কুমিল্লায় মহাসপ্তমী পূজা অনুষ্ঠিত

তাপস চন্দ্র সরকার
Thumbnail image

হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় কুমিল্লা মহেশাঙ্গণ ও মনোহরপুর শ্রী শ্রী রাজ রাজেশ্বরী কালী মায়ের বাড়ীসহ জেলার মণ্ডপে মণ্ডপে সকাল থেকেই শুরু হয় সপ্তমী পূজার আনুষ্ঠানিকতা। শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমী থেকেই দেবীর দুর্গার শক্তি স্বর্গলোক থেকে মর্ত্যলোকে অবস্থান করে।

গতকাল রোববার মহাষষ্ঠীর দিন বেলতলায় চণ্ডীপাঠ, কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হয় পূজার প্রথম আনুষ্ঠানিকতা। যা শেষ হয় দেবীর আমন্ত্রণ, অধিবাস ও আরতি দিয়ে। আজ সোমবার মহাসপ্তমী থেকেই মূল পূজা শুরু।

শাস্ত্রীয় বিধান মেনে এদিন প্রতীকী কলাবউকে স্নান করিয়ে ঘট প্রতিস্থাপন করা হয়। এরপর দেবীকে মহাস্নান করানোর মধ্যদিয়ে সূচনা হয় সপ্তমী পূজার আনুষ্ঠানিকতা। স্নান শেষে চক্ষুদানের মাধ্যমে প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর শুরু হয় পূজার মূল আচার।

ষোলো উপাদানে সম্পন্ন হয় সপ্তমীর এই পূজা। দিনভর চণ্ডীপাঠ ও মন্ত্রোচ্চারণের পাশাপাশি ভক্তরা পুষ্পাঞ্জলি দেবেন মায়ের চরণে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, সপ্তমী তিথি থেকেই জাগ্রত হন দেবী দুর্গা। দশহাতে দমন করেন পৃথিবীর সব অমঙ্গল আর অশুভকে।

বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। তিথি অনুযায়ী, আজ থেকেই দেবীর দুর্গার শক্তি স্বর্গলোক থেকে মর্ত্যলোকে অবস্থান করবে। আর পূজার দশমীর দিন এ শক্তি মর্ত্যলোক থেকে ফিরে যাবে স্বর্গলোকে। প্রতীকী অর্থে যা দেবী দুর্গার আগমন ও গমন বলা হয়ে থাকে।

এ বছর দুর্গা মা মর্ত্যলোকে এসেছেন গজ বা হাতিতে চড়ে। আগমন উৎকৃষ্টতম বাহন গজ বা হাতি হওয়ায় এটি সমৃদ্ধি ও প্রাচুর্যের ইঙ্গিত দিচ্ছে। হিন্দুশাস্ত্রে এই আগমন অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত। এটি ভালো বৃষ্টিপাত, অধিক ফসল এবং দেশের সামগ্রিক সুখ ও শান্তি নিশ্চিত করে বলে মনে করা হয়।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সম্পর্কিত