ডায়াবেটিস রোগীদের সেবায় কুমিল্লার খায়রুন্নেছা ইব্রাহীম জেনারেল হাসপাতাল

গাজীউল হক সোহাগ
আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৫, ১৫: ৪০
Thumbnail image

ডায়াবেটিস রোগীদের সেবায় কুমিল্লায় আরও একটি হাসপাতাল পুরোপুরি চালু হচ্ছে। এতোদিন বহির্বিভাগে রোগী দেখা হলেও এবার অন্তঃবিভাগেও রোগী দেখা হবে। ইতিমধ্যে যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে, সেট করা হয়েছে। এখন চিকিৎসকসহ জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। খায়রুন্নেছা ইব্রাহীম জেনারেল হাসপাতালটি কুমিল্লা নগরের উত্তরপ্রান্তে সিটি করপোরেশনের ১ নং ওয়ার্ডের বিষ্ণুপুর এলাকায় অবস্থিত।

হাসপাতালের পরিচালক চিকিৎসক মো আতাউর রহমান জসীম বলেন, বর্তমানে ৭০-৮০ জন রোগী হয়। সকাল আটটা থেকে দুইটা পর্যন্ত রোগী দেখা হয়। শুক্রবার বন্ধ। ইনডোর চালু হলে রোগী বাড়বে।

জানা গেছে, ২০১১ সালে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান এটিএম শামসুল হক তাঁর মায়ের নামে খায়রুন্নেছা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হাসপাতাল করার জন্য ১২৫ শতক ( এক একর ২৫ শতক) জায়গা দান করেন। তখন সমাজকল্যাণমন্ত্রী মো মহসীন আলী কুমিল্লায় এসে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তখন হাসপাতালের নাম ছিল প্রস্তাবিত খায়রুন্নেছা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি এই হাসপাতাল পরিচালনা করে। হাসপাতালের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ৫০ কোটি টাকা দিয়েছে। বর্তমানে ১০ তলা ফাউন্ডেশন ভবনের পাঁচতলা হয়েছে। এই হাসপাতালে একজন নির্বাহী পরিচালক, পরিচালক, তিনজন চিকিৎসকসহ ২৫ জন লোকবল আছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এই হাসপাতাল গোমতী নদীর উত্তরপাড়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ভূমিকা রাখবে।

স্থানীয় বাসিন্দা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শিক্ষক জহিরুল হক দুলাল বলেন, হাসপাতালটি পুরোদমে চালু হলে সব শ্রেণির মানুষ সুফল পাবেন। এটিএম শামসুল হক সাহেব কয়শত কোটি টাকার জমি দান করেছেন? আজকাল কেউ তা করেন না। তিনি মানবহিতৈষী হিসেবে তা করেছেন।

উল্লেখ কুমিল্লায় এর আগে ডায়াবেটিস হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সমাজসেবক নারীনেত্রী চিকিৎসক যোবায়দা হান্নান।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সম্পর্কিত