আবদুল্লাহ আল মারুফ
কুমিল্লার কারাগারে মাত্র ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে একজনের জেল খাটছেন অন্যজন। গত আগস্ট মাসে ঘটনাটি ঘটলেও তা সামনে আসে সেপ্টেম্বরে। এ ঘটনায় কুমিল্লা কারাগার ও আদালতপাড়ায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১১ সালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার একটি মামলায় কক্সবাজারের টেকনাফের নাইট্যমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রহমানের ছেলে জোবাইদ পুতিয়ার ঠাঁই হয় কুমিল্লা কারাগারে। ওই বছরের ৯ আগস্ট থেকে ২০১২ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল খাটেন তিনি। এরপর জামিনে মুক্ত হন। ২০১৮ সালে মামলাটি দায়রা আদালতের নথিভুক্ত হয়। এরপর চলতি বছরের ১২ আগস্ট কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী এএইচএম আবাদের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেন জোবাইদ পুতিয়া পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি। নিয়ম অনুযায়ী আসামিকে আনা হয় কারাগারেও। কিন্তু বিপত্তি বাধে পরদিনই। কারাগারে কয়েদির তালিকায় নেই জোবাইদ পুতিয়া, যিনি জেল খাটছেন তার নাম নুর মোহাম্মদ!
কারাগার ও আদালতের নথিপত্র বলছে, নূর মোহাম্মদ টেকনাফের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফকির আহাম্মদের ছেলে। প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে একরাতে পরিচয় পাল্টে নুর মোহাম্মদ হলেন জোবাইদ পুতিয়া? কেনই-বা অন্যের সাজা খাটছেন নুর মোহাম্মদ?
কুমিল্লা কারাগার ও আদালতের একাধিক সূত্র বলছে, নূর মোহাম্মদ এই সাজার বিনিময়ে নিয়েছেন ৩০ হাজার টাকা। তাঁকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, জেলে যাওয়ার তিন দিনের মধ্যেই নিয়ে যাওয়া হবে কারাগার থেকে।
এই ঘটনায় কারাগারে আসা নুর মোহাম্মদের আইনজীবী বলেন, আমি ওই আসামিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। সে আমাকে বলেছিল সে জুবাইদ পুতিয়া। আমি এর আগে তাকে দেখিনি। আইডিকার্ড চেয়েছিলাম। সে বলেছে সে প্রবাস থেকে এসেছে, তার কাছে আইডিকার্ড তাৎক্ষণিক ছিল না। পরে দেবে। কিন্তু ঘটনা পরে শুনে তো আমিই অবাক। আমার দীর্ঘ আইনজীবী ক্যারিয়ার ধ্বংস করেছে এই ঘটনা। তবে আমার কাছে এই আসামি নিয়ে এসেছিল সহকারী শ্রীমন্ত।
অ্যাডভোকেট আবাদের সহকারী শ্রীমান্তের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আদালত ভুল বুঝছে। তাদের নাকি নামে ভুল ছিল। এ সময় শ্রীমন্ত সুমন নামের আরও একজনের কথা বলেন। সুমন এই মামলার কথা তাকে বলেছে বলে জানান তিনি।
এই রিপোর্টারকে সুমন নামের ওই ব্যক্তি বলেন, ২০১৮ সালের দিকে আমি কারাগারে ছিলাম। ওই সময় আমার সঙ্গে টেকনাফের এক লোকের পরিচয় হয়। তিনি আমাকে জুবাইদ পুতিয়ার জন্য আইনজীবী খুঁজে দেন। তবে ওই ব্যক্তির বিষয়ে তেমন কিছু জানাননি সুমন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর পিপি বদিউল আলম সুজন বলেন, কারাগারের মধ্যেই এমন আয়নাবাজি চলতে থাকলে অপরাধের মাত্রা কমার বদলে বেড়ে যাবে। আমরা চাই যারাই এ ঘটনার সাথে জড়িত তারা যেন আরও সতর্ক হয়।
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেলা সুপার হালিমা আক্তার বলেন, আমরা ঘটনাটি ১৪ আগস্ট জেনেই কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এই বিষয়টি আদালতকেও জানিয়েছি। এখন আদালতের বিষয় আমি আর কিছু বলতে চাই না।
