• কুমিল্লা সিটি করপোরেশন
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  • আদর্শ সদর
  • বরুড়া
  • লাকসাম
  • দাউদকান্দি
  • আরও
    • চৌদ্দগ্রাম
    • সদর দক্ষিণ
    • নাঙ্গলকোট
    • বুড়িচং
    • ব্রাহ্মণপাড়া
    • মনোহরগঞ্জ
    • লালমাই
    • চান্দিনা
    • মুরাদনগর
    • দেবীদ্বার
    • হোমনা
    • মেঘনা
    • তিতাস
  • সর্বশেষ
  • রাজনীতি
  • বাংলাদেশ
  • অপরাধ
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ইপেপার
  • ইপেপার
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার শহর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. গাজীউল হক ভূঁইয়া ( সোহাগ)।

নাহার প্লাজা, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০

ই-মেইল: [email protected]

ফোন: 01716197760

> কুমিল্লা জেলা
> আদর্শ সদর

কুমিল্লায় ট্রেনের পর্যাপ্ত আসন না থাকায় যাত্রী অসন্তোষ

আবদুল্লাহ আল মারুফ
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ২৩
logo

কুমিল্লায় ট্রেনের পর্যাপ্ত আসন না থাকায় যাত্রী অসন্তোষ

আবদুল্লাহ আল মারুফ

প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ২৩
Photo

যোগাযোগের ক্ষেত্রে কুমিল্লার মানুষের অন্যতম ভরসা রেল। দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে, বাড়ছে যাত্রী সংখ্যা। কিন্তু দীর্ঘদিন একইরকম আসন বণ্টনের ফলে দুর্ভোগ বাড়ছে যাত্রীদের। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, কুমিল্লা স্টেশনে থামা যাত্রীবাহী ট্রেনের সংখ্যা ২৬টি। যার মাঝে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে আট জোড়া ও সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে দুই জোড়া, চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহ/জামালপুরগামী দুই জোড়া এবং নোয়াখালী-ঢাকা রুটে দুই জোড়া ট্রেন চলাচল করে। এছাড়াও সুবর্ণ এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, পর্যটক এক্সপ্রেস ও কক্সবাজার এক্সপ্রেস কুমিল্লা স্টেশনের সিগন্যাল ব্যবহার করলেও যাত্রা বিরতি করে না।

