কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদল
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে একসঙ্গে দেখা যায় না
নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের ১৩ সদস্যের আংশিক কমিটি গত ১৫ মে অনুমোদন দেওয়া হয়। তখন বলা হয়েছিল, একমাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে কেন্দ্রে জমা দিতে হবে। কিন্তু কেন্দ্রের বেধে দেওয়া নির্ধারিত সময়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারেনি বর্তমান নেতৃত্ব। ১৫ জুনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে কেন্দ্রে জমা দেওয়ার কথা ছিল।
দলীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ রানা ও সাধারণ সম্পাদক ফায়াজ রশিদ প্রিমু দুইজন মহানগর বিএনপির দুইনেতার অনুসারী। দুইজনকে একসঙ্গে দেখা যায় না কোনো কর্মসূচিতে। আলাদা করে তাঁরা কর্মসূচি করেন। ওই কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হচ্ছে না।
কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের কমিটিতে আছেন সভাপতি নাহিদ রানা, সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালাম, সহসভাপতি শাহাব উদ্দিন ভূঁইয়া হাসিব, তারেক আজিম ভূঁইয়া রাজন ও শরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফায়াজ রশিদ প্রিমু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরমানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন উল আজিম কাফি, আহসানুল রাব্বি, ওসাম রহমান, ফারদিন মজুমদার ও রকিবুল ইসলাম বাবু ,সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন।
পদপ্রত্যাশী ও দলীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, মহানগর কমিটির সভাপতি নাহিদ রানা কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপুর অনুসারী। মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফায়াজ রশিদ প্রিমু মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবুর অনুসারী। মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একসঙ্গে বসতে পারছেন না। তাই পূর্ণাঙ্গ কমিটি হচ্ছে না।
মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ রানা বলেন, কমিটি গঠন করতে চাই। কিন্তু সাধারণ সম্পাদকসহ সবাই বসতে পারছি না।
সাধারণ সম্পাদক ফায়াজ রশিদ প্রিমু বলেন, মহানগর কমিটি নিয়ে দলের ত্যাগী নেতারা ক্ষুব্ধ। আমরা ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের দিয়ে কমিটি করতে চাই। যাঁরা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন, তাঁদের আনতে চাই। এ জন্য দেরি হচ্ছে।
স্থগিতের পর স্থবির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের কমিটি
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক সংসদ সদস্য জাকারিয়া তাহের সুমন ও সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিমকে না জানিয়ে দলের পরীক্ষিত ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে এক তরফা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের ছয় সদস্যের কমিটি ঘোষণার ১৯ দিনের মধ্যে সেটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। ৪ জুন ওই কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর থেকে স্থবির জেলা কমিটির কার্যক্রম।
এর আগে গত ১৫ মে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির স্বাক্ষরিত এই কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটি ঘোষণার পর পদবঞ্চিত নেতাদের আন্দোলন, দলীয় কার্যালয়ে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণ হয় একতরফা কমিটি ঘিরে। দলীয় কার্যালয়ে নাশকতা করায় এ নিয়ে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু মামলা করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ মে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির স্বাক্ষরিত এই কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের ছয় সদস্যের কমিটিতে আছেন সভাপতি কাজী জোবায়ের আলম জিলানী, সিনিয়র সহসভাপতি সোলেমান মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক ধীমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজমীর হোসেন শরীফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন রবিন।
কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বেশির ভাগই বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য আমিন উর রশিদ ইয়াছিন ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপুর অনুসারী। এর আগে স্বেচ্ছাসেবক দলে ইয়াছিন ও টিপুর অনুসারীরাই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে স্থান পেয়েছিলেন। এ নিয়ে কুমিল্লায় বিএনপির বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির বর্তমান নেতৃত্ব ছাত্রদলের কমিটি গঠনের বিষয়টি জানতো না। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ না করতে একতরফা কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে দলের মধ্যে বিভাজন দেখা দেয়। রাজপথে বিক্ষোভ হয়। দলীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়। পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে কমিটি স্থগিত করা হয়।
স্থগিত কমিটির সভাপতি কাজী জোবায়ের আলম জিলানী বলেন, কমিটির কার্যক্রম স্থগিত। কিন্তু আমরা দলীয় অন্যান্য কাজ করছি।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের কমিটি স্থগিত আছে।
কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের ১৩ সদস্যের আংশিক কমিটি গত ১৫ মে অনুমোদন দেওয়া হয়। তখন বলা হয়েছিল, একমাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে কেন্দ্রে জমা দিতে হবে। কিন্তু কেন্দ্রের বেধে দেওয়া নির্ধারিত সময়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারেনি বর্তমান নেতৃত্ব। ১৫ জুনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে কেন্দ্রে জমা দেওয়ার কথা ছিল।
দলীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ রানা ও সাধারণ সম্পাদক ফায়াজ রশিদ প্রিমু দুইজন মহানগর বিএনপির দুইনেতার অনুসারী। দুইজনকে একসঙ্গে দেখা যায় না কোনো কর্মসূচিতে। আলাদা করে তাঁরা কর্মসূচি করেন। ওই কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হচ্ছে না।
কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের কমিটিতে আছেন সভাপতি নাহিদ রানা, সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালাম, সহসভাপতি শাহাব উদ্দিন ভূঁইয়া হাসিব, তারেক আজিম ভূঁইয়া রাজন ও শরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফায়াজ রশিদ প্রিমু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরমানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন উল আজিম কাফি, আহসানুল রাব্বি, ওসাম রহমান, ফারদিন মজুমদার ও রকিবুল ইসলাম বাবু ,সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন।
পদপ্রত্যাশী ও দলীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, মহানগর কমিটির সভাপতি নাহিদ রানা কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপুর অনুসারী। মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফায়াজ রশিদ প্রিমু মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবুর অনুসারী। মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একসঙ্গে বসতে পারছেন না। তাই পূর্ণাঙ্গ কমিটি হচ্ছে না।
মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ রানা বলেন, কমিটি গঠন করতে চাই। কিন্তু সাধারণ সম্পাদকসহ সবাই বসতে পারছি না।
সাধারণ সম্পাদক ফায়াজ রশিদ প্রিমু বলেন, মহানগর কমিটি নিয়ে দলের ত্যাগী নেতারা ক্ষুব্ধ। আমরা ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের দিয়ে কমিটি করতে চাই। যাঁরা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন, তাঁদের আনতে চাই। এ জন্য দেরি হচ্ছে।
স্থগিতের পর স্থবির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের কমিটি
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক সংসদ সদস্য জাকারিয়া তাহের সুমন ও সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিমকে না জানিয়ে দলের পরীক্ষিত ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে এক তরফা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের ছয় সদস্যের কমিটি ঘোষণার ১৯ দিনের মধ্যে সেটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। ৪ জুন ওই কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর থেকে স্থবির জেলা কমিটির কার্যক্রম।
এর আগে গত ১৫ মে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির স্বাক্ষরিত এই কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটি ঘোষণার পর পদবঞ্চিত নেতাদের আন্দোলন, দলীয় কার্যালয়ে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণ হয় একতরফা কমিটি ঘিরে। দলীয় কার্যালয়ে নাশকতা করায় এ নিয়ে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু মামলা করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ মে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির স্বাক্ষরিত এই কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের ছয় সদস্যের কমিটিতে আছেন সভাপতি কাজী জোবায়ের আলম জিলানী, সিনিয়র সহসভাপতি সোলেমান মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক ধীমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজমীর হোসেন শরীফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন রবিন।
কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বেশির ভাগই বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য আমিন উর রশিদ ইয়াছিন ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপুর অনুসারী। এর আগে স্বেচ্ছাসেবক দলে ইয়াছিন ও টিপুর অনুসারীরাই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে স্থান পেয়েছিলেন। এ নিয়ে কুমিল্লায় বিএনপির বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির বর্তমান নেতৃত্ব ছাত্রদলের কমিটি গঠনের বিষয়টি জানতো না। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ না করতে একতরফা কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে দলের মধ্যে বিভাজন দেখা দেয়। রাজপথে বিক্ষোভ হয়। দলীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়। পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে কমিটি স্থগিত করা হয়।
স্থগিত কমিটির সভাপতি কাজী জোবায়ের আলম জিলানী বলেন, কমিটির কার্যক্রম স্থগিত। কিন্তু আমরা দলীয় অন্যান্য কাজ করছি।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের কমিটি স্থগিত আছে।