কুমিল্লার কারাগারে মাত্র ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে একজনের জেল খাটছেন অন্যজন। গত আগস্ট মাসে ঘটনাটি ঘটলেও তা সামনে আসে সেপ্টেম্বরে। এ ঘটনায় কুমিল্লা কারাগার ও আদালতপাড়ায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১১ সালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার একটি মামলায় কক্সবাজারের টেকনাফের নাইট্যমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রহমানের ছেলে জোবাইদ পুতিয়ার ঠাঁই হয় কুমিল্লা কারাগারে। ওই বছরের ৯ আগস্ট থেকে ২০১২ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল খাটেন তিনি। এরপর জামিনে মুক্ত হন। ২০১৮ সালে মামলাটি দায়রা আদালতের নথিভুক্ত হয়। এরপর চলতি বছরের ১২ আগস্ট কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী এএইচএম আবাদের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেন জোবাইদ পুতিয়া পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি। নিয়ম অনুযায়ী আসামিকে আনা হয় কারাগারেও। কিন্তু বিপত্তি বাধে পরদিনই। কারাগারে কয়েদির তালিকায় নেই জোবাইদ পুতিয়া, যিনি জেল খাটছেন তার নাম নুর মোহাম্মদ!
কারাগার ও আদালতের নথিপত্র বলছে, নূর মোহাম্মদ টেকনাফের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফকির আহাম্মদের ছেলে। প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে একরাতে পরিচয় পাল্টে নুর মোহাম্মদ হলেন জোবাইদ পুতিয়া? কেনই-বা অন্যের সাজা খাটছেন নুর মোহাম্মদ?
কুমিল্লা কারাগার ও আদালতের একাধিক সূত্র বলছে, নূর মোহাম্মদ এই সাজার বিনিময়ে নিয়েছেন ৩০ হাজার টাকা। তাঁকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, জেলে যাওয়ার তিন দিনের মধ্যেই নিয়ে যাওয়া হবে কারাগার থেকে।
এই ঘটনায় কারাগারে আসা নুর মোহাম্মদের আইনজীবী বলেন, আমি ওই আসামিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। সে আমাকে বলেছিল সে জুবাইদ পুতিয়া। আমি এর আগে তাকে দেখিনি। আইডিকার্ড চেয়েছিলাম। সে বলেছে সে প্রবাস থেকে এসেছে, তার কাছে আইডিকার্ড তাৎক্ষণিক ছিল না। পরে দেবে। কিন্তু ঘটনা পরে শুনে তো আমিই অবাক। আমার দীর্ঘ আইনজীবী ক্যারিয়ার ধ্বংস করেছে এই ঘটনা। তবে আমার কাছে এই আসামি নিয়ে এসেছিল সহকারী শ্রীমন্ত।
অ্যাডভোকেট আবাদের সহকারী শ্রীমান্তের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আদালত ভুল বুঝছে। তাদের নাকি নামে ভুল ছিল। এ সময় শ্রীমন্ত সুমন নামের আরও একজনের কথা বলেন। সুমন এই মামলার কথা তাকে বলেছে বলে জানান তিনি।
এই রিপোর্টারকে সুমন নামের ওই ব্যক্তি বলেন, ২০১৮ সালের দিকে আমি কারাগারে ছিলাম। ওই সময় আমার সঙ্গে টেকনাফের এক লোকের পরিচয় হয়। তিনি আমাকে জুবাইদ পুতিয়ার জন্য আইনজীবী খুঁজে দেন। তবে ওই ব্যক্তির বিষয়ে তেমন কিছু জানাননি সুমন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর পিপি বদিউল আলম সুজন বলেন, কারাগারের মধ্যেই এমন আয়নাবাজি চলতে থাকলে অপরাধের মাত্রা কমার বদলে বেড়ে যাবে। আমরা চাই যারাই এ ঘটনার সাথে জড়িত তারা যেন আরও সতর্ক হয়।
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেলা সুপার হালিমা আক্তার বলেন, আমরা ঘটনাটি ১৪ আগস্ট জেনেই কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এই বিষয়টি আদালতকেও জানিয়েছি। এখন আদালতের বিষয় আমি আর কিছু বলতে চাই না।