কুমিল্লা স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, মহানগর গোধূলী চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা পৌঁছে বিকেল ৫টা ২৭ মিনিটে এবং ছেড়ে যায় ৫টা ২৯ মিনিটে। অপরদিকে ঢাকা থেকে কুমিল্লা পৌঁছে রাত ১০টা ৫১মিনিটে এবং ছেড়ে যায় ১০টা ৫৩ মিনিটে। নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা উপকূল একপ্রেস কুমিল্লা পৌঁছে সকাল ৭টা ৫২ মিনিটে এবং ছেড়ে যায় ৭টা ৫৪ মিনিটে। একই ট্রেন ঢাকা থেকে ফিরে কুমিল্লা পৌঁছে সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিটে এবং ছেড়ে যায় ৬টা ৪০ মিনিটে। চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস কুমিল্লা স্টেশনে পৌঁছে সকাল ১০টা ২৬ মিনিটে এবং ছেড়ে যায় ১০টা ২৮ মিনিটে। ঢাকা থেকে ফিরতি পথে কুমিল্লা পৌঁছে বিকেল ৪টা ১৩ মিনিটে ও ছেড়ে যায় ৪টা ১৫ মিনিটে। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা মহানগর এক্সপ্রেস কুমিল্লা পৌঁছে বিকেল ৩টা ৬ এবং ছাড়ে ৩টা ৮মিনিটে। ঢাকা থেকে একই ট্রেন ফিরতি পথে কুমিল্লা পৌঁছে রাত ১২টা ৪৬ ও ছেড়ে যায় ১২টা ৪৮ মিনিটে। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী উদয়ন কুমিল্লা স্টেশন এসে পৌঁছে রাত ১২টা ৯ মিনিটে এবং ছেড়ে যায় ১২টা ১২ মিনিটে। একইভাবে সিলেট থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে কুমিল্লা স্টেশনে এসে পৌঁেছ রাত ৩টা ৩মিনিটে। আর কুমিল্লা স্টেশন ছাড়ে ৩টা ৫ মিনিটে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী তূর্ণা নিশিতা কুমিল্লা স্টেশন পৌঁছে রাতের ১টা ৫৫ মিনিটে। আর ছেড়ে যায় ১টা ৫৭ মিনিটে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে কুমিল্লা পৌঁছে রাত ২টা ৩৩ মিনিটে এবং ছেড়ে যায় ২টা ৩৫ মিনিটে। চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহ/জামালপুরগামী বিজয় এক্সপ্রেস কুমিল্লা পৌঁছে দিনের ১১টা ৪২ মিনিটে এবং ছেড়ে যায় ১১টা ৪৪ মিনিটে। একইভাবে চট্টগ্রামের দিকে আসতে কুমিল্লা পৌঁছে রাত ২টা ৮ মিনিটে এবং ছেড়ে যায় ২টা ১০ মিনিটে। চট্টলা এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে কুমিল্লা থামে সকাল ৮টা ৪১ মিনিটে এবং ছেড়ে যায় ৮টা ৪৪ মিনিটে। ঢাকা থেকে ফিরতি পথে কুমিল্লা আসে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে এবং ছেড়ে যায় ৫টা ৪২ মিনিটে। ঢাকাগামী কর্ণফুলী কমিউটার কুমিল্লায় পৌঁছে ১২ টা ৫২ মিনিটে এবং ছেড়ে যায় ১২টা ৫৫ মিনিটে। ফিরতি পথে কুমিল্লায় আসে দুপুর ২টা ২৬ মিনিটে ও ছেড়ে যায় ২টা ২৮ মিনিটে। ইব্রাহীমাবাদগামী ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস কুমিল্লা পৌঁছে রাত ৯টায় আর ছেড়ে যায় ৯টা ১০ এ। একইভাবে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে কুমিল্লা পৌঁছে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে ও ছেড়ে যায় ৪টা ৫১ মিনিটে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ঢাকা মেইল কুমিল্লা পৌঁছে রাত ২টা ৩১ মিনিটে আর ছেড়ে যায় ২টা ৩৪ মিনিটে। নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী নোয়াখালী মেইল কুমিল্লা পৌঁছে রাত ১১টা ১৩ মিনিটে এবং ছেড়ে যায় ১১টা ২৯ মিনিটে এবং ফিরতি পথে কুমিল্লায় পৌঁছে রাত ১২টা ৮ মিনিটে এবং ছেড়ে যায় ১২টা ১৩ মিনিটে।

কুমিল্লা থেকে ঢাকা অভিমুখী মহানগর গোধূলির আসন সংখ্যা ভৈরব বাজার পর্যন্ত ৫টি, বি বাড়িয়া পর্যন্ত ৫টি, আখাউড়া পর্যন্ত ৫টি ও ঢাকা পর্যন্ত এসি কোটা ৬টি, স্নিগ্ধা ২৫টি ও শোভন চেয়ার ২৫টি। মোট আসন সংখ্যা ৭১টি। চট্টগ্রাম পর্যন্ত মহানগর গোধূলির আসন সংখ্যা এসি ৬টি, স্নিগ্ধা ১৫টি ও শোভন চেয়ার ৭৫টিসহ মোট ৯৫টি।

কুমিল্লা থেকে ঢাকা অভিমুখী উপকূল এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা কসবা পর্যন্ত শোভন চেয়ার ৫টি, আখাউড়া পর্যন্ত ৫টি, বি-বাড়িয়া পর্যন্ত স্নিগ্ধা ১৫টি ও শোভন চেয়ার ১০টি। আশুগঞ্জ পর্যন্ত শোভন চেয়ার ৫টি এবং ঢাকা পর্যন্ত স্নিগ্ধা ১০টি ও শোভন চেয়ার মাত্র ২০টি। মোট আসন সংখ্যা ৭০টি। কুমিল্লা থেকে নোয়াখালী পর্যন্ত উপকূল এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা স্নিগ্ধা ১০টি ও শোভন চেয়ার ৩০টিসহ মোট ৪০টি।

