হয় ধর্মসাগর দিঘি। এই দিঘির পশ্চিমপাড়ে হাঁটার পথ। দক্ষিণ পাড়ে ব্যক্তিমালিকানাধীন স্থাপনা ও জায়গা। পূর্বপাড়ে কুমিল্লা জিলা স্কুল, ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। উত্তরপাড়ে গুলবাগিচা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় , কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, রাণীরকুটির। উত্তরপাড়ে নগর উদ্যানে হাঁটার ও পার্কেও ব্যবস্থা আছে। ধর্মসাগরদিঘির দুইপাড়ে হাঁটার ব্যবস্থা আছে।
নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, ১৩ বছর আগে ধর্মসাগর দিঘির চারপাড় ঘিরে ওয়াকওয়ে ( হাঁটার রাস্তা) তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ নিয়ে সমীক্ষা হয়। অবশেষে গত ৪ আগস্ট দাতা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ধর্মসাগর সিটি পার্কের উন্নয়ন কাজের দরপত্র আহবান করা হয়। আগামী ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দরপত্র বিক্রি করা হবে। ৩ সেপ্টেম্বর দরপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবু সায়েম ভূঁইয়া বলেন, ধর্মসাগরপাড়ে ওয়াকওয়ে হবে, জাইকার অর্থায়নে। এখন দরপত্র বিক্রি চলছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুমিল্লা অঞ্চলের উপদেষ্টা ও সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এটি হলে ধর্মসাগর দিঘি সংকুচিত হবে। দিঘির দূষণ হবে। দখল, দূষণ ও জায়গা নষ্ট না করে ধর্মসাগর নিয়ে প্রকল্প হলে খারাপ হবে না।
তবে কুমিল্লা নগরের বাসিন্দা যাঁরা নগরের ধর্মসাগরপাড়ে নিয়মিত হাঁটেন তাঁরা বলেন, ওয়াকওয়ে হলে ধর্মসাগর তার রূপ হারাবে। এখনই তো সুন্দর। পূর্ব ও দক্ষিণ পাড়ের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে।