কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বলেছেন, এ বছর কুমিল্লায় জেলার ১৭ টি উপজেলায় মোট ৮১৮ টি পূজামণ্ডপ স্থাপন হবে। এর মধ্যে ৭৬৫ টি প্রতিমা বিসর্জন করা হবে। সর্বদা ৯৫০ জন পুলিশ সদস্য ছোট ছোট টিম করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপে ফিক্সড পুলিশ স্ট্যান্ড থাকবে। এছাড়াও ডিবির কুইক রেসপন্স টিম থাকবে।

তিনি বলেন, উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। সে লক্ষ্যে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার কুমিল্লা পুলিশ লাইন্স শহীদ আরআই এ.বি.এম আবদুল হালিম মিলানায়তনে সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ বলেন, তাঁরা অতীতের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চান না । পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কুমিল্লা মহানগরের আহ্বায়ক শ্যামল কুমার সাহা বলেন, জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের সাথে পূজা উদযাপন নিয়ে পৃথক দুটি সফল সভা হয়েছে। আমরা এখনো পর্যন্ত তাদের ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্ট। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রতিটি মণ্ডপের নিরাপত্তায় স্বেচ্ছাসেবকরা থাকবে। এছাড়া প্রতিটি মণ্ডপকে সিসি ক্যামেরার আওতায় রাখা হবে।

পুলিশ সুপার বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা উপলক্ষে জেলা পুলিশ ৩টা অংশে কাজ করবে। পূজার পূর্বে, পূজা চলাকালীন ও বিসর্জনের সময়। সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা টিম কাজ করবে। সোস্যাল মিডিয়া মনিটরের জন্য বিশেষ টিম থাকবে, যাতে কেউ গুজব ও অপপ্রচার ছড়াতে না পারে। প্রত্যন্ত এলাকায় মণ্ডপে পৌঁছাতে নৌ যোগে পুলিশের টিম কাজ করবে। পূজা মণ্ডপের আশেপাশে কোনোপ্রকার মেলা না বসানোর জন্য বল হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম ও পঙ্কজ বড়ুয়াসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।