কুমিল্লা থেকে সিলেট অভিমুখী পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা আখাউড়া পর্যন্ত শোভন চেয়ার ৫টি, সায়েস্তগঞ্জ পর্যন্ত শোভন চেয়ার ১০টি, শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত ১০টি, কুলাউড়া পর্যন্ত ১০টি ও সিলেট পর্যন্ত স্নিগ্ধা ১০টি ও শোভন চেয়ার ৮০টি। মোট আসন সংখ্যা ১২৫টি। কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা ফেনী পর্যন্ত শোভন চেয়ার ১০টি ও চট্টগ্রাম পর্যন্ত এসি কেবিন ৬টি ও শোভন চেয়ার ৮০টি। মোট ৯৬টি। কুমিল্লা থেকে ঢাকা অভিমুখী মহানগর এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা বি-বাড়িয়া পর্যন্ত শোভন চেয়ার ৫টি, আখাউড়া পর্যন্ত ৫টি ও ভৈরববাজার পর্যন্ত স্নিগ্ধা ৫টি ও নরসিংদী পর্যন্ত ৫টি। এছাড়া ঢাকা পর্যন্ত এসি, স্নিগ্ধা ও শোভন চেয়ার মিলিয়ে সিট ১১৮টি। মোট আসন সংখ্যা ১৩৮টি। কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী মহানগর এক্সপ্রেসের চট্টগ্রাম পর্যন্ত স্নিগ্ধা ১০টি ও শোভন চেয়ার ৩৫টিসহ মোট ৪৫টি। কুমিল্লা থেকে সিলেট অভিমুখী উদয়ন এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা শায়েস্তগঞ্জ পর্যন্ত শোভন চেয়ার ৫টি, শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত ৫টি ও কূলাউড়া পর্যন্ত ৫টি ও সিলেট পর্যন্ত স্নিগ্ধ ৫টি ও শোভন চেয়ার ৬০টি। মোট আসন সংখ্যা ৮০টি। কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী উদয়ন এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা চট্টগ্রাম পর্যন্ত ৭০টি। কুমিল্লা থেকে ঢাকা অভিমুখী তূর্ণা নিশিথা এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা ঢাকা পর্যন্ত স্নিগ্ধা ২০টি ও শোভন চেয়ার ২০টি। মোট আসন সংখ্যা ৪০ টি। কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী তূর্ণা নিশিথা এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা চট্টগ্রাম পর্যন্ত স্নিগ্ধা ৫টি ও শোভন চেয়ার ২৫সহ মোট ৩০টি। কুমিল্লা থেকে জামালপুরগামী বিজয় এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা ময়মনসিংহ পর্যন্ত ২০টি ও জামালপুর পর্যন্ত স্নিগ্ধা ও শোভন চেয়ার মিলিয়ে ৩০টি। কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী বিজয় এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা চট্টগ্রাম পর্যন্ত ১৫টি। কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামমুখী চট্টলা এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা লাকসাম পর্যন্ত শোভন চেয়ার ৫টি, ফেনী পর্যন্ত ৫টি ও চট্টগ্রাম পর্যন্ত ৯১টি। মোট সিটের সংখ্যা ১০১টি। ঢাকামুখী চট্টলার আসন সংখ্যা বি-বাড়িয়া পর্যন্ত বি-বাড়িয়া পর্যন্ত ৫টি, ভৈরববাজার পর্যন্ত স্নিগ্ধা ৫টি। ঢাকা পর্যন্ত এসি, স্নিগ্ধা ও শোভন চেয়ার মিলিয়ে সিট ৮৬টি। মোট আসন সংখ্যা ৯৭টি।

জানা গেছে, প্রতিদিন এই স্টেশনে রেল যাত্রা করে হাজার হাজার মানুষ। সবচেয়ে ভিড় থাকে বেশি চট্টগ্রাম ও ঢাকামুখী ট্রেনগুলোতে। কিন্তু পর্যাপ্ত আসন না থাকায় একটি সিট খালি না রেখেও প্রতিদিন ট্রেন যাত্রা করে গন্তব্যে।

স্টেশন মাস্টার শেখ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা প্রতিদিন শত শত মানুষ ট্রেনে বিনা টিকিটে যাত্রা করে। কয়েক হাজার স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি হয়। এর একটি বড় কারণ পর্যাপ্ত আসন না থাকা।

আখাউড়া থেকে কুমিল্লা প্রতিদিন যাতায়াত করা রীণা রাণী সরকার নামের এক এনজিওকর্মী বলেন, আমি আখাউড়ায় প্রতিদিন যাতায়াত করি। অনেক নারীকে দেখি বাচ্চা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে। ট্রেনের সিট না বাড়ালে এ ভোগান্তি কমবে না।

ময়মনসিংহ থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা সাবেক শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ রিফাত বলেন, ময়মনসিংহের সিট মাত্র ২০-৩০টি। টিকিট যেদিন অনলাইনে আসে সেদিন চেষ্টা করলেও আমরা পাই না। আমার শিক্ষাজীবনের ৫ থেকে ৬ বছর কুমিল্লায় যাতায়াত করেছি। কোনোদিন সরাসরি জামালপুর বা ময়মনসিংহের টিকিট পাইনি। এই আসন সংখ্যা না বাড়ালে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে কুমিল্লাসহ আশপাশের এলাকার যে যোগাযোগ সেটি বিঘ্ন ঘটবে।

তবে কুমিল্লার সচেতন মহল বলছেন কুমিল্লার যাত্রী সংখ্যার বিবেচনায় ট্রেনের আসন বাড়ানো গেলে বেড়ে যাবে রেলের আয়। এতে যেমনি উপকৃত হবে যাত্রী সাধারণ তেমনি ভোগান্তিও কমবে।

কুমিল্লার রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শেখ আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যে আসনবিন্যাস চলে আসছে তা কুমিল্লার তুলনায় আসলেই কিছু নয়। কুমিল্লার যাত্রীর তুলনায় এই আসন সংখ্যা দ্বিগুণ করলেও কম হয়ে যাবে।

Thumbnail image

যোগাযোগের ক্ষেত্রে কুমিল্লার মানুষের অন্যতম ভরসা রেল। দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে, বাড়ছে যাত্রী সংখ্যা। কিন্তু দীর্ঘদিন একইরকম আসন বণ্টনের ফলে দুর্ভোগ বাড়ছে যাত্রীদের। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, কুমিল্লা স্টেশনে থামা যাত্রীবাহী ট্রেনের সংখ্যা ২৬টি। যার মাঝে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে আট জোড়া ও সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে দুই জোড়া, চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহ/জামালপুরগামী দুই জোড়া এবং নোয়াখালী-ঢাকা রুটে দুই জোড়া ট্রেন চলাচল করে। এছাড়াও সুবর্ণ এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, পর্যটক এক্সপ্রেস ও কক্সবাজার এক্সপ্রেস কুমিল্লা স্টেশনের সিগন্যাল ব্যবহার করলেও যাত্রা বিরতি করে না।

কুমিল্লা স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, মহানগর গোধূলী চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা পৌঁছে বিকেল ৫টা ২৭ মিনিটে এবং ছেড়ে যায় ৫টা ২৯ মিনিটে। অপরদিকে ঢাকা থেকে কুমিল্লা পৌঁছে রাত ১০টা ৫১মিনিটে এবং ছেড়ে যায় ১০টা ৫৩ মিনিটে। নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা উপকূল একপ্রেস কুমিল্লা পৌঁছে সকাল ৭টা ৫২ মিনিটে এবং ছেড়ে যায় ৭টা ৫৪ মিনিটে। একই ট্রেন ঢাকা থেকে ফিরে কুমিল্লা পৌঁছে সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিটে এবং ছেড়ে যায় ৬টা ৪০ মিনিটে। চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস কুমিল্লা স্টেশনে পৌঁছে সকাল ১০টা ২৬ মিনিটে এবং ছেড়ে যায় ১০টা ২৮ মিনিটে। ঢাকা থেকে ফিরতি পথে কুমিল্লা পৌঁছে বিকেল ৪টা ১৩ মিনিটে ও ছেড়ে যায় ৪টা ১৫ মিনিটে। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা মহানগর এক্সপ্রেস কুমিল্লা পৌঁছে বিকেল ৩টা ৬ এবং ছাড়ে ৩টা ৮মিনিটে। ঢাকা থেকে একই ট্রেন ফিরতি পথে কুমিল্লা পৌঁছে রাত ১২টা ৪৬ ও ছেড়ে যায় ১২টা ৪৮ মিনিটে। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী উদয়ন কুমিল্লা স্টেশন এসে পৌঁছে রাত ১২টা ৯ মিনিটে এবং ছেড়ে যায় ১২টা ১২ মিনিটে। একইভাবে সিলেট থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে কুমিল্লা স্টেশনে এসে পৌঁেছ রাত ৩টা ৩মিনিটে। আর কুমিল্লা স্টেশন ছাড়ে ৩টা ৫ মিনিটে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী তূর্ণা নিশিতা কুমিল্লা স্টেশন পৌঁছে রাতের ১টা ৫৫ মিনিটে। আর ছেড়ে যায় ১টা ৫৭ মিনিটে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে কুমিল্লা পৌঁছে রাত ২টা ৩৩ মিনিটে এবং ছেড়ে যায় ২টা ৩৫ মিনিটে। চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহ/জামালপুরগামী বিজয় এক্সপ্রেস কুমিল্লা পৌঁছে দিনের ১১টা ৪২ মিনিটে এবং ছেড়ে যায় ১১টা ৪৪ মিনিটে। একইভাবে চট্টগ্রামের দিকে আসতে কুমিল্লা পৌঁছে রাত ২টা ৮ মিনিটে এবং ছেড়ে যায় ২টা ১০ মিনিটে। চট্টলা এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে কুমিল্লা থামে সকাল ৮টা ৪১ মিনিটে এবং ছেড়ে যায় ৮টা ৪৪ মিনিটে। ঢাকা থেকে ফিরতি পথে কুমিল্লা আসে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে এবং ছেড়ে যায় ৫টা ৪২ মিনিটে। ঢাকাগামী কর্ণফুলী কমিউটার কুমিল্লায় পৌঁছে ১২ টা ৫২ মিনিটে এবং ছেড়ে যায় ১২টা ৫৫ মিনিটে। ফিরতি পথে কুমিল্লায় আসে দুপুর ২টা ২৬ মিনিটে ও ছেড়ে যায় ২টা ২৮ মিনিটে। ইব্রাহীমাবাদগামী ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস কুমিল্লা পৌঁছে রাত ৯টায় আর ছেড়ে যায় ৯টা ১০ এ। একইভাবে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে কুমিল্লা পৌঁছে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে ও ছেড়ে যায় ৪টা ৫১ মিনিটে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ঢাকা মেইল কুমিল্লা পৌঁছে রাত ২টা ৩১ মিনিটে আর ছেড়ে যায় ২টা ৩৪ মিনিটে। নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী নোয়াখালী মেইল কুমিল্লা পৌঁছে রাত ১১টা ১৩ মিনিটে এবং ছেড়ে যায় ১১টা ২৯ মিনিটে এবং ফিরতি পথে কুমিল্লায় পৌঁছে রাত ১২টা ৮ মিনিটে এবং ছেড়ে যায় ১২টা ১৩ মিনিটে।

কুমিল্লা থেকে ঢাকা অভিমুখী মহানগর গোধূলির আসন সংখ্যা ভৈরব বাজার পর্যন্ত ৫টি, বি বাড়িয়া পর্যন্ত ৫টি, আখাউড়া পর্যন্ত ৫টি ও ঢাকা পর্যন্ত এসি কোটা ৬টি, স্নিগ্ধা ২৫টি ও শোভন চেয়ার ২৫টি। মোট আসন সংখ্যা ৭১টি। চট্টগ্রাম পর্যন্ত মহানগর গোধূলির আসন সংখ্যা এসি ৬টি, স্নিগ্ধা ১৫টি ও শোভন চেয়ার ৭৫টিসহ মোট ৯৫টি।

কুমিল্লা থেকে ঢাকা অভিমুখী উপকূল এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা কসবা পর্যন্ত শোভন চেয়ার ৫টি, আখাউড়া পর্যন্ত ৫টি, বি-বাড়িয়া পর্যন্ত স্নিগ্ধা ১৫টি ও শোভন চেয়ার ১০টি। আশুগঞ্জ পর্যন্ত শোভন চেয়ার ৫টি এবং ঢাকা পর্যন্ত স্নিগ্ধা ১০টি ও শোভন চেয়ার মাত্র ২০টি। মোট আসন সংখ্যা ৭০টি। কুমিল্লা থেকে নোয়াখালী পর্যন্ত উপকূল এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা স্নিগ্ধা ১০টি ও শোভন চেয়ার ৩০টিসহ মোট ৪০টি।

কুমিল্লা থেকে সিলেট অভিমুখী পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা আখাউড়া পর্যন্ত শোভন চেয়ার ৫টি, সায়েস্তগঞ্জ পর্যন্ত শোভন চেয়ার ১০টি, শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত ১০টি, কুলাউড়া পর্যন্ত ১০টি ও সিলেট পর্যন্ত স্নিগ্ধা ১০টি ও শোভন চেয়ার ৮০টি। মোট আসন সংখ্যা ১২৫টি। কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা ফেনী পর্যন্ত শোভন চেয়ার ১০টি ও চট্টগ্রাম পর্যন্ত এসি কেবিন ৬টি ও শোভন চেয়ার ৮০টি। মোট ৯৬টি। কুমিল্লা থেকে ঢাকা অভিমুখী মহানগর এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা বি-বাড়িয়া পর্যন্ত শোভন চেয়ার ৫টি, আখাউড়া পর্যন্ত ৫টি ও ভৈরববাজার পর্যন্ত স্নিগ্ধা ৫টি ও নরসিংদী পর্যন্ত ৫টি। এছাড়া ঢাকা পর্যন্ত এসি, স্নিগ্ধা ও শোভন চেয়ার মিলিয়ে সিট ১১৮টি। মোট আসন সংখ্যা ১৩৮টি। কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী মহানগর এক্সপ্রেসের চট্টগ্রাম পর্যন্ত স্নিগ্ধা ১০টি ও শোভন চেয়ার ৩৫টিসহ মোট ৪৫টি। কুমিল্লা থেকে সিলেট অভিমুখী উদয়ন এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা শায়েস্তগঞ্জ পর্যন্ত শোভন চেয়ার ৫টি, শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত ৫টি ও কূলাউড়া পর্যন্ত ৫টি ও সিলেট পর্যন্ত স্নিগ্ধ ৫টি ও শোভন চেয়ার ৬০টি। মোট আসন সংখ্যা ৮০টি। কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী উদয়ন এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা চট্টগ্রাম পর্যন্ত ৭০টি। কুমিল্লা থেকে ঢাকা অভিমুখী তূর্ণা নিশিথা এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা ঢাকা পর্যন্ত স্নিগ্ধা ২০টি ও শোভন চেয়ার ২০টি। মোট আসন সংখ্যা ৪০ টি। কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী তূর্ণা নিশিথা এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা চট্টগ্রাম পর্যন্ত স্নিগ্ধা ৫টি ও শোভন চেয়ার ২৫সহ মোট ৩০টি। কুমিল্লা থেকে জামালপুরগামী বিজয় এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা ময়মনসিংহ পর্যন্ত ২০টি ও জামালপুর পর্যন্ত স্নিগ্ধা ও শোভন চেয়ার মিলিয়ে ৩০টি। কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী বিজয় এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা চট্টগ্রাম পর্যন্ত ১৫টি। কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামমুখী চট্টলা এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা লাকসাম পর্যন্ত শোভন চেয়ার ৫টি, ফেনী পর্যন্ত ৫টি ও চট্টগ্রাম পর্যন্ত ৯১টি। মোট সিটের সংখ্যা ১০১টি। ঢাকামুখী চট্টলার আসন সংখ্যা বি-বাড়িয়া পর্যন্ত বি-বাড়িয়া পর্যন্ত ৫টি, ভৈরববাজার পর্যন্ত স্নিগ্ধা ৫টি। ঢাকা পর্যন্ত এসি, স্নিগ্ধা ও শোভন চেয়ার মিলিয়ে সিট ৮৬টি। মোট আসন সংখ্যা ৯৭টি।

জানা গেছে, প্রতিদিন এই স্টেশনে রেল যাত্রা করে হাজার হাজার মানুষ। সবচেয়ে ভিড় থাকে বেশি চট্টগ্রাম ও ঢাকামুখী ট্রেনগুলোতে। কিন্তু পর্যাপ্ত আসন না থাকায় একটি সিট খালি না রেখেও প্রতিদিন ট্রেন যাত্রা করে গন্তব্যে।

স্টেশন মাস্টার শেখ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা প্রতিদিন শত শত মানুষ ট্রেনে বিনা টিকিটে যাত্রা করে। কয়েক হাজার স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি হয়। এর একটি বড় কারণ পর্যাপ্ত আসন না থাকা।

আখাউড়া থেকে কুমিল্লা প্রতিদিন যাতায়াত করা রীণা রাণী সরকার নামের এক এনজিওকর্মী বলেন, আমি আখাউড়ায় প্রতিদিন যাতায়াত করি। অনেক নারীকে দেখি বাচ্চা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে। ট্রেনের সিট না বাড়ালে এ ভোগান্তি কমবে না।

ময়মনসিংহ থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা সাবেক শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ রিফাত বলেন, ময়মনসিংহের সিট মাত্র ২০-৩০টি। টিকিট যেদিন অনলাইনে আসে সেদিন চেষ্টা করলেও আমরা পাই না। আমার শিক্ষাজীবনের ৫ থেকে ৬ বছর কুমিল্লায় যাতায়াত করেছি। কোনোদিন সরাসরি জামালপুর বা ময়মনসিংহের টিকিট পাইনি। এই আসন সংখ্যা না বাড়ালে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে কুমিল্লাসহ আশপাশের এলাকার যে যোগাযোগ সেটি বিঘ্ন ঘটবে।

তবে কুমিল্লার সচেতন মহল বলছেন কুমিল্লার যাত্রী সংখ্যার বিবেচনায় ট্রেনের আসন বাড়ানো গেলে বেড়ে যাবে রেলের আয়। এতে যেমনি উপকৃত হবে যাত্রী সাধারণ তেমনি ভোগান্তিও কমবে।

কুমিল্লার রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শেখ আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যে আসনবিন্যাস চলে আসছে তা কুমিল্লার তুলনায় আসলেই কিছু নয়। কুমিল্লার যাত্রীর তুলনায় এই আসন সংখ্যা দ্বিগুণ করলেও কম হয়ে যাবে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১

বগুড়ার এসপি হলেন বরুড়ার শাহাদাত

২

বিএনপি নেতা কায়কোবাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ

৩

চান্দিনায় ৩০টি স্টলে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী

৪

লটারিতে কুমিল্লার নতুন পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান

৫

মনোহরগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ - ২০২৫ উপলক্ষে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী উদ্বোধ ও আলোচনা সভা

সম্পর্কিত

বগুড়ার এসপি হলেন বরুড়ার শাহাদাত

বগুড়ার এসপি হলেন বরুড়ার শাহাদাত

৮ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা কায়কোবাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ

বিএনপি নেতা কায়কোবাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ

৮ ঘণ্টা আগে
চান্দিনায় ৩০টি স্টলে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী

চান্দিনায় ৩০টি স্টলে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী

৯ ঘণ্টা আগে
লটারিতে কুমিল্লার নতুন পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান

লটারিতে কুমিল্লার নতুন পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান

১২ ঘণ্টা আগে